কিশোরগঞ্জের হাওরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানে ভরে উঠেছে কৃষকদের ঘর-আঙিনা। কিন্তু এখানকার কৃষকদের মুখে কোনো হাসি নেই। আর এই হাসি না থাকার কারণ তারা ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে চালকল মালিকরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে চালের দাম না কমালেও ধানের দাম কমিয়েছে।
কিশোরগঞ্জে গত সপ্তাহে ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা মণ দরে। সাত দিনের ব্যবধানে সেই ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে। মিলাররা মণপ্রতি কমিয়ে দিয়েছে ১৫০ টাকা। বড় বড় মিলারের দালালরাই অধিকাংশ ধান কিনছে মোকামে বসে। মিলারদের দালাল সিন্ডিকেট ধান কেনায় কৃষকরা দাম কম পাচ্ছেন।
কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, মিলারদের দালালরা যদি ধানের দাম কৌশল করে কমাতে থাকে তাহলে হয়তো লাভের বদলে লোকসান গুণতে হতে পারে ।
সিন্ডিকেট গড়ে তোলার কথা অস্বীকার করেছেন মিল মালিকরা। তারা বলেছেন, বাজারে ধানের আমদানির ওপর দাম নির্ভর করে। ধান বেশি উঠলে দাম কমে, কম উঠলে বাড়ে। সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই।
শুধু কিশোরগঞ্জেই যে মিলারদের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে কৃষকরা তাদের ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তা নয়। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়া নিয়ে এরকম আরও অভিযোগের কথা শোনা যায়। কৃষক সারা বছর হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে ফসল উৎপাদন করেন। কিন্তু সেই উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম তারা পান না। মাঝখান দিয়ে মধ্যস্বত্ত্বভোগী ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা লাভবান হন। আর এক্ষেত্রে শুধু যে কৃষকরাই ঠকে তা না। কৃষিপণ্যের দাম কমলে ভোক্তাদের যে সুবিধা ভোগ করার কথা সেটা তারা ভোগ করেন না। ভোক্তাদের চড়া মূল্যে পণ্য কিনতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষকরা তখনই তার উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পাবে, যখন বাজারব্যবস্থা উন্নত করা হবে। কিন্তু উন্নত বাজারব্যবস্থা এখনও দেশে সেভাবে গড়ে ওঠেনি বলে কৃষিতে উৎপাদন বাড়লেও কৃষক এখনো পণ্যের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। পণ্য বিপণন ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। প্রান্তিক কৃষককে সরাসরি এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকের কাছে প্রযুক্তি ও কৃষিভিত্তিক তথ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাটাকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। অনেকে মনে করেন আড়তদারদের দৌরাত্ম্য কমানোর জন্য প্রশাসনকেও বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। কোনো ফড়িয়া ব্যবসায়ী কৌশলে কৃষককে যেন ঠকাতে না পারে সেজন্য নজরদারি করতে হবে।
মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
কিশোরগঞ্জের হাওরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানে ভরে উঠেছে কৃষকদের ঘর-আঙিনা। কিন্তু এখানকার কৃষকদের মুখে কোনো হাসি নেই। আর এই হাসি না থাকার কারণ তারা ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে চালকল মালিকরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে চালের দাম না কমালেও ধানের দাম কমিয়েছে।
কিশোরগঞ্জে গত সপ্তাহে ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা মণ দরে। সাত দিনের ব্যবধানে সেই ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে। মিলাররা মণপ্রতি কমিয়ে দিয়েছে ১৫০ টাকা। বড় বড় মিলারের দালালরাই অধিকাংশ ধান কিনছে মোকামে বসে। মিলারদের দালাল সিন্ডিকেট ধান কেনায় কৃষকরা দাম কম পাচ্ছেন।
কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, মিলারদের দালালরা যদি ধানের দাম কৌশল করে কমাতে থাকে তাহলে হয়তো লাভের বদলে লোকসান গুণতে হতে পারে ।
সিন্ডিকেট গড়ে তোলার কথা অস্বীকার করেছেন মিল মালিকরা। তারা বলেছেন, বাজারে ধানের আমদানির ওপর দাম নির্ভর করে। ধান বেশি উঠলে দাম কমে, কম উঠলে বাড়ে। সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই।
শুধু কিশোরগঞ্জেই যে মিলারদের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে কৃষকরা তাদের ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তা নয়। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়া নিয়ে এরকম আরও অভিযোগের কথা শোনা যায়। কৃষক সারা বছর হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে ফসল উৎপাদন করেন। কিন্তু সেই উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম তারা পান না। মাঝখান দিয়ে মধ্যস্বত্ত্বভোগী ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা লাভবান হন। আর এক্ষেত্রে শুধু যে কৃষকরাই ঠকে তা না। কৃষিপণ্যের দাম কমলে ভোক্তাদের যে সুবিধা ভোগ করার কথা সেটা তারা ভোগ করেন না। ভোক্তাদের চড়া মূল্যে পণ্য কিনতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষকরা তখনই তার উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পাবে, যখন বাজারব্যবস্থা উন্নত করা হবে। কিন্তু উন্নত বাজারব্যবস্থা এখনও দেশে সেভাবে গড়ে ওঠেনি বলে কৃষিতে উৎপাদন বাড়লেও কৃষক এখনো পণ্যের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। পণ্য বিপণন ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। প্রান্তিক কৃষককে সরাসরি এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকের কাছে প্রযুক্তি ও কৃষিভিত্তিক তথ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাটাকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। অনেকে মনে করেন আড়তদারদের দৌরাত্ম্য কমানোর জন্য প্রশাসনকেও বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। কোনো ফড়িয়া ব্যবসায়ী কৌশলে কৃষককে যেন ঠকাতে না পারে সেজন্য নজরদারি করতে হবে।