alt

সম্পাদকীয়

বলুহর বাঁওড় নিয়ে মৎস্যজীবীদের অভিযোগ আমলে নিন

: বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সিংগীয়ায় বলুহর বাঁওড় পাড়ে বাওড় ইজারা বাতিলের দাবিতে শতাধীক মৎস্যজীবী বিক্ষোভ করেছেন। তাদের অভিযোগ, বহু বছর ধরে রাজস্ব না দিয়ে একটি গোষ্ঠী বাওড় ভোগদখল করছে। ২০২২ সালের ২০ মার্চ ভূমি মন্ত্রণালয় বলুহর বাওড়টি মৎস্য বিভাগের কাছে নবায়ন না করে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মৎস্যজীবীরা এর বিরোধিতা করছেন। তারা বলছেন, এটা হলে তাদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।

দেশের অন্যতম বৃহত্তম বাওড় বলুহর। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের বলুহর ইউনিয়নজুড়ে এর বিস্তৃতি। ১৯৭৯ সালে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় বলুহর বাওড়কে কেন্দ্র করে নির্মাণ করা হয় মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বলুহর ও জয়দিয়া বাওড়, কালীগঞ্জে মরজাত, মহেশপুরে ফতেপুর ও কাঠগড়া এবং যশোরের চৌগাছায় বেড়গোবিন্দপুর বাওড়। এই ছয়টি বাওড় নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘বলুহর কেন্দ্রীয় হ্যাচারী কমপ্লেক্স’। ছয়টি বাওড়ের মোট জলাধার প্রায় ১১৩৭ হেক্টর। অভিযোগ রয়েছে, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে বাওড়কে একতরফাভাবে করে তোলা হয় বাণিজ্যিক মাছের ক্ষেত্র। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের দিকে বাওড়টি রাষ্ট্রীয় খাতে নেওয়া হয়।

বাওড়ের মৎস্যজীবী জনগষ্ঠি বলুহর, জয়দিয়া, কাঠগড়া, ফতেপুর, মর্জাদ ও বেড়গোবিন্দপুরসহ দেশের সকল বাঁওড় ইজারা বাতিল, ভুক্তভোগী মৎস্যজীবীদের প্রথাগত মালিকানার নিশ্চয়তা, ন্যায়সঙ্গত অধিকার সংরক্ষণ ও রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা চালু- এই চারটি দাবি পেশ করেন। তারা বলেছেন, উক্ত বাঁওড়সমূহ ছাড়াও দেশব্যাপী বিশেষত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবগুলো বাঁওড় নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কবল থেকে বাঁওড়গুলোকে উদ্ধার করতে হবে। প্রকৃত মৎসজীবীদের ন্যায়সঙ্গত ও প্রথাগত মালিকানার ভিত্তিতে অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান করে বাঁওড়পাড়ের ত্রিশ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করাতে হবে।

আমরা বলতে চাই, বাওড়ের ইজারা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। দ্রুত এই অভিযোগের সুরাহা করা হচ্ছে এমনটা আমরা দেখতে চাই। বাওড়ের ওপর নির্ভরশীল মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা যেন সংকটাপন্ন না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

খাদ্যগুদামে অনিয়ম কাম্য নয়

বেআইনিভাবে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করুন

শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতা : টেকসই সমাধান কী

সেতু নির্মাণে অবহেলা কাম্য নয়

পোশাক শ্রমিকদেরকে কেনো বারবার পথে নামতে হচ্ছে

চট্টগ্রাম নগরীর পয়োনিষ্কাশনের পথে বাধা দূর করুন

নদীভাঙনের শিকার মানুষের পাশে দাঁড়ান

বদরখালীতে প্যারাবন নিধন: প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

প্রশ্নবিদ্ধ ইঁদুর নিধন অভিযান

নদী খননে সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে

ভালুকার বনাঞ্চল রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা প্রয়োজন

অটোরিকশা ও সিএনজির দখলে আঞ্চলিক মহাসড়ক

সিসা দূষণের ভয়াবহতার মুখে দেশের শিশুরা

যুক্তরাষ্ট্রে চালকের আসনে ট্রাম্প

জলাবদ্ধতা থেকে ডুমুরিয়াবাসীকে উদ্ধার করুন

বীজ ও সার নিয়ে আলুচাষিদের উদ্বেগ দূর করুন

কারিগরি শিক্ষায় নজর দিন

নাটক বন্ধে জোরজবরদস্তি : এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

কৃষিপণ্য পরিবহনে রেল ব্যবহারের সুবিধা আরও বাড়াতে হবে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি কি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ¬চলে যাচ্ছে

পাখির বাসস্থান সংরক্ষণে চাই সামাজিক উদ্যোগ

আবারও রক্ত ঝরল পাহাড়ে

খেলনায় সিসা : শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি দূর করতে সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে

আইন হাতে তুলে নেওয়ার অপসংস্কৃতির অবসান হোক

বর্জ্যে বিপন্ন করতোয়া

নারী ফুটবলের মুকুটে আরেকটি পালক

tab

সম্পাদকীয়

বলুহর বাঁওড় নিয়ে মৎস্যজীবীদের অভিযোগ আমলে নিন

বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সিংগীয়ায় বলুহর বাঁওড় পাড়ে বাওড় ইজারা বাতিলের দাবিতে শতাধীক মৎস্যজীবী বিক্ষোভ করেছেন। তাদের অভিযোগ, বহু বছর ধরে রাজস্ব না দিয়ে একটি গোষ্ঠী বাওড় ভোগদখল করছে। ২০২২ সালের ২০ মার্চ ভূমি মন্ত্রণালয় বলুহর বাওড়টি মৎস্য বিভাগের কাছে নবায়ন না করে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মৎস্যজীবীরা এর বিরোধিতা করছেন। তারা বলছেন, এটা হলে তাদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।

দেশের অন্যতম বৃহত্তম বাওড় বলুহর। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের বলুহর ইউনিয়নজুড়ে এর বিস্তৃতি। ১৯৭৯ সালে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় বলুহর বাওড়কে কেন্দ্র করে নির্মাণ করা হয় মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্স। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বলুহর ও জয়দিয়া বাওড়, কালীগঞ্জে মরজাত, মহেশপুরে ফতেপুর ও কাঠগড়া এবং যশোরের চৌগাছায় বেড়গোবিন্দপুর বাওড়। এই ছয়টি বাওড় নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘বলুহর কেন্দ্রীয় হ্যাচারী কমপ্লেক্স’। ছয়টি বাওড়ের মোট জলাধার প্রায় ১১৩৭ হেক্টর। অভিযোগ রয়েছে, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে বাওড়কে একতরফাভাবে করে তোলা হয় বাণিজ্যিক মাছের ক্ষেত্র। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের দিকে বাওড়টি রাষ্ট্রীয় খাতে নেওয়া হয়।

বাওড়ের মৎস্যজীবী জনগষ্ঠি বলুহর, জয়দিয়া, কাঠগড়া, ফতেপুর, মর্জাদ ও বেড়গোবিন্দপুরসহ দেশের সকল বাঁওড় ইজারা বাতিল, ভুক্তভোগী মৎস্যজীবীদের প্রথাগত মালিকানার নিশ্চয়তা, ন্যায়সঙ্গত অধিকার সংরক্ষণ ও রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা চালু- এই চারটি দাবি পেশ করেন। তারা বলেছেন, উক্ত বাঁওড়সমূহ ছাড়াও দেশব্যাপী বিশেষত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবগুলো বাঁওড় নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কবল থেকে বাঁওড়গুলোকে উদ্ধার করতে হবে। প্রকৃত মৎসজীবীদের ন্যায়সঙ্গত ও প্রথাগত মালিকানার ভিত্তিতে অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান করে বাঁওড়পাড়ের ত্রিশ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করাতে হবে।

আমরা বলতে চাই, বাওড়ের ইজারা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। দ্রুত এই অভিযোগের সুরাহা করা হচ্ছে এমনটা আমরা দেখতে চাই। বাওড়ের ওপর নির্ভরশীল মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা যেন সংকটাপন্ন না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top