alt

opinion » editorial

জলাবদ্ধতা থেকে ডুমুরিয়াবাসীকে উদ্ধার করুন

: বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

নানা করণেই দেশের অনেক স্থানেই দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। জলাবদ্ধ এলাকার বাসিন্দাদের মাসের পর মাস পানিবন্দী হয়ে থাকতে হয়। ক্ষতি হয় ফসলি জমি, শাকসবজির খেত এবং মৎস্য খামারের। গত সোমবার সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় ভুগছে।

ডুমুরিয়ায়র বিলডাকাতিয়া, মাধবকাঠী, সিংগা, মির্জাপুর উত্তর বিলসহ ২৪ বিলের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী আছেন টানা দু’মাস ধরে। বিলগুলোর পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ হচ্ছে শোমারী জলকপাট। যা পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। পানি বের হতে না পারায় এবং চলতি বছরে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে ডুমুরিয়ার অধিকাংশ এলাকায় দেখা দেয় স্থায়ী জলাবদ্ধতা। ময়ুর নদী হয়ে আলুতলা জলকপাট দিয়ে পানি নামাতে গ্রামবাসীর দুপক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ৩টি জলকপাট বন্ধ রয়েছে। জোয়ারের পানি নিষ্কাশনে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেই।

টানা দুই মাস স্থায়ী জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়েছে সবজি ও মৎস্য ঘের। এসব বিলের পানি না নামলে আসন্ন বোরো মৌসুমেও করা যাবে না ধান চাষ। শোলমারী দিয়ে পানি বের না হওয়ায় এবং চলতি বছর অতি বৃষ্টিপাতের কারণে ডুমুরিয়ার অধিকাংশ এলাকায় দেখা দেয় স্থায়ী জলাবদ্ধতা। অতি বৃষ্টিতে প্রথমে নষ্ট হয়েছে সবজি। কৃষি বিভাগের দাবি ২শ কোটি টাকার সবজির ক্ষতি হয়েছে। এদিকে মৎস্য বিভাগ দাবি করেছে হাজার হাজার মৎস্য ঘের ভেসে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে দেড়শ কোটি টাকা। পানিবন্দী অনেক মানুষের না আছে থাকার মতো জায়গা, না আছে রান্নার সুযোগ। অনেক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়েও যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরে ঢুকতে বা বের হতে ব্যবহার করতে হচ্ছে নৌকা বা কলাগাছের ভেলা।

জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনেরও কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় পলি অপসারণের জন্য এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি খনন করা হয়েছে। তাতে কিছুটা পানি বের হয়েছে। আবার এক্সকেভেটর চালক না থাকার অজুহাতে কাজ বন্ধ রয়েছে। জোয়ারের পানি আবার বিলে প্রবেশ করে আগের মতো জলবদ্ধতাই রয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, বালু ব্যবসায়ীদের ইন্ধনে কাজ ধীর গতির হয়ে পড়েছে।

আমরা বলতে চাই, ২৪ বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ শোলমারী জলকপাটটির পলি অপসারণ করতে হবে। যে জলকপাটগুলো গ্রামবাসী বন্ধ করে দিয়েছিলেন সেগুলো প্রশাসকের সহযোগিতায় খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে বালুখেকোদের নির্মূল করতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

জলাবদ্ধতা থেকে ডুমুরিয়াবাসীকে উদ্ধার করুন

বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

নানা করণেই দেশের অনেক স্থানেই দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। জলাবদ্ধ এলাকার বাসিন্দাদের মাসের পর মাস পানিবন্দী হয়ে থাকতে হয়। ক্ষতি হয় ফসলি জমি, শাকসবজির খেত এবং মৎস্য খামারের। গত সোমবার সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় ভুগছে।

ডুমুরিয়ায়র বিলডাকাতিয়া, মাধবকাঠী, সিংগা, মির্জাপুর উত্তর বিলসহ ২৪ বিলের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী আছেন টানা দু’মাস ধরে। বিলগুলোর পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ হচ্ছে শোমারী জলকপাট। যা পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। পানি বের হতে না পারায় এবং চলতি বছরে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে ডুমুরিয়ার অধিকাংশ এলাকায় দেখা দেয় স্থায়ী জলাবদ্ধতা। ময়ুর নদী হয়ে আলুতলা জলকপাট দিয়ে পানি নামাতে গ্রামবাসীর দুপক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ৩টি জলকপাট বন্ধ রয়েছে। জোয়ারের পানি নিষ্কাশনে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেই।

টানা দুই মাস স্থায়ী জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়েছে সবজি ও মৎস্য ঘের। এসব বিলের পানি না নামলে আসন্ন বোরো মৌসুমেও করা যাবে না ধান চাষ। শোলমারী দিয়ে পানি বের না হওয়ায় এবং চলতি বছর অতি বৃষ্টিপাতের কারণে ডুমুরিয়ার অধিকাংশ এলাকায় দেখা দেয় স্থায়ী জলাবদ্ধতা। অতি বৃষ্টিতে প্রথমে নষ্ট হয়েছে সবজি। কৃষি বিভাগের দাবি ২শ কোটি টাকার সবজির ক্ষতি হয়েছে। এদিকে মৎস্য বিভাগ দাবি করেছে হাজার হাজার মৎস্য ঘের ভেসে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে দেড়শ কোটি টাকা। পানিবন্দী অনেক মানুষের না আছে থাকার মতো জায়গা, না আছে রান্নার সুযোগ। অনেক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়েও যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরে ঢুকতে বা বের হতে ব্যবহার করতে হচ্ছে নৌকা বা কলাগাছের ভেলা।

জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনেরও কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় পলি অপসারণের জন্য এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি খনন করা হয়েছে। তাতে কিছুটা পানি বের হয়েছে। আবার এক্সকেভেটর চালক না থাকার অজুহাতে কাজ বন্ধ রয়েছে। জোয়ারের পানি আবার বিলে প্রবেশ করে আগের মতো জলবদ্ধতাই রয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, বালু ব্যবসায়ীদের ইন্ধনে কাজ ধীর গতির হয়ে পড়েছে।

আমরা বলতে চাই, ২৪ বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ শোলমারী জলকপাটটির পলি অপসারণ করতে হবে। যে জলকপাটগুলো গ্রামবাসী বন্ধ করে দিয়েছিলেন সেগুলো প্রশাসকের সহযোগিতায় খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে বালুখেকোদের নির্মূল করতে হবে।

back to top