alt

সম্পাদকীয়

কৃষিপণ্য পরিবহনে রেল ব্যবহারের সুবিধা আরও বাড়াতে হবে

: সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

নিত্যপণ্যের পরিবহন ব্যয় কমাতে ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’ চালু করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিশেষ এ ট্রেনে প্রতি কেজি সবজি ও কৃষিপণ্য বহনে খরচ হতো ১ টাকা ০৮ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৫৬ পয়সা। ট্রেনে সবজি ও ফলের পাশাপাশি হিমায়িত মাছ, মাংস ও দুধ পরিবহনের ব্যবস্থা ছিল। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এই ট্রেনে চেপে ঢাকায় যেতে পারতেন বিনা ভাড়ায়।

দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকায় কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন কয়েকদিন চলাচল করেছে। তবে পণ্য পরিবহনে কৃষি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের তেমন সাড়া মেলেনি। গত ২৬ অক্টোবর সকালে কোনো পণ্য ছাড়াই শূন্য লাগেজে ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায় কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন। রহনপুর থেকে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯ লাখ টাকা। আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় পাঁচটি রুটে বিশেষ ট্রেন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, রেলওয়ের এই উদ্যোগ কেন মুখ থুবড়ে পড়ল। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ট্রেনে পণ্য পরিবহনের খরচ কম হলেও কুলি ও অন্য পরিবহন খরচ যোগ করলে সড়কপথের চেয়ে রেলপথেই বরং ব্যয় বেশি। ফসলের মাঠ থেকে স্টেশন, স্টেশন থেকে মোকাম পর্যন্ত পণ্য নিতে কোনো না কোনো স্তরে পরিবহন খরচ ও কুলি খরচ লাগে। শুধু বিশেষ ট্রেন দিয়ে কোনো পণ্য মাঠ থেকে মোকাম পর্যন্ত নেয়া সম্ভব নয়। ট্রেনে পণ্য পাঠাতে চারবার পণ্য লোড-আনলোড করতে হয়।

ট্রেনের সময়ও ভাবনার বিষয়। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, বিকেল কিংবা রাতে পণ্য পরবহন করলে পরদিন সকালে মোকামে পৌঁছনো যায়। একে তো ট্রেন চলে সকালে, এর সঙ্গে রয়েছে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়। যে কারণে সময়মতো কৃষিপণ্য মোকামে পৌঁছানো যায় না। আবার সবজি জাতীয় পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ফসলের মাঠ বা প্রান্তিক আড়ত থেকে সরাসরি মোকামে পণ্য পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে কৃষি উদ্যোক্তরা বিশেষ ট্রেন ব্যবহারে আগ্রহী হতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাস্তবিক কারণেই কাজটা সহজ নয়, চাইলেই রাতারাতি রেললাইন সম্প্রসারণ করা যায় না। তবে রেলস্টেশন পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের সুলভ কোনো ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। বিশেষ ট্রেন চলাচলের সময় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করা গেলেও পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ সমন্বিতভাবে কাজ করলে একটি সমাধান মিলতে পারে বলে আমরা আশা করতে চাই।

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

tab

সম্পাদকীয়

কৃষিপণ্য পরিবহনে রেল ব্যবহারের সুবিধা আরও বাড়াতে হবে

সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

নিত্যপণ্যের পরিবহন ব্যয় কমাতে ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’ চালু করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিশেষ এ ট্রেনে প্রতি কেজি সবজি ও কৃষিপণ্য বহনে খরচ হতো ১ টাকা ০৮ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৫৬ পয়সা। ট্রেনে সবজি ও ফলের পাশাপাশি হিমায়িত মাছ, মাংস ও দুধ পরিবহনের ব্যবস্থা ছিল। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এই ট্রেনে চেপে ঢাকায় যেতে পারতেন বিনা ভাড়ায়।

দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকায় কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন কয়েকদিন চলাচল করেছে। তবে পণ্য পরিবহনে কৃষি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের তেমন সাড়া মেলেনি। গত ২৬ অক্টোবর সকালে কোনো পণ্য ছাড়াই শূন্য লাগেজে ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায় কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন। রহনপুর থেকে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯ লাখ টাকা। আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় পাঁচটি রুটে বিশেষ ট্রেন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, রেলওয়ের এই উদ্যোগ কেন মুখ থুবড়ে পড়ল। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ট্রেনে পণ্য পরিবহনের খরচ কম হলেও কুলি ও অন্য পরিবহন খরচ যোগ করলে সড়কপথের চেয়ে রেলপথেই বরং ব্যয় বেশি। ফসলের মাঠ থেকে স্টেশন, স্টেশন থেকে মোকাম পর্যন্ত পণ্য নিতে কোনো না কোনো স্তরে পরিবহন খরচ ও কুলি খরচ লাগে। শুধু বিশেষ ট্রেন দিয়ে কোনো পণ্য মাঠ থেকে মোকাম পর্যন্ত নেয়া সম্ভব নয়। ট্রেনে পণ্য পাঠাতে চারবার পণ্য লোড-আনলোড করতে হয়।

ট্রেনের সময়ও ভাবনার বিষয়। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, বিকেল কিংবা রাতে পণ্য পরবহন করলে পরদিন সকালে মোকামে পৌঁছনো যায়। একে তো ট্রেন চলে সকালে, এর সঙ্গে রয়েছে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়। যে কারণে সময়মতো কৃষিপণ্য মোকামে পৌঁছানো যায় না। আবার সবজি জাতীয় পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ফসলের মাঠ বা প্রান্তিক আড়ত থেকে সরাসরি মোকামে পণ্য পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে কৃষি উদ্যোক্তরা বিশেষ ট্রেন ব্যবহারে আগ্রহী হতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাস্তবিক কারণেই কাজটা সহজ নয়, চাইলেই রাতারাতি রেললাইন সম্প্রসারণ করা যায় না। তবে রেলস্টেশন পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের সুলভ কোনো ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। বিশেষ ট্রেন চলাচলের সময় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করা গেলেও পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ সমন্বিতভাবে কাজ করলে একটি সমাধান মিলতে পারে বলে আমরা আশা করতে চাই।

back to top