কৃষকের ফসল ফলানোর জন্য অত্যাবশকীয় একটি উপাদন হচ্ছে সার। কৃষকের সারা বছরই সারের প্রয়োজন পড়ে। কোনো কোনো ফসলের মৌসুমে সারের চাহিদা বাড়ে বৈ কমে না; কিন্তু সময়মতো যদি কৃষক এই সার সংগ্রহ করতে না পারে অথবা তাকে সেটা বাড়তি দামে কিনতে হয় তাহলে কৃষি উৎপাদন ব্যহত হয়, উৎপাদন খরচও বাড়ে।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সার বিতরণ-বিপণনের নানান স্তরে অনিয়ম হচ্ছে। সেখানে অনুমোদিত খুচরা বিক্রেতাদের সময়মত ও প্রয়োজন মতো সার দেওয়া হচ্ছে না। ডিলার নিয়োগ নীতিমালা উপেক্ষা করে একই পরিবারের একাধিক ব্যাক্তির নামে ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে। ডিলাররা সার বাইরে অনৈতিকভাবে বিক্রি করেন। আর মৌসুমের সময় সার না পাওয়ায় কৃষকদেরকে সেটা চড়া দামে বাইরে থেকে কিনতে হয়।
ডিলার নিয়োগ নীতিমালা উপেক্ষা করে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে ডিলারশিপ কেন দেওয়া হয়েছে সেটা আমরা জানতে চাইব। এ অনিয়মের কারণে সারের চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ তৈরি হয়েছে। মৌসুমের সময়ে কৃষকরা চাহিদামোতো সার পাবেন না, বা তাদের চাড়া মূল্যে সার কিনতে হবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না।
আমরা বলতে চাই, সার বিক্রির প্রশ্নে কৃষকের স্বার্থকে অগ্রগণ্য করতে হবে। যে কোনো মূল্যে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য তদারকি জোরদার করতে হবে। ডিলারশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নীতিমালা মানতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না। ডিলারদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সার বিতরণে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সমন্বয় থাকা চাই।
সারের কৃত্রিম সংকট দূর করা না গেলে কৃষকদের অবস্থা আরও নাজুক হতে পারে। সার সংকট নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া গেলে কৃষকের ফসল উৎপাদনের পথে বড় একটা বাধা দূর হবে। এটা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও জরুরি। আমরা আশা করি, হবিগঞ্জের মাধবপুরে সার বিক্রি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা আমলে নেওয়া হবে এবং সেই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
কৃষকের ফসল ফলানোর জন্য অত্যাবশকীয় একটি উপাদন হচ্ছে সার। কৃষকের সারা বছরই সারের প্রয়োজন পড়ে। কোনো কোনো ফসলের মৌসুমে সারের চাহিদা বাড়ে বৈ কমে না; কিন্তু সময়মতো যদি কৃষক এই সার সংগ্রহ করতে না পারে অথবা তাকে সেটা বাড়তি দামে কিনতে হয় তাহলে কৃষি উৎপাদন ব্যহত হয়, উৎপাদন খরচও বাড়ে।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সার বিতরণ-বিপণনের নানান স্তরে অনিয়ম হচ্ছে। সেখানে অনুমোদিত খুচরা বিক্রেতাদের সময়মত ও প্রয়োজন মতো সার দেওয়া হচ্ছে না। ডিলার নিয়োগ নীতিমালা উপেক্ষা করে একই পরিবারের একাধিক ব্যাক্তির নামে ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে। ডিলাররা সার বাইরে অনৈতিকভাবে বিক্রি করেন। আর মৌসুমের সময় সার না পাওয়ায় কৃষকদেরকে সেটা চড়া দামে বাইরে থেকে কিনতে হয়।
ডিলার নিয়োগ নীতিমালা উপেক্ষা করে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে ডিলারশিপ কেন দেওয়া হয়েছে সেটা আমরা জানতে চাইব। এ অনিয়মের কারণে সারের চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ তৈরি হয়েছে। মৌসুমের সময়ে কৃষকরা চাহিদামোতো সার পাবেন না, বা তাদের চাড়া মূল্যে সার কিনতে হবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না।
আমরা বলতে চাই, সার বিক্রির প্রশ্নে কৃষকের স্বার্থকে অগ্রগণ্য করতে হবে। যে কোনো মূল্যে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য তদারকি জোরদার করতে হবে। ডিলারশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নীতিমালা মানতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না। ডিলারদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সার বিতরণে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সমন্বয় থাকা চাই।
সারের কৃত্রিম সংকট দূর করা না গেলে কৃষকদের অবস্থা আরও নাজুক হতে পারে। সার সংকট নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া গেলে কৃষকের ফসল উৎপাদনের পথে বড় একটা বাধা দূর হবে। এটা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও জরুরি। আমরা আশা করি, হবিগঞ্জের মাধবপুরে সার বিক্রি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা আমলে নেওয়া হবে এবং সেই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।