alt

সম্পাদকীয়

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

: মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

কিশোরগঞ্জের হাওরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানে ভরে উঠেছে কৃষকদের ঘর-আঙিনা। কিন্তু এখানকার কৃষকদের মুখে কোনো হাসি নেই। আর এই হাসি না থাকার কারণ তারা ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে চালকল মালিকরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে চালের দাম না কমালেও ধানের দাম কমিয়েছে।

কিশোরগঞ্জে গত সপ্তাহে ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা মণ দরে। সাত দিনের ব্যবধানে সেই ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে। মিলাররা মণপ্রতি কমিয়ে দিয়েছে ১৫০ টাকা। বড় বড় মিলারের দালালরাই অধিকাংশ ধান কিনছে মোকামে বসে। মিলারদের দালাল সিন্ডিকেট ধান কেনায় কৃষকরা দাম কম পাচ্ছেন।

কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, মিলারদের দালালরা যদি ধানের দাম কৌশল করে কমাতে থাকে তাহলে হয়তো লাভের বদলে লোকসান গুণতে হতে পারে ।

সিন্ডিকেট গড়ে তোলার কথা অস্বীকার করেছেন মিল মালিকরা। তারা বলেছেন, বাজারে ধানের আমদানির ওপর দাম নির্ভর করে। ধান বেশি উঠলে দাম কমে, কম উঠলে বাড়ে। সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই।

শুধু কিশোরগঞ্জেই যে মিলারদের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে কৃষকরা তাদের ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তা নয়। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়া নিয়ে এরকম আরও অভিযোগের কথা শোনা যায়। কৃষক সারা বছর হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে ফসল উৎপাদন করেন। কিন্তু সেই উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম তারা পান না। মাঝখান দিয়ে মধ্যস্বত্ত্বভোগী ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা লাভবান হন। আর এক্ষেত্রে শুধু যে কৃষকরাই ঠকে তা না। কৃষিপণ্যের দাম কমলে ভোক্তাদের যে সুবিধা ভোগ করার কথা সেটা তারা ভোগ করেন না। ভোক্তাদের চড়া মূল্যে পণ্য কিনতে হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষকরা তখনই তার উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পাবে, যখন বাজারব্যবস্থা উন্নত করা হবে। কিন্তু উন্নত বাজারব্যবস্থা এখনও দেশে সেভাবে গড়ে ওঠেনি বলে কৃষিতে উৎপাদন বাড়লেও কৃষক এখনো পণ্যের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। পণ্য বিপণন ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। প্রান্তিক কৃষককে সরাসরি এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।

পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকের কাছে প্রযুক্তি ও কৃষিভিত্তিক তথ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাটাকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। অনেকে মনে করেন আড়তদারদের দৌরাত্ম্য কমানোর জন্য প্রশাসনকেও বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। কোনো ফড়িয়া ব্যবসায়ী কৌশলে কৃষককে যেন ঠকাতে না পারে সেজন্য নজরদারি করতে হবে।

শ্রমিক বিক্ষোভ : আলোচনায় সমাধান খুঁজুন

ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও বিচার করা জরুরি

লুটপাট-অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

সচিবালয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

ভয়াবহ বন্যা : বিভ্রান্তি নয়, মানুষকে প্রকৃত তথ্য জানান

পাট জাগ দিতে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতির প্রসার বাড়াতে হবে

মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দখল-লুটপাটের অপসংস্কৃতি

বিচার বিভাগে রদবদল

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কিছু প্রশ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: শুভকামনা, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরান

এই অরাজকতা চলতে দেওয়া যায় না, সবাইকে সংযত হতে হবে

অরাজকতা বন্ধ হোক, শান্তি ফিরুক

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

tab

সম্পাদকীয়

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

কিশোরগঞ্জের হাওরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানে ভরে উঠেছে কৃষকদের ঘর-আঙিনা। কিন্তু এখানকার কৃষকদের মুখে কোনো হাসি নেই। আর এই হাসি না থাকার কারণ তারা ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে চালকল মালিকরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে চালের দাম না কমালেও ধানের দাম কমিয়েছে।

কিশোরগঞ্জে গত সপ্তাহে ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা মণ দরে। সাত দিনের ব্যবধানে সেই ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে। মিলাররা মণপ্রতি কমিয়ে দিয়েছে ১৫০ টাকা। বড় বড় মিলারের দালালরাই অধিকাংশ ধান কিনছে মোকামে বসে। মিলারদের দালাল সিন্ডিকেট ধান কেনায় কৃষকরা দাম কম পাচ্ছেন।

কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, মিলারদের দালালরা যদি ধানের দাম কৌশল করে কমাতে থাকে তাহলে হয়তো লাভের বদলে লোকসান গুণতে হতে পারে ।

সিন্ডিকেট গড়ে তোলার কথা অস্বীকার করেছেন মিল মালিকরা। তারা বলেছেন, বাজারে ধানের আমদানির ওপর দাম নির্ভর করে। ধান বেশি উঠলে দাম কমে, কম উঠলে বাড়ে। সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই।

শুধু কিশোরগঞ্জেই যে মিলারদের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে কৃষকরা তাদের ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তা নয়। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়া নিয়ে এরকম আরও অভিযোগের কথা শোনা যায়। কৃষক সারা বছর হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে ফসল উৎপাদন করেন। কিন্তু সেই উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম তারা পান না। মাঝখান দিয়ে মধ্যস্বত্ত্বভোগী ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা লাভবান হন। আর এক্ষেত্রে শুধু যে কৃষকরাই ঠকে তা না। কৃষিপণ্যের দাম কমলে ভোক্তাদের যে সুবিধা ভোগ করার কথা সেটা তারা ভোগ করেন না। ভোক্তাদের চড়া মূল্যে পণ্য কিনতে হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষকরা তখনই তার উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পাবে, যখন বাজারব্যবস্থা উন্নত করা হবে। কিন্তু উন্নত বাজারব্যবস্থা এখনও দেশে সেভাবে গড়ে ওঠেনি বলে কৃষিতে উৎপাদন বাড়লেও কৃষক এখনো পণ্যের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। পণ্য বিপণন ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। প্রান্তিক কৃষককে সরাসরি এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।

পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকের কাছে প্রযুক্তি ও কৃষিভিত্তিক তথ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাটাকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। অনেকে মনে করেন আড়তদারদের দৌরাত্ম্য কমানোর জন্য প্রশাসনকেও বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। কোনো ফড়িয়া ব্যবসায়ী কৌশলে কৃষককে যেন ঠকাতে না পারে সেজন্য নজরদারি করতে হবে।

back to top