alt

মতামত » সম্পাদকীয়

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

: বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪

সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে গত সোমবার শ্রমিক ও যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন এক শ্রমিক। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অনেকে। আহতদের মধ্যে শ্রমিক ও যৌথ বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জিরাবো এলাকার ম-ল গ্রুপের কারখানার সামনে।

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকদের নানা দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন করতে দেখা গেছে। পরে অন্যান্য কারখানার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও অনেক পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ প্রশমিত হয়নি। একেক কারখানায় একেক দাবিতে তাদের আন্দোলন করতে দেখা গেছে।

পরে শ্রমিকরা ১৮টা দাবি উত্থাপন করেন। এ নিয়ে সরকার-মালিক-শ্রমিক আলোচনা হয়। সরকার দাবি করে যে, এসব দাবির বিষয়ে মালিক পক্ষ এবং শ্রমিক পক্ষ মিলে একটা সমাধানে পৌঁছানো গেছে। ১৮টি ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার কথা জানিয়ে শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান শ্রম উপদেষ্টা। এরপরও কোনো কোনো কারখানায় শ্রমিকদের আন্দোলন করতে দেখা গেছে। সোমবারও কিছু কারখানার শ্রমিক আন্দোলন করছিলেন।

প্রশ্ন হলো, শ্রমিক আন্দোলন কেন সংঘাত-সংঘর্ষে রূপ নিল। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কেন গুলি ছুড়তে হলো। বলপ্রয়োগ না করে শ্রমিকদের ক্ষোভ প্রশমন করা যেত কিনা।

শ্রম উপদেষ্টা বলছেন, গার্মেন্টসে অস্থিরতা সৃষ্টিতে একটা গ্রুপ উসকানি দিচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তার বক্তব্য অনুযায়ী, আশুলিয়া শ্রমিক নিহতের ঘটনায় শ্রমিকদের ভেতর থেকে প্রথম কেউ একজন গুলি ছুড়েছিল। এরপর পরিস্থিতি সহিংস হয়ে যায়। গুজব ছড়িয়ে মুখোমুখি অবস্থায় দাঁড় করানো হয়। পুলিশ গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়েছে।

আমরা বলতে চাই, সোমবারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। ঘটনার শুরু কোথা থেকে, সেখানে সংঘাত-সংঘর্ষ কেন হলো, কে বা কারা কোন পরিস্থিতিতে গুলি ছুড়ল সেটা তদন্ত করে বের করতে হবে। সেখানে কোনো পক্ষের বাড়াবাড়ি ছিল কিনা তাও জানা দরকার। তবে তদন্ত হওয়ার আগে দায়িত্বশীল কারও এ নিয়ে আগাম কোনো মন্তব্য না করাই শ্রেয়। দায়িত্বশীল কেউ আগাম কথা বললে সেটা সুষ্ঠু তদন্ত করার কাজে বিঘœ ঘটাতে পারে। বা তদন্ত সুষ্ঠু হলেও তা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪

সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে গত সোমবার শ্রমিক ও যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন এক শ্রমিক। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অনেকে। আহতদের মধ্যে শ্রমিক ও যৌথ বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জিরাবো এলাকার ম-ল গ্রুপের কারখানার সামনে।

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকদের নানা দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন করতে দেখা গেছে। পরে অন্যান্য কারখানার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও অনেক পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ প্রশমিত হয়নি। একেক কারখানায় একেক দাবিতে তাদের আন্দোলন করতে দেখা গেছে।

পরে শ্রমিকরা ১৮টা দাবি উত্থাপন করেন। এ নিয়ে সরকার-মালিক-শ্রমিক আলোচনা হয়। সরকার দাবি করে যে, এসব দাবির বিষয়ে মালিক পক্ষ এবং শ্রমিক পক্ষ মিলে একটা সমাধানে পৌঁছানো গেছে। ১৮টি ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার কথা জানিয়ে শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান শ্রম উপদেষ্টা। এরপরও কোনো কোনো কারখানায় শ্রমিকদের আন্দোলন করতে দেখা গেছে। সোমবারও কিছু কারখানার শ্রমিক আন্দোলন করছিলেন।

প্রশ্ন হলো, শ্রমিক আন্দোলন কেন সংঘাত-সংঘর্ষে রূপ নিল। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কেন গুলি ছুড়তে হলো। বলপ্রয়োগ না করে শ্রমিকদের ক্ষোভ প্রশমন করা যেত কিনা।

শ্রম উপদেষ্টা বলছেন, গার্মেন্টসে অস্থিরতা সৃষ্টিতে একটা গ্রুপ উসকানি দিচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তার বক্তব্য অনুযায়ী, আশুলিয়া শ্রমিক নিহতের ঘটনায় শ্রমিকদের ভেতর থেকে প্রথম কেউ একজন গুলি ছুড়েছিল। এরপর পরিস্থিতি সহিংস হয়ে যায়। গুজব ছড়িয়ে মুখোমুখি অবস্থায় দাঁড় করানো হয়। পুলিশ গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়েছে।

আমরা বলতে চাই, সোমবারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। ঘটনার শুরু কোথা থেকে, সেখানে সংঘাত-সংঘর্ষ কেন হলো, কে বা কারা কোন পরিস্থিতিতে গুলি ছুড়ল সেটা তদন্ত করে বের করতে হবে। সেখানে কোনো পক্ষের বাড়াবাড়ি ছিল কিনা তাও জানা দরকার। তবে তদন্ত হওয়ার আগে দায়িত্বশীল কারও এ নিয়ে আগাম কোনো মন্তব্য না করাই শ্রেয়। দায়িত্বশীল কেউ আগাম কথা বললে সেটা সুষ্ঠু তদন্ত করার কাজে বিঘœ ঘটাতে পারে। বা তদন্ত সুষ্ঠু হলেও তা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।

back to top