alt

opinion » editorial

পাহাড় ধসে মর্মান্তিক মৃত্যু

: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাহাড় ধসে কক্সবাজারে মর্মান্তিকভাবে ছয়জন মারা গেছেন। ভারী বৃষ্টির কারণে গত বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককূলে তিনজন মারা গেছেন। উখিয়া উপজেলার ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মারা গেছেন তিনজন।

কক্সবাজারে বৃষ্টি হচ্ছে গত বুধবার থেকে। সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেদিন চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। ভারী বৃষ্টির প্রভাবে জেলা শহরসহ অনেক গ্রাম জলাবদ্ধতার শিকার হয়।

পাহাড়ের পাদদেশে অনেক বসতি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারী বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে পড়ে। তখন পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এর ফলে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানে বসবাসরত মানুষ হতাহত হন। ভারী বর্ষণের কারণে গত ১৯ জুন উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় ১০ জন মারা গিয়েছিলেন। এরপর ২১ জুন বাদশাঘোনায় পাহাড় ধসে দুজন মারা যান। গত ৩ জুলাই উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পাহাড় ধসে মারা গেছেন দুজন। ১১ জুলাই কক্সবাজার শহরে মারা গেছেন দুজন।

প্রশ্ন হচ্ছে, কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাতের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানত কিনা। ভারী বৃষ্টিপাত হলে যে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটাতে পারে, এতে জানমালের ক্ষতি হতে পারে সেটা জানা কথা। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ আগাম কোনো ব্যবস্থা নিয়েছিল কিনা।

অবশ্য বৃষ্টির আগাম বার্তা জানা থাকলেও অনেক সময় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা বসতির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলে। তবে প্রায় ক্ষেত্রেই তাতে মানুষ সাড়া দেয় না। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী মানুষদের বেশির ভাগই নিম্নআয়ের দরিদ্র মানুষ। নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য তাদের নেই। যে কারণে সতর্কবার্তা জানলেও তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা থাকে না।

পাহাড়ের পাদদেশে যারা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে তাদের টেকসই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দরকার। দেশের পাহাড়গুলো রক্ষা করতে হবে। নির্বিচারে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

পাহাড় ধসে মর্মান্তিক মৃত্যু

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাহাড় ধসে কক্সবাজারে মর্মান্তিকভাবে ছয়জন মারা গেছেন। ভারী বৃষ্টির কারণে গত বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককূলে তিনজন মারা গেছেন। উখিয়া উপজেলার ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মারা গেছেন তিনজন।

কক্সবাজারে বৃষ্টি হচ্ছে গত বুধবার থেকে। সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেদিন চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। ভারী বৃষ্টির প্রভাবে জেলা শহরসহ অনেক গ্রাম জলাবদ্ধতার শিকার হয়।

পাহাড়ের পাদদেশে অনেক বসতি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারী বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে পড়ে। তখন পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এর ফলে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানে বসবাসরত মানুষ হতাহত হন। ভারী বর্ষণের কারণে গত ১৯ জুন উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় ১০ জন মারা গিয়েছিলেন। এরপর ২১ জুন বাদশাঘোনায় পাহাড় ধসে দুজন মারা যান। গত ৩ জুলাই উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পাহাড় ধসে মারা গেছেন দুজন। ১১ জুলাই কক্সবাজার শহরে মারা গেছেন দুজন।

প্রশ্ন হচ্ছে, কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাতের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানত কিনা। ভারী বৃষ্টিপাত হলে যে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটাতে পারে, এতে জানমালের ক্ষতি হতে পারে সেটা জানা কথা। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ আগাম কোনো ব্যবস্থা নিয়েছিল কিনা।

অবশ্য বৃষ্টির আগাম বার্তা জানা থাকলেও অনেক সময় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা বসতির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলে। তবে প্রায় ক্ষেত্রেই তাতে মানুষ সাড়া দেয় না। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী মানুষদের বেশির ভাগই নিম্নআয়ের দরিদ্র মানুষ। নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য তাদের নেই। যে কারণে সতর্কবার্তা জানলেও তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা থাকে না।

পাহাড়ের পাদদেশে যারা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে তাদের টেকসই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দরকার। দেশের পাহাড়গুলো রক্ষা করতে হবে। নির্বিচারে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top