alt

সম্পাদকীয়

কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন : নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি

: বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

রংপুরের মিঠাপুকুরের কিশোর নির্যাতনের ঘটনা সমাজের নৈতিক অবস্থান এবং আইনশৃঙ্খলার প্রতি জনসাধারণের অজ্ঞতার চিত্রকেই প্রকাশ করল। এ ধরনের ঘটনা দেশে মানবাধিকারের অবক্ষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গ্রামের কিছু ব্যক্তির হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমন অমানবিক আচরণ শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, সমাজের একটি বিস্তৃত সমস্যাকে প্রতিফলিত করে। অন্যায়ভাবে কাউকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটানো মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন। এ ধরনের সহিংসতা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

ঘটনাটি সমাজের গভীর সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা বাড়ছে, যা সমাজের জন্য ভয়াবহ সংকেত। এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে, আবার সমাজের নির্দিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর অন্যের ওপর ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবেও দেখা যেতে পারে।

সন্দেহভাজন কোনো মানুষকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগতভাবে শাস্তি দেয়া এক ধরনের অরাজকতা। প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রয়েছে আইনের আশ্রয় নেয়ার এবং বিচারব্যবস্থা ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া আইনের শাসনের ধারণার পরিপন্থী।

কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় এক বিশেষ দিক হলো ইউনিফর্ম পরা গ্রাম পুলিশের এক সদস্য ঘটনার সময় নির্যাতনকারীদের সহায়তা করেছেন। আইনরক্ষাকারী বাহিনীর এক সদস্যের এমন আচরণ তার দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং পেশাগত অসততার পরিচয় বহন করে। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন যাতে আইনরক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা তৈরি হয়।

এই ঘটনাটি আমাদের ভাবতে বাধ্য করে, সমাজে আইন ও মানবাধিকারের প্রতি মানুষের সচেতনতা কতটুকু গভীর? সাধারণ মানুষের মাঝে আইন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ধরনের ঘটনা থেকে মুক্তি পেতে দরকার সামগ্রিক সামাজিক শিক্ষা।

এই ঘটনাটি যে শুধু নির্যাতনের নয়, বরং সামগ্রিক নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি, তা আমাদের জন্য সতর্কসংকেত। সমাজের প্রতিটি স্তরে আইন ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা এবং মানবাধিকার রক্ষার প্রতি সক্রিয় প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।

কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদের অভিযোগ আমলে নিন

অপরিকল্পিত উন্নয়নে বন-জলাশয়ের বিপর্যয়

নওগাঁয় আমন ধানে পচন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ান

সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

মতপ্রকাশের কারণে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি!

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : জেলেদের খাদ্য সহায়তার ঘাটতি ও সমাধানের পথ

দারিদ্র্যের উদ্বেগজনক চিত্র

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করা কাম্য নয়

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

চায়না দুয়ারী জাল : জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

জলাবদ্ধতার প্রভাব ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা : জরুরি সমাধান প্রয়োজন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

tab

সম্পাদকীয়

কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন : নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি

বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

রংপুরের মিঠাপুকুরের কিশোর নির্যাতনের ঘটনা সমাজের নৈতিক অবস্থান এবং আইনশৃঙ্খলার প্রতি জনসাধারণের অজ্ঞতার চিত্রকেই প্রকাশ করল। এ ধরনের ঘটনা দেশে মানবাধিকারের অবক্ষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গ্রামের কিছু ব্যক্তির হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমন অমানবিক আচরণ শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, সমাজের একটি বিস্তৃত সমস্যাকে প্রতিফলিত করে। অন্যায়ভাবে কাউকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটানো মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন। এ ধরনের সহিংসতা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

ঘটনাটি সমাজের গভীর সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা বাড়ছে, যা সমাজের জন্য ভয়াবহ সংকেত। এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে, আবার সমাজের নির্দিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর অন্যের ওপর ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবেও দেখা যেতে পারে।

সন্দেহভাজন কোনো মানুষকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগতভাবে শাস্তি দেয়া এক ধরনের অরাজকতা। প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রয়েছে আইনের আশ্রয় নেয়ার এবং বিচারব্যবস্থা ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া আইনের শাসনের ধারণার পরিপন্থী।

কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় এক বিশেষ দিক হলো ইউনিফর্ম পরা গ্রাম পুলিশের এক সদস্য ঘটনার সময় নির্যাতনকারীদের সহায়তা করেছেন। আইনরক্ষাকারী বাহিনীর এক সদস্যের এমন আচরণ তার দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং পেশাগত অসততার পরিচয় বহন করে। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন যাতে আইনরক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা তৈরি হয়।

এই ঘটনাটি আমাদের ভাবতে বাধ্য করে, সমাজে আইন ও মানবাধিকারের প্রতি মানুষের সচেতনতা কতটুকু গভীর? সাধারণ মানুষের মাঝে আইন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ধরনের ঘটনা থেকে মুক্তি পেতে দরকার সামগ্রিক সামাজিক শিক্ষা।

এই ঘটনাটি যে শুধু নির্যাতনের নয়, বরং সামগ্রিক নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি, তা আমাদের জন্য সতর্কসংকেত। সমাজের প্রতিটি স্তরে আইন ও শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা এবং মানবাধিকার রক্ষার প্রতি সক্রিয় প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।

back to top