alt

opinion » editorial

ঈদে মিলাদুন্নবী

: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ ঈদে মিলাদুন্নবী। এইদিনে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মোহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। আজকের দিনটিই তার মৃত্যুদিবস। বিশ্বের মুসলিমরা ঈদে মিলাদুন্নবীকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন।

আরব বিশ্ব একসময় পৌত্তলিকতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল। সেখানে সর্বত্র অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। এ কারণে সেই সময়কে বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়াত। মহান আল্লাহ এই অবস্থা থেকে মানুষকে উদ্ধারের জন্য হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। ৫৭০ সালের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীতে কুরাইশ বংশে তার জন্ম হয়।

দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা সম্পর্কে তার অনুসারীদের আত্মজিজ্ঞাসা প্রয়োজন। যে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদাযাপনের ক্ষেত্রে অনুসারীদের মধ্যে এই মনোভাব জাগ্রত হওয়া প্রয়োজন যে, মহামানবদের জীবন ও আদর্শ নিজের জীবনে অনুশীলন ও অনুসরণ করতে হবে।

বিদায় হজের দিন মহানবী রাসুলে করিম (সা.) এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন, ‘তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, অতীতে বহু জাতি এজন্য ধ্বংস হয়ে গেছে।’

দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, দেশে প্রায়ই ধর্মকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আজ ধর্মের নামে মাজার-দরগায় হামলা হচ্ছে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হামলা চালাতে দেখা যায়। কখনো কখনো ফেইসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানোর মন্দ প্রবণতা দেখা দেয়। ধর্মান্ধ একটি গোষ্ঠী ইসলামের মূল শিক্ষা ‘শান্তি ও সহনশীলতা’কে ভুলে গিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদের দেয়াল তোলার অপচেষ্টা করে।

কিন্তু ইসলাম এই শিক্ষা দেয় না। অপপ্রচার চালিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর চড়াও হওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। ধর্মের নাম করে কোন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করা রাসুলের শিক্ষা নয়। ইসলামের নামে অন্য ধর্মের ওপর হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। ইসলাম ধর্মের শান্তির পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যারা সাধারণ মানুষের সারল্য ও ধর্মবিশ্বাসকে মূলধন করে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।

ধর্ম মানুষের কল্যাণ সাধন, মানুষে-মানুষে মৈত্রী স্থাপনের কথা বলে। রাসুলে করিম (সা.)-এর জীবনের আদর্শ ও তার চরিত্র নিজের জীবনে, কাজে ও চিন্তায় ধারণ করার সংকল্পই ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের আদর্শ পথ।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

ঈদে মিলাদুন্নবী

মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ ঈদে মিলাদুন্নবী। এইদিনে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মোহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। আজকের দিনটিই তার মৃত্যুদিবস। বিশ্বের মুসলিমরা ঈদে মিলাদুন্নবীকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন।

আরব বিশ্ব একসময় পৌত্তলিকতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল। সেখানে সর্বত্র অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। এ কারণে সেই সময়কে বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়াত। মহান আল্লাহ এই অবস্থা থেকে মানুষকে উদ্ধারের জন্য হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। ৫৭০ সালের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীতে কুরাইশ বংশে তার জন্ম হয়।

দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা সম্পর্কে তার অনুসারীদের আত্মজিজ্ঞাসা প্রয়োজন। যে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদাযাপনের ক্ষেত্রে অনুসারীদের মধ্যে এই মনোভাব জাগ্রত হওয়া প্রয়োজন যে, মহামানবদের জীবন ও আদর্শ নিজের জীবনে অনুশীলন ও অনুসরণ করতে হবে।

বিদায় হজের দিন মহানবী রাসুলে করিম (সা.) এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন, ‘তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, অতীতে বহু জাতি এজন্য ধ্বংস হয়ে গেছে।’

দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, দেশে প্রায়ই ধর্মকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আজ ধর্মের নামে মাজার-দরগায় হামলা হচ্ছে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হামলা চালাতে দেখা যায়। কখনো কখনো ফেইসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানোর মন্দ প্রবণতা দেখা দেয়। ধর্মান্ধ একটি গোষ্ঠী ইসলামের মূল শিক্ষা ‘শান্তি ও সহনশীলতা’কে ভুলে গিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদের দেয়াল তোলার অপচেষ্টা করে।

কিন্তু ইসলাম এই শিক্ষা দেয় না। অপপ্রচার চালিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর চড়াও হওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। ধর্মের নাম করে কোন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করা রাসুলের শিক্ষা নয়। ইসলামের নামে অন্য ধর্মের ওপর হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। ইসলাম ধর্মের শান্তির পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যারা সাধারণ মানুষের সারল্য ও ধর্মবিশ্বাসকে মূলধন করে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।

ধর্ম মানুষের কল্যাণ সাধন, মানুষে-মানুষে মৈত্রী স্থাপনের কথা বলে। রাসুলে করিম (সা.)-এর জীবনের আদর্শ ও তার চরিত্র নিজের জীবনে, কাজে ও চিন্তায় ধারণ করার সংকল্পই ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের আদর্শ পথ।

back to top