কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব কারও অজানা নয়। জানা কথাটিই বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বলা হয়। ‘যুব কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে স্থানীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শীর্ষক সম্মেলনে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বলা হচ্ছে, মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা দেশের আগামী দিনের রূপান্তরের অন্যতম চালিকাশক্তি।
সম্মেলনে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর একটি সামাজিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট বাজেটের অনুপাতে কারিগরি শিক্ষার বাজেট বরাদ্দ খুবই কম। আগামী বাজেটে কারিগরি শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার মানউন্নয়নে বেশ কিছু নীতি সহায়তার সুপারিশ করা হয়েছে।
দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য যুগোপোযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন। শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়াতে হবে। কারিগরি শিক্ষা ব্যাবস্থার জন্য প্রয়োজন উন্নত শ্রেণীকক্ষ, পরীক্ষাগার ও কর্মশালা ভিক্তিক পাঠ। সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানের গৎবাঁধা শিক্ষা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তারা কারিগরি শিক্ষাকে মূল ধারার শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
দেশে ও দেশের বাইরে কারিগরি শিক্ষার প্রয়োগের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। দেশকে উন্নতির উচ্চতর ধাপে নিয়ে যেতে কারিগরি শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কেমন হবে তা অনেকাংশে নির্ভর করছে শিক্ষার্থীদের কেমন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে তার ওপর। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক বাজারের চাহিদার সঙ্গে পাঠ্যক্রম ও পাঠদান প্রক্রিয়ার সামঞ্জস্য আনতে হবে।
সমস্যা হচ্ছে, দেশের কারিগরি শিক্ষায় যে সনদ দেয়া হয় তা কোনো আন্তর্জাতিক প্রত্যয়নকারী সংস্থার মান পূরণ করে না। যুব কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে স্থানীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষামান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে মাত্র ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। কারিগরি শিক্ষার এই সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় সেটা নীতিনির্ধারকদের ভাবতে হবে। কারিগরি শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব কারও অজানা নয়। জানা কথাটিই বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বলা হয়। ‘যুব কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে স্থানীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শীর্ষক সম্মেলনে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বলা হচ্ছে, মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা দেশের আগামী দিনের রূপান্তরের অন্যতম চালিকাশক্তি।
সম্মেলনে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর একটি সামাজিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট বাজেটের অনুপাতে কারিগরি শিক্ষার বাজেট বরাদ্দ খুবই কম। আগামী বাজেটে কারিগরি শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার মানউন্নয়নে বেশ কিছু নীতি সহায়তার সুপারিশ করা হয়েছে।
দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য যুগোপোযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন। শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়াতে হবে। কারিগরি শিক্ষা ব্যাবস্থার জন্য প্রয়োজন উন্নত শ্রেণীকক্ষ, পরীক্ষাগার ও কর্মশালা ভিক্তিক পাঠ। সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানের গৎবাঁধা শিক্ষা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তারা কারিগরি শিক্ষাকে মূল ধারার শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
দেশে ও দেশের বাইরে কারিগরি শিক্ষার প্রয়োগের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। দেশকে উন্নতির উচ্চতর ধাপে নিয়ে যেতে কারিগরি শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কেমন হবে তা অনেকাংশে নির্ভর করছে শিক্ষার্থীদের কেমন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে তার ওপর। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক বাজারের চাহিদার সঙ্গে পাঠ্যক্রম ও পাঠদান প্রক্রিয়ার সামঞ্জস্য আনতে হবে।
সমস্যা হচ্ছে, দেশের কারিগরি শিক্ষায় যে সনদ দেয়া হয় তা কোনো আন্তর্জাতিক প্রত্যয়নকারী সংস্থার মান পূরণ করে না। যুব কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে স্থানীয় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষামান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে মাত্র ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। কারিগরি শিক্ষার এই সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় সেটা নীতিনির্ধারকদের ভাবতে হবে। কারিগরি শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।