alt

opinion » editorial

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: শুভকামনা, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

: শুক্রবার, ০৯ আগস্ট ২০২৪

শপথ নিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন সরকারের জন্য রইল শুভকামনা। গত পাঁচ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের মধ্যদিয়ে সেই শূন্যতা দূর হলো। এখন দেশ থেকে নৈরাজ্য দূর হবে, দেশে শান্তি ফিরবে, শৃঙ্খলা ফিরবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা।

রাজনৈতিক পালাবদলের ক্রান্তিকালে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে হত্যা, হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুঠ, ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ যেমন এর শিকার হয়েছে, তেমন সাধারণ মানুষও এর শিকার হয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিভিন্ন সম্প্রদায়, আদিবাসী, হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষ নানানভাবে আক্রান্ত হয়েছে।

দেশজুড়ে হামলা-ভাংচুরের ঘটনার সঙ্গে যোগ হয়েছে ডাকাতির ঘটনা। রাজধানীসহ দেশের অনেক স্থানে ডাকাতি হয়েছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে। আক্ষরিক অর্থেই বহু মানুষকে রাতে জেগে থাকতে হচ্ছে। প্রকাশ্যে দিনেদুপুরেও ডাকাতি হচ্ছে। অনেক স্থানে নাগরিকরা নিজেরা পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছে। কারণ দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। কোথাও আইন প্রয়োগ করতে দেখা যাচ্ছে না। পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান বলেছেন, ‘মানুষ মানুষকে আক্রমণ করছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। সম্পদ নষ্ট করছে। নিয়ে যাচ্ছে। অফিস-আদালতে আক্রমণ করছে। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আহমদিয়া- সবার ওপর আক্রমণ হচ্ছে। এগুলো হলো ষড়যন্ত্রের অংশ, আমাদের বিষয় না। আমাদের কাজ হলো সবাইকে রক্ষা করা। প্রতিটি মানুষ আমাদের ভাই, আমাদের বোন।’

আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজই হবে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার করতে হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মানুষেকে যেন আতঙ্কে দিন কাটাতে না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। থানাগুলোতে কয়েকদিন কোনো পুলিশ ছিল না । গতকাল কিছু কিছু থানায় পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছে। পুলিশ বাহিনির কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি। পুলিশের বিরুদ্ধে মানুষের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। তাদের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

দেশে প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। সর্বস্তরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রশাসন কোনো কাজই করতে পারছে না। এতে বিঘিœত হচ্ছে জনসেবা। প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। প্রশাসনের ওপর আস্থা ফেরানো জরুরি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান বলেছেন, ‘আমার ওপর আস্থা রাখুন, ভরসা রাখেন, দেশে কারও ওপর কোনো হামলা হবে না।’ আমরা তার ওপর আস্থা রাখতে চাই।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: শুভকামনা, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

শুক্রবার, ০৯ আগস্ট ২০২৪

শপথ নিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন সরকারের জন্য রইল শুভকামনা। গত পাঁচ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের মধ্যদিয়ে সেই শূন্যতা দূর হলো। এখন দেশ থেকে নৈরাজ্য দূর হবে, দেশে শান্তি ফিরবে, শৃঙ্খলা ফিরবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা।

রাজনৈতিক পালাবদলের ক্রান্তিকালে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে হত্যা, হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুঠ, ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ যেমন এর শিকার হয়েছে, তেমন সাধারণ মানুষও এর শিকার হয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিভিন্ন সম্প্রদায়, আদিবাসী, হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষ নানানভাবে আক্রান্ত হয়েছে।

দেশজুড়ে হামলা-ভাংচুরের ঘটনার সঙ্গে যোগ হয়েছে ডাকাতির ঘটনা। রাজধানীসহ দেশের অনেক স্থানে ডাকাতি হয়েছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে। আক্ষরিক অর্থেই বহু মানুষকে রাতে জেগে থাকতে হচ্ছে। প্রকাশ্যে দিনেদুপুরেও ডাকাতি হচ্ছে। অনেক স্থানে নাগরিকরা নিজেরা পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছে। কারণ দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। কোথাও আইন প্রয়োগ করতে দেখা যাচ্ছে না। পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান বলেছেন, ‘মানুষ মানুষকে আক্রমণ করছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। সম্পদ নষ্ট করছে। নিয়ে যাচ্ছে। অফিস-আদালতে আক্রমণ করছে। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আহমদিয়া- সবার ওপর আক্রমণ হচ্ছে। এগুলো হলো ষড়যন্ত্রের অংশ, আমাদের বিষয় না। আমাদের কাজ হলো সবাইকে রক্ষা করা। প্রতিটি মানুষ আমাদের ভাই, আমাদের বোন।’

আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজই হবে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার করতে হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মানুষেকে যেন আতঙ্কে দিন কাটাতে না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। থানাগুলোতে কয়েকদিন কোনো পুলিশ ছিল না । গতকাল কিছু কিছু থানায় পুলিশ সদস্য যোগ দিয়েছে। পুলিশ বাহিনির কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি। পুলিশের বিরুদ্ধে মানুষের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। তাদের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

দেশে প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। সর্বস্তরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রশাসন কোনো কাজই করতে পারছে না। এতে বিঘিœত হচ্ছে জনসেবা। প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। প্রশাসনের ওপর আস্থা ফেরানো জরুরি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান বলেছেন, ‘আমার ওপর আস্থা রাখুন, ভরসা রাখেন, দেশে কারও ওপর কোনো হামলা হবে না।’ আমরা তার ওপর আস্থা রাখতে চাই।

back to top