alt

মতামত » সম্পাদকীয়

চলনবিলে পাখি শিকার : জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

: শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম জলাভূমি চলনবিল, যেখানে প্রতি বছর বর্ষা শেষে পানি নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর ছোট মাছ পাওয়া যায়। মাছের প্রাচুর্য শুধু স্থানীয় মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে না, এটি অনেক প্রজাতির পাখিদের জন্যও প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। বিশেষ করে পরিযায়ী পাখিরা এই সময়ে খাবারের সন্ধানে চলনবিলে ঝাঁকে ঝাঁকে এসে ভিড় জমায়। তবে পাখিরা যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভূমিকা রাখছে, সেখানে একশ্রেণীর শিকারিরা এসব পাখিকে নির্বিচারে শিকার করে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছে।

শুধু পাখি শিকার করে জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, এর সঙ্গে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের আক্রমণও বেড়ে যাচ্ছে। পাখি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে কৃষকদের ফসল সুরক্ষায় সাহায্য করে। পাখিরা ক্ষতিকর পোকা নিয়ন্ত্রণের একটি প্রাকৃতিক উপায়, যা কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক। কিন্তু পাখি শিকারের কারণে এই প্রাকৃতিক পদ্ধতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, ফলে ক্ষতিকর পোকাদের আক্রমণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চলনবিলে পাখি শিকারির অবাধ কর্মকা- জীববৈচিত্র্যের ওপর এক ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন থাকলেও, তার কার্যকর প্রয়োগের অভাবে চলনবিলসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে নানা প্রজাতির পাখি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।

পাখি শিকার বন্ধ করতে হলে প্রথমত কঠোর আইন প্রয়োগের প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষকে বোঝাতে হবে যে, পাখি শিকার কেবল আইন বিরুদ্ধ নয়, এটি প্রকৃতি এবং কৃষির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শিকারিদের শাস্তির আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

সরকারের উচিত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং এই আইনের লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া। পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করতে গণমাধ্যম এবং স্থানীয় পর্যায়ে প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

চলনবিলে পাখি শিকার : জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম জলাভূমি চলনবিল, যেখানে প্রতি বছর বর্ষা শেষে পানি নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর ছোট মাছ পাওয়া যায়। মাছের প্রাচুর্য শুধু স্থানীয় মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে না, এটি অনেক প্রজাতির পাখিদের জন্যও প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। বিশেষ করে পরিযায়ী পাখিরা এই সময়ে খাবারের সন্ধানে চলনবিলে ঝাঁকে ঝাঁকে এসে ভিড় জমায়। তবে পাখিরা যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভূমিকা রাখছে, সেখানে একশ্রেণীর শিকারিরা এসব পাখিকে নির্বিচারে শিকার করে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছে।

শুধু পাখি শিকার করে জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, এর সঙ্গে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের আক্রমণও বেড়ে যাচ্ছে। পাখি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে কৃষকদের ফসল সুরক্ষায় সাহায্য করে। পাখিরা ক্ষতিকর পোকা নিয়ন্ত্রণের একটি প্রাকৃতিক উপায়, যা কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক। কিন্তু পাখি শিকারের কারণে এই প্রাকৃতিক পদ্ধতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, ফলে ক্ষতিকর পোকাদের আক্রমণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চলনবিলে পাখি শিকারির অবাধ কর্মকা- জীববৈচিত্র্যের ওপর এক ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন থাকলেও, তার কার্যকর প্রয়োগের অভাবে চলনবিলসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে নানা প্রজাতির পাখি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।

পাখি শিকার বন্ধ করতে হলে প্রথমত কঠোর আইন প্রয়োগের প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষকে বোঝাতে হবে যে, পাখি শিকার কেবল আইন বিরুদ্ধ নয়, এটি প্রকৃতি এবং কৃষির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শিকারিদের শাস্তির আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

সরকারের উচিত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং এই আইনের লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া। পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করতে গণমাধ্যম এবং স্থানীয় পর্যায়ে প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।

back to top