alt

সম্পাদকীয়

দখল-লুটপাটের অপসংস্কৃতি

: বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০২৪

ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশে লুটপাট আর দখলের অপসংস্কৃতির কদর্য রূপ প্রকাশ পেয়েছে। সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, লুটপাট করে শুধু ক্ষমতাশালীরা। পাঁচ আগস্টের পর দেশজুড়ে লুটপাটের যে চিত্র প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষও সুযোগ পেলেই লুটপাটে অংশ নেন। শিক্ষিত, সচ্ছল, মধ্যবিত্ত শ্রেণীকেও দেশের সম্পদ লুট করতে দেখা গেছে। এদেরই কেউ কেউ লুট করেছে চতুরতার সঙ্গে। তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তির সংগ্রহে থাকা অমূল্য চিত্রকর্ম লুট করেছে।

লুটপাটের বিস্তৃতি ও ধরন দেখে আমরা মর্মাহত হয়েছি। আমাদের মনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে যে, আমাদের সামষ্টিক চেতনায় কি লুটপাটের অপসংস্কৃতি প্রোথিত রয়েছে।

কাউকে কাউকে এখন দেখা যাচ্ছে, লুটের মাল ফেরত দিচ্ছেন। তবে তারা কৃতকর্মের জন্য কতটা অনুতপ্ত সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সমালোচনার মুখে যেসব লুটেরা পরে লুটের মাল ফেরত দিচ্ছেন তারা আদতে এর দায় স্বীকার করছেন না। আর লুটপাটের জন্য তাদের কোনো শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে জানা যায় না।

লুটপাটের ঘটনা এখন কমে এসেছে। তারপরও দেশের অনেক স্থানে এখনো লুটপাট হচ্ছে। গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহ আমাদের এই ধারণাই দেয় যে, একশ্রেণীর মানুষ সুযোগ পেলেই লুট করে। যার প্রভাব বেশি সে বড় কিছু লুট করে। যার প্রভাব কম বা সুযোগ সীমিত সে ছোট কিছু লুট করে। সুযোগ পেলে লতাপাতা লুট করতেও তারা পিছপা হয় না।

দেশে এখন ব্যাংক দখলের লড়াই শুরু হয়েছে। এজন্য গোলাগুলিও হয়েছে কোনো কোনো ব্যাংকে। দেশে ব্যাংক খাত এমনিতেই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এখন এই দখল-পাল্টা দখলের লড়াই শুরু হলে এই খাতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। যা অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করবে। গ্রাহক ও আমানতকারীরা ব্যাংকের ওপর আস্থা হারাবে। কাজেই অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিগত কালে ব্যাংক লুটপাট হয়েছে, অর্থ পাচার হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে সেটা নিশ্চয় রাতারাতি করা সম্ভব হবে না। অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। আমরা আশা করব অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

tab

সম্পাদকীয়

দখল-লুটপাটের অপসংস্কৃতি

বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০২৪

ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশে লুটপাট আর দখলের অপসংস্কৃতির কদর্য রূপ প্রকাশ পেয়েছে। সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, লুটপাট করে শুধু ক্ষমতাশালীরা। পাঁচ আগস্টের পর দেশজুড়ে লুটপাটের যে চিত্র প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষও সুযোগ পেলেই লুটপাটে অংশ নেন। শিক্ষিত, সচ্ছল, মধ্যবিত্ত শ্রেণীকেও দেশের সম্পদ লুট করতে দেখা গেছে। এদেরই কেউ কেউ লুট করেছে চতুরতার সঙ্গে। তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তির সংগ্রহে থাকা অমূল্য চিত্রকর্ম লুট করেছে।

লুটপাটের বিস্তৃতি ও ধরন দেখে আমরা মর্মাহত হয়েছি। আমাদের মনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে যে, আমাদের সামষ্টিক চেতনায় কি লুটপাটের অপসংস্কৃতি প্রোথিত রয়েছে।

কাউকে কাউকে এখন দেখা যাচ্ছে, লুটের মাল ফেরত দিচ্ছেন। তবে তারা কৃতকর্মের জন্য কতটা অনুতপ্ত সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সমালোচনার মুখে যেসব লুটেরা পরে লুটের মাল ফেরত দিচ্ছেন তারা আদতে এর দায় স্বীকার করছেন না। আর লুটপাটের জন্য তাদের কোনো শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে জানা যায় না।

লুটপাটের ঘটনা এখন কমে এসেছে। তারপরও দেশের অনেক স্থানে এখনো লুটপাট হচ্ছে। গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহ আমাদের এই ধারণাই দেয় যে, একশ্রেণীর মানুষ সুযোগ পেলেই লুট করে। যার প্রভাব বেশি সে বড় কিছু লুট করে। যার প্রভাব কম বা সুযোগ সীমিত সে ছোট কিছু লুট করে। সুযোগ পেলে লতাপাতা লুট করতেও তারা পিছপা হয় না।

দেশে এখন ব্যাংক দখলের লড়াই শুরু হয়েছে। এজন্য গোলাগুলিও হয়েছে কোনো কোনো ব্যাংকে। দেশে ব্যাংক খাত এমনিতেই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এখন এই দখল-পাল্টা দখলের লড়াই শুরু হলে এই খাতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। যা অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করবে। গ্রাহক ও আমানতকারীরা ব্যাংকের ওপর আস্থা হারাবে। কাজেই অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিগত কালে ব্যাংক লুটপাট হয়েছে, অর্থ পাচার হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে সেটা নিশ্চয় রাতারাতি করা সম্ভব হবে না। অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। আমরা আশা করব অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

back to top