alt

opinion » editorial

ভয়াবহ বন্যা : বিভ্রান্তি নয়, মানুষকে প্রকৃত তথ্য জানান

: রোববার, ২৫ আগস্ট ২০২৪

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়েছে দেশের উত্তর-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলে। বন্যা কেন এতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করলো সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। নানানজন নানানভাবে বন্যার ভয়াবহতার কারণ বিশ্লেষণ করছেন। বিশেষজ্ঞরা কারণ বিশ্লেষণ করছেন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে। তবে সাধারণ মানুষ তথ্য-উপাত্তের ধার ধারছেন না, ধারণার বশর্বতী হয়ে তারা মনগড়া কারণ বিশ্লেষণ করছেন। সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা প্রকাশও করছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীল কোনো কোনো উপদেষ্টাকে বন্যার ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। তারা অভিযোগ করেছেন, “বাংলাদেশকে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ না দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”

আগাম সতর্কতা ছাড়াই ড্যাম খুলে দেয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি দাবি করেছেন, “জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো গেট খুলে দেয়া হয়নি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারের সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৯৪ মিটার। পানির স্তরের বেশি উঠলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি গেট দিয়ে বেড়িয়ে যাবে। পানির স্তর আবার নিচে নেমে গেলে সেটা আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।”

বাংলাদেশের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঁধ আর ড্যাম দুটো ভিন্ন বিষয়। পানির স্তর বেড়ে গেলে ড্যামের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য গেইট খুলে দেয়া অস্ব^াভাবিক নয়। বরং গেট খোলা না হলে ড্যামে বড় ধরনের ক্ষতি হলে সেটা আরও বড় বিপরর্যায় ডেকে আনতে পারে।

বন্যা মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি যথাযথ ছিল কি না সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এ মাসে যে বন্যা হতে পারে সেটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত জুলাইয়ের শুরুতেই তৎকালীন সরকার প্রধান বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেয়ার কথাও বলেছিলেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর গণমাধ্যমে দাবি করেছে, তাদের কাছে থাকা বন্যা সংক্রান্ত আগাম তথ্য তারা বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর দাবি সত্য হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল সেটা আমরা জানতে চাইব। বন্যা ভয়াবহ আঁকার ধারণ করলো কেন সেটার প্রকৃত কারণ বের করে মানুষকে জানানো জরুরি। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাদের কাজটি ঠিকঠাক করতে পেরেছেন কি না সেটাও জানা দরকার। কেউ যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না সেটা আমরা জানতে চাইব। কারণ এই বন্যায় লাখো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

পাশাপাশি আমরা আশা করব যে, সরকারের দায়িত্বশীলরা তাদের বক্তব্যে ও কাজ দায়িত্ববান হবেন। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে কথা বলা ও কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। সেটা না হলে মানুষ একইসঙ্গে বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধারণার বশর্বতী হয়ে কথা বলা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। এটা সমূহ ক্ষতির কারণ হতে পারে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

ভয়াবহ বন্যা : বিভ্রান্তি নয়, মানুষকে প্রকৃত তথ্য জানান

রোববার, ২৫ আগস্ট ২০২৪

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়েছে দেশের উত্তর-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলে। বন্যা কেন এতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করলো সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। নানানজন নানানভাবে বন্যার ভয়াবহতার কারণ বিশ্লেষণ করছেন। বিশেষজ্ঞরা কারণ বিশ্লেষণ করছেন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে। তবে সাধারণ মানুষ তথ্য-উপাত্তের ধার ধারছেন না, ধারণার বশর্বতী হয়ে তারা মনগড়া কারণ বিশ্লেষণ করছেন। সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা প্রকাশও করছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীল কোনো কোনো উপদেষ্টাকে বন্যার ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। তারা অভিযোগ করেছেন, “বাংলাদেশকে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ না দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”

আগাম সতর্কতা ছাড়াই ড্যাম খুলে দেয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি দাবি করেছেন, “জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো গেট খুলে দেয়া হয়নি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারের সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৯৪ মিটার। পানির স্তরের বেশি উঠলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি গেট দিয়ে বেড়িয়ে যাবে। পানির স্তর আবার নিচে নেমে গেলে সেটা আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।”

বাংলাদেশের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঁধ আর ড্যাম দুটো ভিন্ন বিষয়। পানির স্তর বেড়ে গেলে ড্যামের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য গেইট খুলে দেয়া অস্ব^াভাবিক নয়। বরং গেট খোলা না হলে ড্যামে বড় ধরনের ক্ষতি হলে সেটা আরও বড় বিপরর্যায় ডেকে আনতে পারে।

বন্যা মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি যথাযথ ছিল কি না সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এ মাসে যে বন্যা হতে পারে সেটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত জুলাইয়ের শুরুতেই তৎকালীন সরকার প্রধান বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেয়ার কথাও বলেছিলেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর গণমাধ্যমে দাবি করেছে, তাদের কাছে থাকা বন্যা সংক্রান্ত আগাম তথ্য তারা বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর দাবি সত্য হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল সেটা আমরা জানতে চাইব। বন্যা ভয়াবহ আঁকার ধারণ করলো কেন সেটার প্রকৃত কারণ বের করে মানুষকে জানানো জরুরি। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাদের কাজটি ঠিকঠাক করতে পেরেছেন কি না সেটাও জানা দরকার। কেউ যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না সেটা আমরা জানতে চাইব। কারণ এই বন্যায় লাখো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

পাশাপাশি আমরা আশা করব যে, সরকারের দায়িত্বশীলরা তাদের বক্তব্যে ও কাজ দায়িত্ববান হবেন। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে কথা বলা ও কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। সেটা না হলে মানুষ একইসঙ্গে বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধারণার বশর্বতী হয়ে কথা বলা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। এটা সমূহ ক্ষতির কারণ হতে পারে।

back to top