alt

সম্পাদকীয়

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। একটি সেতু নদ-নদী অথবা খালবিলে দুই পারের মেলবন্ধনের মতো কাজ করে। সেতুর ব্যবহার বহুমুখী। এটি শুধু যাতায়াতের ক্ষেত্রে সংযোগই স্থাপন করে না, স্থানীয় অর্থনীতিতেও এর গুরুত্ব অনেক। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, প্রায়ই দেখা যায়- সেতুর দরকার যেখানে, সেতু নেই সেখানে। অনেক প্রকল্প ঘিরে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতি, অবহেলার অভিযোগ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নগরপাড়া এলাকার সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বালু নদীর উপর সেতু নির্মাণের দরপত্র ২০০১ সালে আহ্বান করা হয়। সেতু নির্মাণে মেসার্স ইস্টার্ন ট্রেডার্স লিমিটেড দায়িত্ব পায়। প্রায় ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৫ দশমিক ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে। এক বছরের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, সেতু নির্মাণে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে মাত্র ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এরপর আর কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

বর্তমানে বালু সেতুর দুটি পিয়ার, পিয়ার কলম, একদিকের এবার্টমেন্ট ও উইংওয়াল নির্মাণের পর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সেতুর সংযোগ সড়কের বেহাল দশা। ওই সড়কের সলিং করা ইট উঠে গেছে। ব্যবহৃত রড মরীচিকা ধরেছে। সিডিউল অনুযায়ী সিমেন্ট, রড, বালি, পাথরসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় একপর্যায়ে নির্মাণ কাজে স্থবিরতা নেমে আসে। এরকম নানা প্রতিকূলতায় বালু সেতু নির্মাণ কাজ ২১বছরেও শেষ হয়নি। পূনঃরায় ২০২১সালে অসমাপ্ত বালু সেতু নির্মাণে দায়িত্ত পায় আরেকটি প্রতিষ্ঠান এবং নির্মাণ ব্যায় ধরা হয় ১৩ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী ২০২১সালের মে মাসে কাজ শুরু করার কথাও ছিলো। অজ্ঞাত কারনে দ্বিতীয় দফায় সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

বালু নদীর সেতু নির্মাণ হলে কমে যেত রাজধানী ঢাকার যানজট আর দূরত্ব। এই নগর সেতুর জন্য রূপগঞ্জসহ আশপাশের লাখো মানুষকে ১২-১৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে রাজধানী ঢাকায় যেতে হয়। অথচ এ সেতুটি হলে মাত্র ২০ মিনিটে বাসিন্দারা ঢাকায় যেতে পারবেন। সেতুটি নির্মিত হলে কাঁচপুর ও সুলতানা কামাল সেতুর যানজটও কমে যাবে।

আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধানে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জনগণের ভোগান্তি দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সেতুর কাজ সমাপ্ত করতে হবে।

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

tab

সম্পাদকীয়

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। একটি সেতু নদ-নদী অথবা খালবিলে দুই পারের মেলবন্ধনের মতো কাজ করে। সেতুর ব্যবহার বহুমুখী। এটি শুধু যাতায়াতের ক্ষেত্রে সংযোগই স্থাপন করে না, স্থানীয় অর্থনীতিতেও এর গুরুত্ব অনেক। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, প্রায়ই দেখা যায়- সেতুর দরকার যেখানে, সেতু নেই সেখানে। অনেক প্রকল্প ঘিরে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতি, অবহেলার অভিযোগ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নগরপাড়া এলাকার সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বালু নদীর উপর সেতু নির্মাণের দরপত্র ২০০১ সালে আহ্বান করা হয়। সেতু নির্মাণে মেসার্স ইস্টার্ন ট্রেডার্স লিমিটেড দায়িত্ব পায়। প্রায় ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৫ দশমিক ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে। এক বছরের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, সেতু নির্মাণে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে মাত্র ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এরপর আর কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

বর্তমানে বালু সেতুর দুটি পিয়ার, পিয়ার কলম, একদিকের এবার্টমেন্ট ও উইংওয়াল নির্মাণের পর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সেতুর সংযোগ সড়কের বেহাল দশা। ওই সড়কের সলিং করা ইট উঠে গেছে। ব্যবহৃত রড মরীচিকা ধরেছে। সিডিউল অনুযায়ী সিমেন্ট, রড, বালি, পাথরসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় একপর্যায়ে নির্মাণ কাজে স্থবিরতা নেমে আসে। এরকম নানা প্রতিকূলতায় বালু সেতু নির্মাণ কাজ ২১বছরেও শেষ হয়নি। পূনঃরায় ২০২১সালে অসমাপ্ত বালু সেতু নির্মাণে দায়িত্ত পায় আরেকটি প্রতিষ্ঠান এবং নির্মাণ ব্যায় ধরা হয় ১৩ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী ২০২১সালের মে মাসে কাজ শুরু করার কথাও ছিলো। অজ্ঞাত কারনে দ্বিতীয় দফায় সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

বালু নদীর সেতু নির্মাণ হলে কমে যেত রাজধানী ঢাকার যানজট আর দূরত্ব। এই নগর সেতুর জন্য রূপগঞ্জসহ আশপাশের লাখো মানুষকে ১২-১৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে রাজধানী ঢাকায় যেতে হয়। অথচ এ সেতুটি হলে মাত্র ২০ মিনিটে বাসিন্দারা ঢাকায় যেতে পারবেন। সেতুটি নির্মিত হলে কাঁচপুর ও সুলতানা কামাল সেতুর যানজটও কমে যাবে।

আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধানে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জনগণের ভোগান্তি দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সেতুর কাজ সমাপ্ত করতে হবে।

back to top