alt

opinion » editorial

লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি ধীরে নামছে কেন

: বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের পশ্চিম দিঘলী গ্রামের বেড়িবাঁধে অস্থায়ী ছাউনি বা ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে বাস করছে দুই শতাধিক পরিবার। বন্যাদুর্গত এসব পরিবার এখনো ফিরতে পারেনি নিজ ঘরে। কারণ তাদের বসতবাড়ি এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে।

শুধু এই একটি গ্রামই নয়, লক্ষ্মীপুরের আরও অনেক এলাকা এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কমবেশি ২৫টি ইউনিয়নে পানি রয়েছে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিবন্দী হাজারো মানুষ। এসব এলাকা থেকে বন্যার পানি সহজে সরছে না, যে কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। বন্যার পানি কমার অপেক্ষায় আছেন তারা।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের ২ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী রয়েছে। আর ১৩ হাজার ৩৪ মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। তারা নিজ ঘরে ফিরতে পারছেন না। অনেক স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি কমছে না কেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, খালে পানিপ্রবাহ কমে গেছে। জেলার বেশকিছু খাল দখলে-দূষণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে মেঘনা নদীতে বন্যার পানি নামতে পারছে না।

জেলার বিভিন্ন খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো কোনো খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হয়। খালের উপর অপরিকল্পিত ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এসব কারণে খালের গভীরতা কমে গেছে।

জেলার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী গণমাধ্যমকে বলেছেন, লক্ষ্মীপুরে এখন যে বন্যা হচ্ছে, তার বেশির ভাগ অংশই জলাবদ্ধতা থেকে সৃষ্টি হয়েছে। জেলার বিশাল জনগোষ্ঠী পানিবন্দী হলেও মেঘনা নদীতে পানি নেই। জলাবদ্ধতার মূল কারণ খাল দখল ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন। এ কারণে বৃষ্টির পানি নদীতে নামতে পারেনি।

আমরা বলতে চাই, লক্ষ্মীপুরের যেসব এলাকায় এখনো বন্যার পানি রয়েছে সেখানে ত্রাণতৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। এসব এলাকার মানুষ যেন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত না হন সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। জেলার খালগুলোকে দখল-দূষণমুক্ত করা জরুরি। খালের উপর নির্মিত সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি ধীরে নামছে কেন

বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের পশ্চিম দিঘলী গ্রামের বেড়িবাঁধে অস্থায়ী ছাউনি বা ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে বাস করছে দুই শতাধিক পরিবার। বন্যাদুর্গত এসব পরিবার এখনো ফিরতে পারেনি নিজ ঘরে। কারণ তাদের বসতবাড়ি এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে।

শুধু এই একটি গ্রামই নয়, লক্ষ্মীপুরের আরও অনেক এলাকা এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কমবেশি ২৫টি ইউনিয়নে পানি রয়েছে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিবন্দী হাজারো মানুষ। এসব এলাকা থেকে বন্যার পানি সহজে সরছে না, যে কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। বন্যার পানি কমার অপেক্ষায় আছেন তারা।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের ২ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী রয়েছে। আর ১৩ হাজার ৩৪ মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। তারা নিজ ঘরে ফিরতে পারছেন না। অনেক স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি কমছে না কেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, খালে পানিপ্রবাহ কমে গেছে। জেলার বেশকিছু খাল দখলে-দূষণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে মেঘনা নদীতে বন্যার পানি নামতে পারছে না।

জেলার বিভিন্ন খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো কোনো খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হয়। খালের উপর অপরিকল্পিত ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এসব কারণে খালের গভীরতা কমে গেছে।

জেলার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী গণমাধ্যমকে বলেছেন, লক্ষ্মীপুরে এখন যে বন্যা হচ্ছে, তার বেশির ভাগ অংশই জলাবদ্ধতা থেকে সৃষ্টি হয়েছে। জেলার বিশাল জনগোষ্ঠী পানিবন্দী হলেও মেঘনা নদীতে পানি নেই। জলাবদ্ধতার মূল কারণ খাল দখল ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন। এ কারণে বৃষ্টির পানি নদীতে নামতে পারেনি।

আমরা বলতে চাই, লক্ষ্মীপুরের যেসব এলাকায় এখনো বন্যার পানি রয়েছে সেখানে ত্রাণতৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। এসব এলাকার মানুষ যেন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত না হন সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। জেলার খালগুলোকে দখল-দূষণমুক্ত করা জরুরি। খালের উপর নির্মিত সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top