alt

opinion » editorial

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

: শনিবার, ১১ মে ২০২৪

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটি ব্যবসায়ীরা ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে জমির উর্বরা শক্তি কমে যাচ্ছে এবং উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। এসব মাটি কিনছে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৫২টি ইটভাটা।

প্রশ্ন হচ্ছে, এতদিন ধরে মাটি ব্যবসায়ীরা ফসলি জমির ক্ষতি করে চলেছে, তবুও প্রশাসনের কেন টনক নড়ছে না? ফসলি জমির মাটি কাটা আইনত দ-ণীয় অপরাধ। কেউ এ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার বিধানও রয়েছে। আইন থাকলেও কর্তৃপক্ষকে আইন প্রয়োগ করতে দেখা যায় না সেভাবে। আইনই যদি প্রয়োগ করা হতো তাহলে ইটভাটার সামনে ফসলি জমির মাটির পাহাড় গড়ে উঠত না।

পরিবেশবিদরা বলছেন, ফসলি জমির উপরিভাগের ৬ থেকে ৭ ইঞ্চির মধ্যে থাকে মাটির জৈব পদার্থ; যা মাটির উর্বরা শক্তি বাড়ায়। এতে ফসল উৎপাদনও বাড়ে। কেউ যদি জমির সেই টপসয়েল কেটে নেয় তাহলে বহু বছর ধরে সেই জমিতে আর ফসল হয় না। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে একসময় এলাকায় আর ফসলি জমি থাকবে না।

কৃষিজমির টপসয়েল কেটে কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। যারা এসব অন্যায় কর্মকা- করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি। একই রকম আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও। শুধু আশ্বাস দিলেই হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। একটি দুটি নয়, অবৈধভাবে অর্ধশতাধিক ইটভাটা কী করে গড়ে উঠল, সেই প্রশ্ন এসে যায়।

শুধু মিঠাপুকুরে ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় যাচ্ছে তা না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব অন্যায় কর্মকা- ঘটে। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এসব অন্যায় কর্মকা- করে মাটি ব্যবসায়ীরা। এমনটিই হচ্ছে মিঠাপুকুরে। সেখানে ৫২টি অবৈধ ইটভাটা চলছে। ফসলি জমির মাটি দিয়েই সেখানে চলছে ইট তৈরি; কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির মাটি যদি এভাবে ইটভাটায় যেতে থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে কৃষিজমির অস্তিত্ব থাকবে না বলে কৃষিবিদরা যে আশঙ্কা করছেন, সেটি কর্তৃপক্ষকে মাথায় নিতে হবে। যে কোনো মূল্যে সেখানকার কৃষিজমিগুলো রক্ষা করতে হবে। কেননা এর সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নটিও জড়িত। মিঠাপুকুরসহ দেশের যেসব এলাকায় ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি কৃষি বিভাগকেও ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কাটার ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

শনিবার, ১১ মে ২০২৪

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটি ব্যবসায়ীরা ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে জমির উর্বরা শক্তি কমে যাচ্ছে এবং উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। এসব মাটি কিনছে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৫২টি ইটভাটা।

প্রশ্ন হচ্ছে, এতদিন ধরে মাটি ব্যবসায়ীরা ফসলি জমির ক্ষতি করে চলেছে, তবুও প্রশাসনের কেন টনক নড়ছে না? ফসলি জমির মাটি কাটা আইনত দ-ণীয় অপরাধ। কেউ এ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার বিধানও রয়েছে। আইন থাকলেও কর্তৃপক্ষকে আইন প্রয়োগ করতে দেখা যায় না সেভাবে। আইনই যদি প্রয়োগ করা হতো তাহলে ইটভাটার সামনে ফসলি জমির মাটির পাহাড় গড়ে উঠত না।

পরিবেশবিদরা বলছেন, ফসলি জমির উপরিভাগের ৬ থেকে ৭ ইঞ্চির মধ্যে থাকে মাটির জৈব পদার্থ; যা মাটির উর্বরা শক্তি বাড়ায়। এতে ফসল উৎপাদনও বাড়ে। কেউ যদি জমির সেই টপসয়েল কেটে নেয় তাহলে বহু বছর ধরে সেই জমিতে আর ফসল হয় না। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে একসময় এলাকায় আর ফসলি জমি থাকবে না।

কৃষিজমির টপসয়েল কেটে কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। যারা এসব অন্যায় কর্মকা- করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি। একই রকম আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও। শুধু আশ্বাস দিলেই হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। একটি দুটি নয়, অবৈধভাবে অর্ধশতাধিক ইটভাটা কী করে গড়ে উঠল, সেই প্রশ্ন এসে যায়।

শুধু মিঠাপুকুরে ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় যাচ্ছে তা না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব অন্যায় কর্মকা- ঘটে। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এসব অন্যায় কর্মকা- করে মাটি ব্যবসায়ীরা। এমনটিই হচ্ছে মিঠাপুকুরে। সেখানে ৫২টি অবৈধ ইটভাটা চলছে। ফসলি জমির মাটি দিয়েই সেখানে চলছে ইট তৈরি; কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির মাটি যদি এভাবে ইটভাটায় যেতে থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে কৃষিজমির অস্তিত্ব থাকবে না বলে কৃষিবিদরা যে আশঙ্কা করছেন, সেটি কর্তৃপক্ষকে মাথায় নিতে হবে। যে কোনো মূল্যে সেখানকার কৃষিজমিগুলো রক্ষা করতে হবে। কেননা এর সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নটিও জড়িত। মিঠাপুকুরসহ দেশের যেসব এলাকায় ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি কৃষি বিভাগকেও ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কাটার ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।

back to top