alt

সম্পাদকীয়

মতপ্রকাশের কারণে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি!

: মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করার আদেশ চেয়ে কয়েকজন আইনজীবী ২৯ জুলাই হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। জেড আই খান পান্না ছিলেন সেই আবেদনকারীদের একজন। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী ওই আবেদনের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ২৯ জুলাই নাগরিক উদ্যোগে গঠিত হয় জাতীয় গণতদন্ত কমিশন। তিনি সেই কমিশনের সদস্য ছিলেন ।

ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার এই আইনজীবীকে একটি মামলার আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই গুলি করে ও পিটিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার আসামি তিনি।

বর্ষীয়ান এই আইনজীবীকে অতীতেও বিভিন্ন ইস্যুতে সোচ্চার হতে দেখা গেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ক্রসফায়ার, গুম প্রভৃতির বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা গেছে তাকে। দেশে বিভিন্ন সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া একজন আইনজীবীকে কেন হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হলো সেই প্রশ্ন উঠেছে।

জেড আই খান পান্নাকে অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীর্যক সমালোচনা করতে দেখা গেছে। প্রশ্ন উঠেছে যে, এসব সমালোচনা করা বা মতপ্রকাশের কারণে কোনো পক্ষ কি ওই মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় তার নাম ঢুকিয়েছে? এই প্রশ্ন অবান্তর নয়। বাদীর বক্তব্যও আমাদের এ কথা ভাবতে বাধ্য করছে যে, এই মামলার পেছনে কারও কোনো হীন উদ্দেশ্য আছে।

মামলার বাদী একজন সবজি বিক্রেতা। বাদী গণমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি জেড আই খান পান্নাকে চেনেন না। কীভাবে তার নাম আসামির তালিকায় এসেছে সেটাও তারা জানা নেই।

অভিযোগ আছে, বিগত সরকার আমলে নানানভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে। বিরুদ্ধ মতের মানুষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে। এ কারণে বিগত সরকারের প্রতি মানুষের মনে ক্ষোভ ছিল। এবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পেছনে বড় একটা কারণ ছিল মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করা, মতপ্রকাশের জন্য হয়রানি করা।

দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, বৈষম্য অবসানের কথা বলা অন্তর্বর্তী সরকার আমলেও মতপ্রকাশের জন্য হয়রানিমূলক মামলা দেওয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। তাহলে দেশে কী পরিবর্তন হলো? বর্তমান সরকারের দায়িত্বশীলদের কারও কারও কথার মধ্যে অনেক উসকানি থাকে। তাদের অনেকে রায় দেয়ার মতো করে কথা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দিচ্ছেন। আইন-আদালতের তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো করে কাউকে দায়মুক্তি দিচ্ছেন তো, কারও ওপর দায় চাপাচ্ছেন। বিষয়টি উদ্বেগজনক।

আমাদের সোজা কথা, মতপ্রকাশের জন্য যেন কাউকে কোনোভাবে হয়রানি করা না হয়। হয়রানিমূলক সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা জরুরি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা আদতে ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করে। এ ধরনের মামলা করা বা হয়রানিমূলক মামলা করতে উসকানি দেয়া বন্ধ করা না হলে তা কারও জন্য ভালো হবে না।

সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : জেলেদের খাদ্য সহায়তার ঘাটতি ও সমাধানের পথ

দারিদ্র্যের উদ্বেগজনক চিত্র

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করা কাম্য নয়

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

চায়না দুয়ারী জাল : জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

জলাবদ্ধতার প্রভাব ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা : জরুরি সমাধান প্রয়োজন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

tab

সম্পাদকীয়

মতপ্রকাশের কারণে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি!

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করার আদেশ চেয়ে কয়েকজন আইনজীবী ২৯ জুলাই হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। জেড আই খান পান্না ছিলেন সেই আবেদনকারীদের একজন। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী ওই আবেদনের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ২৯ জুলাই নাগরিক উদ্যোগে গঠিত হয় জাতীয় গণতদন্ত কমিশন। তিনি সেই কমিশনের সদস্য ছিলেন ।

ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার এই আইনজীবীকে একটি মামলার আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই গুলি করে ও পিটিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার আসামি তিনি।

বর্ষীয়ান এই আইনজীবীকে অতীতেও বিভিন্ন ইস্যুতে সোচ্চার হতে দেখা গেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ক্রসফায়ার, গুম প্রভৃতির বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা গেছে তাকে। দেশে বিভিন্ন সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া একজন আইনজীবীকে কেন হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হলো সেই প্রশ্ন উঠেছে।

জেড আই খান পান্নাকে অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীর্যক সমালোচনা করতে দেখা গেছে। প্রশ্ন উঠেছে যে, এসব সমালোচনা করা বা মতপ্রকাশের কারণে কোনো পক্ষ কি ওই মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় তার নাম ঢুকিয়েছে? এই প্রশ্ন অবান্তর নয়। বাদীর বক্তব্যও আমাদের এ কথা ভাবতে বাধ্য করছে যে, এই মামলার পেছনে কারও কোনো হীন উদ্দেশ্য আছে।

মামলার বাদী একজন সবজি বিক্রেতা। বাদী গণমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি জেড আই খান পান্নাকে চেনেন না। কীভাবে তার নাম আসামির তালিকায় এসেছে সেটাও তারা জানা নেই।

অভিযোগ আছে, বিগত সরকার আমলে নানানভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে। বিরুদ্ধ মতের মানুষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে। এ কারণে বিগত সরকারের প্রতি মানুষের মনে ক্ষোভ ছিল। এবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পেছনে বড় একটা কারণ ছিল মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করা, মতপ্রকাশের জন্য হয়রানি করা।

দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, বৈষম্য অবসানের কথা বলা অন্তর্বর্তী সরকার আমলেও মতপ্রকাশের জন্য হয়রানিমূলক মামলা দেওয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। তাহলে দেশে কী পরিবর্তন হলো? বর্তমান সরকারের দায়িত্বশীলদের কারও কারও কথার মধ্যে অনেক উসকানি থাকে। তাদের অনেকে রায় দেয়ার মতো করে কথা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দিচ্ছেন। আইন-আদালতের তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো করে কাউকে দায়মুক্তি দিচ্ছেন তো, কারও ওপর দায় চাপাচ্ছেন। বিষয়টি উদ্বেগজনক।

আমাদের সোজা কথা, মতপ্রকাশের জন্য যেন কাউকে কোনোভাবে হয়রানি করা না হয়। হয়রানিমূলক সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা জরুরি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা আদতে ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করে। এ ধরনের মামলা করা বা হয়রানিমূলক মামলা করতে উসকানি দেয়া বন্ধ করা না হলে তা কারও জন্য ভালো হবে না।

back to top