alt

opinion » editorial

মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান

: বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট ২০২৪

দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ বেশকিছু জায়গায় হামলার শিকার হচ্ছেন। তাদের বসতি, উপাসনালয়, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুট, অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। তারা যখন হামলা-নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন, জানমালের নিরাপত্তা চাচ্ছেন তখন আশার বাণী শোনালেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ধর্মীয় পরিচয়ে নয়, মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আপনারা বলবেন যে, আমরা মানুষ, আমরা বাংলাদেশের মানুষ। আমার সাংবিধানিক অধিকার এই, এটা আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন আর কিছুই চাইবেন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ, এক অধিকার, এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না।’

আমরা বলতে চাই, প্রধান উপদেষ্টা যথার্থই বলেছেন যে, ‘আমরা এক মানুষ, এক অধিকার।’ দেশের সব মানুষের এই একটাই পরিচয় হওয়া উচিত যে, তারা বাংলাদেশের নাগরিক। এটা ভিন্ন আর কোনো পরিচয়ের মাধ্যমে বিভাজন সৃষ্টি করা উচিত নয়। কার ধর্ম কী সেটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে বিবেচ্য হতে পারে না।

ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী নির্বিশেষে অভিন্ন পরিচয়ে বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। মানুষ চেয়েছে, স্বাধীন দেশে অতীতের মতো ধর্মের নামে বিভাজন হবে না, ধর্মের ভিত্তিতে কে সংখ্যাগুরু আর কে সংখ্যালঘু সেটা নির্ধারণ করা চলবে না। এই লক্ষ্য গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ে কতটা অর্জিত হয়েছে সেই প্রশ্ন রয়েছে। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষকে হামলা-নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। গত পাঁচ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও একই চিত্র দেখা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘এমন বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাচ্ছি, যেটা একটা পরিবার, এটাই হচ্ছে মূল জিনিস। এই পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করার প্রশ্নই আসে না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশি।’

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, রাষ্ট্রের প্রতিটি বিভাগ তার বক্তব্যের মর্মার্থ অনুধাবন করবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে। রাষ্ট্রের কাছে সেবা পাওয়া বা ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয় যেন বিচার্য্য বিষয় না হয়। কোনো ক্ষেত্রে ধর্মীয় পরিচয়ে নাগরিকদের মধ্যে বিভাজন করা যাবে না। দেশের বিদ্যমান আইনে নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। আইনের চোখে সবাই সমান। আইনের শাসন নিশ্চিত করা গেলে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষে মানুষে বিভেদ করার সুযোগ আপনাতেই থাকবে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান

বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট ২০২৪

দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ বেশকিছু জায়গায় হামলার শিকার হচ্ছেন। তাদের বসতি, উপাসনালয়, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুট, অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। তারা যখন হামলা-নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন, জানমালের নিরাপত্তা চাচ্ছেন তখন আশার বাণী শোনালেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ধর্মীয় পরিচয়ে নয়, মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আপনারা বলবেন যে, আমরা মানুষ, আমরা বাংলাদেশের মানুষ। আমার সাংবিধানিক অধিকার এই, এটা আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন আর কিছুই চাইবেন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ, এক অধিকার, এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না।’

আমরা বলতে চাই, প্রধান উপদেষ্টা যথার্থই বলেছেন যে, ‘আমরা এক মানুষ, এক অধিকার।’ দেশের সব মানুষের এই একটাই পরিচয় হওয়া উচিত যে, তারা বাংলাদেশের নাগরিক। এটা ভিন্ন আর কোনো পরিচয়ের মাধ্যমে বিভাজন সৃষ্টি করা উচিত নয়। কার ধর্ম কী সেটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে বিবেচ্য হতে পারে না।

ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী নির্বিশেষে অভিন্ন পরিচয়ে বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। মানুষ চেয়েছে, স্বাধীন দেশে অতীতের মতো ধর্মের নামে বিভাজন হবে না, ধর্মের ভিত্তিতে কে সংখ্যাগুরু আর কে সংখ্যালঘু সেটা নির্ধারণ করা চলবে না। এই লক্ষ্য গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ে কতটা অর্জিত হয়েছে সেই প্রশ্ন রয়েছে। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষকে হামলা-নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। গত পাঁচ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও একই চিত্র দেখা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘এমন বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাচ্ছি, যেটা একটা পরিবার, এটাই হচ্ছে মূল জিনিস। এই পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করার প্রশ্নই আসে না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশি।’

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, রাষ্ট্রের প্রতিটি বিভাগ তার বক্তব্যের মর্মার্থ অনুধাবন করবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে। রাষ্ট্রের কাছে সেবা পাওয়া বা ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয় যেন বিচার্য্য বিষয় না হয়। কোনো ক্ষেত্রে ধর্মীয় পরিচয়ে নাগরিকদের মধ্যে বিভাজন করা যাবে না। দেশের বিদ্যমান আইনে নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। আইনের চোখে সবাই সমান। আইনের শাসন নিশ্চিত করা গেলে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষে মানুষে বিভেদ করার সুযোগ আপনাতেই থাকবে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

back to top