alt

সম্পাদকীয়

সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

: মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফুলছড়ি বিটের সংরক্ষিত বনভূমিতে বালু লুটের মহোৎসব যে মাত্রায় ঘটছে, তা পরিবেশ ও জনজীবনের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। সংরক্ষিত বনভূমি থেকে শ্যালো মেশিন দিয়ে দিন-রাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জনসাধারণের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এমন কর্মকা- প্রশাসন ও বন বিভাগের নাকের ডগায় ঘটে চলেছে।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে সংরক্ষিত বনাঞ্চল কিংবা পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবুও এই বিধান মানা হচ্ছে না।

এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন সমস্যা নয়; এটি প্রশাসনিক সমন্বয়হীনতা ও দুর্নীতির গভীরতর সংকটের একটি উদাহরণ। আইন আছে, আদালতের নির্দেশনা আছে, কিন্তু তা কার্যকর করার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষই যখন নির্লিপ্ত থাকে, তখন অপরাধীরা সহজেই আইনকে উপেক্ষা করতে সাহস পায়। এর ফলে পরিবেশগত বিপর্যয় তো হচ্ছেই, সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধানে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর নজরদারি ও আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকা- ঘটানোর সাহস কেউ না পায়। প্রশাসনের কেউ যদি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

পরিবেশ রক্ষার প্রশ্নে কোনো আপসের সুযোগ নেই। যদি এই অবৈধ বালু উত্তোলন চলতে থাকে, তাহলে পরিবেশগত বিপর্যয় আরও ঘনীভূত হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশ সংরক্ষণে সব ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনকে স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবেই আমরা একটি নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং টেকসই পরিবেশ গড়ে তুলতে পারব।

মতপ্রকাশের কারণে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি!

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : জেলেদের খাদ্য সহায়তার ঘাটতি ও সমাধানের পথ

দারিদ্র্যের উদ্বেগজনক চিত্র

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করা কাম্য নয়

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

চায়না দুয়ারী জাল : জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

জলাবদ্ধতার প্রভাব ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা : জরুরি সমাধান প্রয়োজন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

tab

সম্পাদকীয়

সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফুলছড়ি বিটের সংরক্ষিত বনভূমিতে বালু লুটের মহোৎসব যে মাত্রায় ঘটছে, তা পরিবেশ ও জনজীবনের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। সংরক্ষিত বনভূমি থেকে শ্যালো মেশিন দিয়ে দিন-রাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জনসাধারণের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এমন কর্মকা- প্রশাসন ও বন বিভাগের নাকের ডগায় ঘটে চলেছে।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে সংরক্ষিত বনাঞ্চল কিংবা পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবুও এই বিধান মানা হচ্ছে না।

এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন সমস্যা নয়; এটি প্রশাসনিক সমন্বয়হীনতা ও দুর্নীতির গভীরতর সংকটের একটি উদাহরণ। আইন আছে, আদালতের নির্দেশনা আছে, কিন্তু তা কার্যকর করার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষই যখন নির্লিপ্ত থাকে, তখন অপরাধীরা সহজেই আইনকে উপেক্ষা করতে সাহস পায়। এর ফলে পরিবেশগত বিপর্যয় তো হচ্ছেই, সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধানে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর নজরদারি ও আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকা- ঘটানোর সাহস কেউ না পায়। প্রশাসনের কেউ যদি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

পরিবেশ রক্ষার প্রশ্নে কোনো আপসের সুযোগ নেই। যদি এই অবৈধ বালু উত্তোলন চলতে থাকে, তাহলে পরিবেশগত বিপর্যয় আরও ঘনীভূত হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশ সংরক্ষণে সব ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনকে স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবেই আমরা একটি নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং টেকসই পরিবেশ গড়ে তুলতে পারব।

back to top