alt

সম্পাদকীয়

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪-এ বাংলাদেশের অবস্থান একটি দ্বৈতচিত্র উপস্থাপন করে। প্রতিবেদনে একদিকে আছে উন্নতির ইঙ্গিত, অন্যদিকে চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা। ১২৭টি দেশের মধ্যে ৮৪তম স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। ১৯ দশমিক ৪ স্কোর পেয়ে মাঝারি ক্ষুধার কাতারে অবস্থান করছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে এটি ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে ভালো, তবে নেপাল ও শ্রীলংকার তুলনায় পিছিয়ে।

বাংলাদেশের ক্ষুধা সূচকে উন্নতি গত কয়েক দশকের প্রচেষ্টার ফসল। অপুষ্টি, শিশুমৃত্যু এবং খর্বকায়তার হার আগের চেয়ে কমেছে। তবে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনো জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২-এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। দেশের জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগছে; ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ খর্বকায়। প্রশ্ন হচ্ছে এর কারণ কী।

জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় বাধা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং কৃষিতে জলবায়ুর প্রভাব খাদ্যের উৎপাদন ও সরবরাহকে ব্যাহত করছে। পাশাপাশি, লিঙ্গবৈষম্যের কারণে নারীরা খাদ্য নিরাপত্তা থেকে আরও বঞ্চিত হন। নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের লোকজ জ্ঞান খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে করণীয় কী সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্ষুধা দূরীকরণে বাংলাদেশের জন্য কার্যকর ও টেকসই কৌশল গ্রহণ অপরিহার্য। জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে হবে। কৃষিতে টেকসই পদ্ধতি, সেচ ব্যবস্থা উন্নতকরণ, এবং খাদ্য বৈচিত্র্য রক্ষায় জোর দেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি জোরদার করতে হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টি নিশ্চিত করতে সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়াতে হবে।

নারীর ক্ষমতায়ন ঘটানোও অত্যন্ত জরুরি। নারীর ভূমিকা ও জ্ঞান কাজে লাগাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। নিতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি। সব শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রয়োজন বিবেচনা করে খাদ্যনীতি তৈরি ও বাস্তবায়ন জরুরি।

ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, কার্যকর বাস্তবায়ন এবং সবাই অংশীদারের সমন্বিত প্রচেষ্টা। বর্তমান উন্নতি প্রশংসনীয়, তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও সাহসী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু একটি মানবিক চ্যালেঞ্জ নয়, এটি টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

tab

সম্পাদকীয়

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪-এ বাংলাদেশের অবস্থান একটি দ্বৈতচিত্র উপস্থাপন করে। প্রতিবেদনে একদিকে আছে উন্নতির ইঙ্গিত, অন্যদিকে চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা। ১২৭টি দেশের মধ্যে ৮৪তম স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। ১৯ দশমিক ৪ স্কোর পেয়ে মাঝারি ক্ষুধার কাতারে অবস্থান করছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে এটি ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে ভালো, তবে নেপাল ও শ্রীলংকার তুলনায় পিছিয়ে।

বাংলাদেশের ক্ষুধা সূচকে উন্নতি গত কয়েক দশকের প্রচেষ্টার ফসল। অপুষ্টি, শিশুমৃত্যু এবং খর্বকায়তার হার আগের চেয়ে কমেছে। তবে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনো জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২-এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। দেশের জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগছে; ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ খর্বকায়। প্রশ্ন হচ্ছে এর কারণ কী।

জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় বাধা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং কৃষিতে জলবায়ুর প্রভাব খাদ্যের উৎপাদন ও সরবরাহকে ব্যাহত করছে। পাশাপাশি, লিঙ্গবৈষম্যের কারণে নারীরা খাদ্য নিরাপত্তা থেকে আরও বঞ্চিত হন। নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের লোকজ জ্ঞান খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে করণীয় কী সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্ষুধা দূরীকরণে বাংলাদেশের জন্য কার্যকর ও টেকসই কৌশল গ্রহণ অপরিহার্য। জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে হবে। কৃষিতে টেকসই পদ্ধতি, সেচ ব্যবস্থা উন্নতকরণ, এবং খাদ্য বৈচিত্র্য রক্ষায় জোর দেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি জোরদার করতে হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টি নিশ্চিত করতে সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়াতে হবে।

নারীর ক্ষমতায়ন ঘটানোও অত্যন্ত জরুরি। নারীর ভূমিকা ও জ্ঞান কাজে লাগাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। নিতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি। সব শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রয়োজন বিবেচনা করে খাদ্যনীতি তৈরি ও বাস্তবায়ন জরুরি।

ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, কার্যকর বাস্তবায়ন এবং সবাই অংশীদারের সমন্বিত প্রচেষ্টা। বর্তমান উন্নতি প্রশংসনীয়, তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও সাহসী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু একটি মানবিক চ্যালেঞ্জ নয়, এটি টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।

back to top