alt

সম্পাদকীয়

মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরান

: বৃহস্পতিবার, ০৮ আগস্ট ২০২৪

পাঁচ আগস্ট দুপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দুই দিনেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। দেশে এখন কোনো সরকার ব্যবস্থা নেই। অন্তবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এখনো চলছে। অন্তবর্তী সরকার প্রধান কে হবেন সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু তিনি এখন দেশে নেই। আজ তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

দেশে কোনো বৈধ সরকার না থাকলেও সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনির গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদে রদবদল হয়েছে ও হচ্ছে। প্রশাসনে রদবদল হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাউকে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এই ধরনের পদত্যাগের আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রশাসনের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, কাজ হচ্ছে না কোথাও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে বললেও কম বলা হবে। পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। থানা, ট্রাফিক এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে। সেনাবাহিনীও নেমেছে। এরপরও দেশজুড়ে চলমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটানো যায়নি। এর আগে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক ব্যবস্থা সামলেছে, কোথাও কোথাও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করছে। সেটা এক অর্থে ভালো। তবে তাদের প্রশাসন চালানোর কথা নয়।

দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের ক্রান্তিকালে নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। পুলিশ, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ অনেক মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ এমনকি ভিনদেশী এক ব্যক্তিও মারা গেছেন। যশোরে পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিলে একজন বিদেশীসহ ২১ জন পুড়ে মারা গেছেন।

গণহারে লুটপাট, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, থানা, প্রতিপক্ষের বাড়িঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার শিকার হচ্ছে। তাদের বাড়িঘর, প্রার্থনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুঠের শিকার হয়েছে। সাধারণ মানুষের বাড়িঘর বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি, লুঠ, অগ্নিসংযোগ করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার সুযোগে যে যা পারছে করছে। কিছু মানুষ সারা দেশেই যেন লুটপাটের ‘উৎসবে’ মেতে উঠেছে।

সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের ঘুম উড়ে গেছে। তাদের দিনরাত কাটছে হামলার আশঙ্কায়।

সাধারণ মানুষের প্রশ্নÑ দেশে কবে শান্তি ফিরবে। শান্তির জন্য আর কত প্রাণক্ষয় হবে, আর কত সম্পদ ধ্বংস হবে।

মানুষের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে দেশের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে তাদের প্রধান কর্তব্য হবে নৈরাজ্যের অবসান ঘটানো, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা। আর একটি মানুষেরও জানমালের যেন ক্ষতি না হয়, তারা যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সম্পদ ক্ষয় রোধ করতে হবে। দ্রুততার সাথে প্রশাসনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা দরকার। আর প্রতিটি হত্যা, হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুঠ, ডাকাতির ঘটনার কঠোর আইনি প্রতিকার করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

tab

সম্পাদকীয়

মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরান

বৃহস্পতিবার, ০৮ আগস্ট ২০২৪

পাঁচ আগস্ট দুপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দুই দিনেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। দেশে এখন কোনো সরকার ব্যবস্থা নেই। অন্তবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এখনো চলছে। অন্তবর্তী সরকার প্রধান কে হবেন সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু তিনি এখন দেশে নেই। আজ তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

দেশে কোনো বৈধ সরকার না থাকলেও সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনির গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদে রদবদল হয়েছে ও হচ্ছে। প্রশাসনে রদবদল হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাউকে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এই ধরনের পদত্যাগের আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রশাসনের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, কাজ হচ্ছে না কোথাও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে বললেও কম বলা হবে। পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। থানা, ট্রাফিক এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে। সেনাবাহিনীও নেমেছে। এরপরও দেশজুড়ে চলমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটানো যায়নি। এর আগে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক ব্যবস্থা সামলেছে, কোথাও কোথাও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করছে। সেটা এক অর্থে ভালো। তবে তাদের প্রশাসন চালানোর কথা নয়।

দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের ক্রান্তিকালে নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। পুলিশ, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ অনেক মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ এমনকি ভিনদেশী এক ব্যক্তিও মারা গেছেন। যশোরে পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিলে একজন বিদেশীসহ ২১ জন পুড়ে মারা গেছেন।

গণহারে লুটপাট, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, থানা, প্রতিপক্ষের বাড়িঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার শিকার হচ্ছে। তাদের বাড়িঘর, প্রার্থনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুঠের শিকার হয়েছে। সাধারণ মানুষের বাড়িঘর বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি, লুঠ, অগ্নিসংযোগ করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার সুযোগে যে যা পারছে করছে। কিছু মানুষ সারা দেশেই যেন লুটপাটের ‘উৎসবে’ মেতে উঠেছে।

সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের ঘুম উড়ে গেছে। তাদের দিনরাত কাটছে হামলার আশঙ্কায়।

সাধারণ মানুষের প্রশ্নÑ দেশে কবে শান্তি ফিরবে। শান্তির জন্য আর কত প্রাণক্ষয় হবে, আর কত সম্পদ ধ্বংস হবে।

মানুষের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে দেশের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে তাদের প্রধান কর্তব্য হবে নৈরাজ্যের অবসান ঘটানো, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা। আর একটি মানুষেরও জানমালের যেন ক্ষতি না হয়, তারা যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সম্পদ ক্ষয় রোধ করতে হবে। দ্রুততার সাথে প্রশাসনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা দরকার। আর প্রতিটি হত্যা, হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুঠ, ডাকাতির ঘটনার কঠোর আইনি প্রতিকার করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

back to top