যশোর জেলার কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার ছয় ইউনিয়নের অনেক জমির বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। টানা চার বছর স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে জমিতে বোরো আবাদ করতে না পেরে এসব এলাকার কয়েক হাজার কৃষক বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সরকারি হিসেবে সেখানকার ২২টি বিলে মোট জমির পরিমাণ ৫ হাজার ৪শ হেক্টর। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে এবার বোরো আবাদ হবে না বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। তবে বাস্তবে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে আবাদ হবে না বলে কৃষকদের দাবি।
সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কেশবপুরের ইউনিয়নের ২২টি ছোট-বড় বিল রয়েছে। বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে বিভিন্ন খাল দিয়ে নদীতে নিষ্কাশিত হতো। কিন্তু পলি জমে নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ৮০র দশক থেকে কেশবপুরের ৫ ইউনিয়নের বিশাল এলাকার ২২টি বিল স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে।
গত জুলাই ও আগস্টের ভারি বর্ষণের পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে ২৭ বিলে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বর্ষার অতিরিক্ত পানি বিল খুকশিয়ার ও হরি নদীর মোধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী ডায়ের খালের জলকপাটটি দীর্ঘদিন পলি পড়ে ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশন হতে পারেনি। উপজেলার ৫৮ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘ ৫ মাস ধরে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বছরের পর বছর সেচ পাম্পের সাহায্যে পানি নিষ্কাশন করে ২৭ বিলের বোরো আবাদ করে আসছে। স্বেচ্ছাশ্রমে জনগণ জলকপাট পলি অপসারণ করে সচল করলেও নদীর তলদেশ উঁচু থাকায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এর ফলে নদীর তলদেশ থেকে বিলগুলো নিচু হওয়ায় তার গ্রামটি সারা বছরই জলাবদ্ধ থাকে। বন্যার পানি নিষ্কাশন করে কৃষকরা বোরো আবাদ করবে কিভাবে তা নিয়ে অনিশ্চিত।
আমরা বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার জমিকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে স্থায়ী উদ্ধার করে পুনরায় ফসলি জমিতে রূপান্তর করার দৃঢ় উদ্যোগ নিতে হবে।
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
যশোর জেলার কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার ছয় ইউনিয়নের অনেক জমির বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। টানা চার বছর স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে জমিতে বোরো আবাদ করতে না পেরে এসব এলাকার কয়েক হাজার কৃষক বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সরকারি হিসেবে সেখানকার ২২টি বিলে মোট জমির পরিমাণ ৫ হাজার ৪শ হেক্টর। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে এবার বোরো আবাদ হবে না বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। তবে বাস্তবে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে আবাদ হবে না বলে কৃষকদের দাবি।
সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কেশবপুরের ইউনিয়নের ২২টি ছোট-বড় বিল রয়েছে। বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে বিভিন্ন খাল দিয়ে নদীতে নিষ্কাশিত হতো। কিন্তু পলি জমে নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ৮০র দশক থেকে কেশবপুরের ৫ ইউনিয়নের বিশাল এলাকার ২২টি বিল স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে।
গত জুলাই ও আগস্টের ভারি বর্ষণের পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে ২৭ বিলে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বর্ষার অতিরিক্ত পানি বিল খুকশিয়ার ও হরি নদীর মোধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী ডায়ের খালের জলকপাটটি দীর্ঘদিন পলি পড়ে ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশন হতে পারেনি। উপজেলার ৫৮ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘ ৫ মাস ধরে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বছরের পর বছর সেচ পাম্পের সাহায্যে পানি নিষ্কাশন করে ২৭ বিলের বোরো আবাদ করে আসছে। স্বেচ্ছাশ্রমে জনগণ জলকপাট পলি অপসারণ করে সচল করলেও নদীর তলদেশ উঁচু থাকায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এর ফলে নদীর তলদেশ থেকে বিলগুলো নিচু হওয়ায় তার গ্রামটি সারা বছরই জলাবদ্ধ থাকে। বন্যার পানি নিষ্কাশন করে কৃষকরা বোরো আবাদ করবে কিভাবে তা নিয়ে অনিশ্চিত।
আমরা বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার জমিকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে স্থায়ী উদ্ধার করে পুনরায় ফসলি জমিতে রূপান্তর করার দৃঢ় উদ্যোগ নিতে হবে।