alt

সম্পাদকীয়

গণপিটুনি : এই নির্মমতার শেষ কোথায়

: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উচ্ছৃঙ্খল জনতার আইন নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার (মব জাস্টিস) অপসংস্কৃতি দীর্ঘদিনের সমস্যা। অতীতেও জনসাধারণের সম্মিলিত ক্ষোভের শিকার হয়েছেন অনেক ব্যক্তি। গণপিটুনিতে অনেক সময় মারা যান নিরীহ মানুষ। অনেক মৃত্যুর ঘটনার পর জানা যায়, জনতার হাতে পিটুনি খেয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি কোনো অপরাধ করেননি। নিছক গুজব বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে উচ্ছৃঙ্খল জনতা নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে।

উচ্ছৃঙ্খল জনতার নির্মম-নিষ্ঠুর আচরণ অনেক সময় দেশের মানুষকে ব্যাপক নাড়া দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ যুবককে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা দেশবাসীকে হতবাক করেছে। গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেসব ঘটনাও মানুষের মর্মবেদনা সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেন মব জাস্টিস স্থান করে নিল সেই প্রশ্ন উঠেছে।

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেশ কতগুলো মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রে জনমনে জমে থাকা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহির্প্রকাশ ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। আবার এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমেও শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। যে কারণে কারও কারও এমন ধারণা হচ্ছে যে, এই সময় আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কোনো জবাবদিহি করতে হবে না। আবার অনেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ভরসা করতে পারেন না। যে কারণে তারা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে উৎসাহী হন।

অনেক সময় হয়তো প্রকৃত অপরাধীও মব জাস্টিসের শিকার হন। তবে প্রতিটি মানুষেরই আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রয়েছে। একজন অপরাধীর বিচার হতে পারে শুধু বিধিবদ্ধ আদালতে। কোনো অবস্থাতেই কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। কাউকে কোনো কারণে অপরাধী আখ্যা দিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা চলে না। এটা এক ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা, যা আইনের শাসনের ধারণার পরিপন্থি।

মব জাস্টিস রোধ করার জন্য আইন রয়েছে। সেখানে কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। তবে মব জাস্টিসের কোনো ঘটনায় কারও শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। গণপিটুনিতে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে আদালত গণপিটুনি রোধে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল। নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনে সমস্যা নেই তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ঠিকঠাক কাজ করে না। তদন্ত প্রক্রিয়া অনেক সময় সঠিক পথে এগোয় না। আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজিরে গাফিলতি রয়েছে। মব জাস্টিস রোধ করতে হলে এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার পথ বের করতে হবে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় করতে হবে।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

tab

সম্পাদকীয়

গণপিটুনি : এই নির্মমতার শেষ কোথায়

শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উচ্ছৃঙ্খল জনতার আইন নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার (মব জাস্টিস) অপসংস্কৃতি দীর্ঘদিনের সমস্যা। অতীতেও জনসাধারণের সম্মিলিত ক্ষোভের শিকার হয়েছেন অনেক ব্যক্তি। গণপিটুনিতে অনেক সময় মারা যান নিরীহ মানুষ। অনেক মৃত্যুর ঘটনার পর জানা যায়, জনতার হাতে পিটুনি খেয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি কোনো অপরাধ করেননি। নিছক গুজব বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে উচ্ছৃঙ্খল জনতা নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে।

উচ্ছৃঙ্খল জনতার নির্মম-নিষ্ঠুর আচরণ অনেক সময় দেশের মানুষকে ব্যাপক নাড়া দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ যুবককে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা দেশবাসীকে হতবাক করেছে। গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেসব ঘটনাও মানুষের মর্মবেদনা সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেন মব জাস্টিস স্থান করে নিল সেই প্রশ্ন উঠেছে।

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেশ কতগুলো মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রে জনমনে জমে থাকা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহির্প্রকাশ ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। আবার এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমেও শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। যে কারণে কারও কারও এমন ধারণা হচ্ছে যে, এই সময় আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কোনো জবাবদিহি করতে হবে না। আবার অনেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ভরসা করতে পারেন না। যে কারণে তারা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে উৎসাহী হন।

অনেক সময় হয়তো প্রকৃত অপরাধীও মব জাস্টিসের শিকার হন। তবে প্রতিটি মানুষেরই আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রয়েছে। একজন অপরাধীর বিচার হতে পারে শুধু বিধিবদ্ধ আদালতে। কোনো অবস্থাতেই কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। কাউকে কোনো কারণে অপরাধী আখ্যা দিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা চলে না। এটা এক ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা, যা আইনের শাসনের ধারণার পরিপন্থি।

মব জাস্টিস রোধ করার জন্য আইন রয়েছে। সেখানে কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। তবে মব জাস্টিসের কোনো ঘটনায় কারও শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। গণপিটুনিতে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে আদালত গণপিটুনি রোধে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল। নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনে সমস্যা নেই তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ঠিকঠাক কাজ করে না। তদন্ত প্রক্রিয়া অনেক সময় সঠিক পথে এগোয় না। আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজিরে গাফিলতি রয়েছে। মব জাস্টিস রোধ করতে হলে এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার পথ বের করতে হবে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় করতে হবে।

back to top