alt

সম্পাদকীয়

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

: সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ময়মনসিংহ অঞ্চল। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে শেরপুর ও ময়মনসিংহের অনেক এলাকায় ভয়াবহ বন্য দেখা দিয়েছে। সেখানকার অনেক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের জমি, ভেসে গেছে মাছের খামার। গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক ডুবে গেছে। বন্যায় শেরপুরে সাতজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে অবিলম্বে। সরকারের সহায়তার পাশাপাশি, স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে সেটা আমাদের আশা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে সাধারণত মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বন্যা হয় এই সময়ে দেশে বৃষ্টি হয় আবার ভারত থেকে নেমে আসে পাহাড়ি ঢল। যে কারণে বন্যার কবলে পড়তে হয় দেশের মানুষকে দিন কয়েক আগে উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে এর আগে ভয়াবহ বন্যায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। এর আগে সিলেট অঞ্চল দফায় দফায় বন্যার শিকার হয়েছে।

এ বছর বন্যার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে বারবার ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। বন্যাদুর্গত অঞ্চলে ধান, পাট, শাকসবজি এবং অন্যান্য খাদ্যশস্যের জমি বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কৃষকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনও ব্যহত হয়েছে। আগামীতে এর কী প্রভাব পড়তে পারে সেটা একটা প্রশ্ন।

বন্যার কারণে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও কম নয়; হাজার হাজার ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। অনেক পাকা রাস্তা ও সেতু ভেঙে গেছে। বন্যার কারণে জনস্বাস্থ্যও বিপর্যস্ত হয়। বন্যার দূষিত পানি ব্যবহারে ডায়রিয়া, পানিবাহিত রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। বন্যার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর।

এবারের বন্যা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করতে আমাদের প্রস্তুতিটা আরও ভালো থাকা উচিত। কেবল অভিন্ন নদ-নদীতে প্রতিবেশী দেশের দেয়া বাঁধ সমস্যার সমাধানের আশায় বসে থাকলে চলবে না। নদী ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ঘটাতে হবে। বন্যা মোকাবিলায় আরও আধুনিক এবং প্রযুক্তিনির্ভর পূর্বাভাস ব্যবস্থা চালু করা জরুরি।

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

tab

সম্পাদকীয়

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ময়মনসিংহ অঞ্চল। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে শেরপুর ও ময়মনসিংহের অনেক এলাকায় ভয়াবহ বন্য দেখা দিয়েছে। সেখানকার অনেক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের জমি, ভেসে গেছে মাছের খামার। গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক ডুবে গেছে। বন্যায় শেরপুরে সাতজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে অবিলম্বে। সরকারের সহায়তার পাশাপাশি, স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে সেটা আমাদের আশা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে সাধারণত মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বন্যা হয় এই সময়ে দেশে বৃষ্টি হয় আবার ভারত থেকে নেমে আসে পাহাড়ি ঢল। যে কারণে বন্যার কবলে পড়তে হয় দেশের মানুষকে দিন কয়েক আগে উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে এর আগে ভয়াবহ বন্যায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। এর আগে সিলেট অঞ্চল দফায় দফায় বন্যার শিকার হয়েছে।

এ বছর বন্যার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে বারবার ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। বন্যাদুর্গত অঞ্চলে ধান, পাট, শাকসবজি এবং অন্যান্য খাদ্যশস্যের জমি বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কৃষকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনও ব্যহত হয়েছে। আগামীতে এর কী প্রভাব পড়তে পারে সেটা একটা প্রশ্ন।

বন্যার কারণে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও কম নয়; হাজার হাজার ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। অনেক পাকা রাস্তা ও সেতু ভেঙে গেছে। বন্যার কারণে জনস্বাস্থ্যও বিপর্যস্ত হয়। বন্যার দূষিত পানি ব্যবহারে ডায়রিয়া, পানিবাহিত রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। বন্যার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর।

এবারের বন্যা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করতে আমাদের প্রস্তুতিটা আরও ভালো থাকা উচিত। কেবল অভিন্ন নদ-নদীতে প্রতিবেশী দেশের দেয়া বাঁধ সমস্যার সমাধানের আশায় বসে থাকলে চলবে না। নদী ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ঘটাতে হবে। বন্যা মোকাবিলায় আরও আধুনিক এবং প্রযুক্তিনির্ভর পূর্বাভাস ব্যবস্থা চালু করা জরুরি।

back to top