প্রতি বছর ঘটা করে ইঁদুর নিধন অভিযান শুরুহয়। তবে অভিযোগ রয়েছে যে, নিধন অভিযানের নামে নানান অনুষ্ঠান আয়োজন করাই সার। কৃষকদের প্রকৃত উপকার আর হয় না। কর্তাব্যক্তিরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইঁদুর নিধনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বক্তব্য দেন, কিন্তু বাস্তবে ফসলের মাঠে ইঁদুর দমনের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। ইঁদুরের কাছ থেকে কৃষকের ফসল রক্ষার অঙ্গীকার ঘোষণাতেই আটকে আছে।
এবারও যখন জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান শুরু হয়েছে, তখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা তাদের ফসলের ক্ষতির কথা জানাচ্ছেন। সংবাদ-এর প্রতিবেদনে কৃষকদের দুর্দশার চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। ইঁদুর দমন কর্মসূচির আওতায় কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায় না। তবে অনুষ্ঠান আয়োজন বা প্রকাশনাবাবদ অর্থ ব্যয় করতে দেখা যায়।
কৃষকদের অভিযোগ, মাসব্যাপী অভিযান কখনোই কার্যকরভাবে মাঠে কাজ করে না। তারা জানাচ্ছেন, ইঁদুর দমনের জন্য ফাঁদ বা বিষ দেয়া তো দূরের কথা, এমনকি তাদেরকে ইঁদুর নিধনে কোনো ধরনের পরামর্শ বা সহায়তাও দেয়া হয়নি। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, রংপুরের পীরগঞ্জ ও গাইবান্ধার কৃষকরা এসব অভিযোগ করেছেন। এমনকি, স্কুল-কলেজে ইঁদুর দমন সম্পর্কে কোনো ধরনের সচেতনতা সৃষ্টি করার প্রক্রিয়াও দুর্বল।
যদিও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাবি করছে যে, তারা প্রতিটি উপজেলায় ইঁদুর দমনের বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করতে আলোচনা ও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইঁদুরের কারণে প্রতি বছর দেশে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রায় ১১ শতাংশ ফসল ইঁদুরের কারণে নষ্ট হয়ে যায়, যার পরিমাণ রাজশাহী অঞ্চলের মোট ধান উৎপাদনের সমান। এক হিসাব অনুযায়ী, ইঁদুরের কারণে বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়, যা কৃষকদের জন্য বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনে। ইঁদুর দমন অভিযান এসব ক্ষতিকে মোকাবিলা করতে পেরেছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
ইঁদুর নিধনে কৃষককে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ দিতে হবে। সেটা করা না গেলে শুধু অনুষ্ঠান আয়োজন করে বা বই-পুস্তক ছেপে প্রকৃত কোনো লাভ হবে না। ইঁদুর নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণের মাধ্যমে ইঁদুর দমন অভিযান সফল করা সম্ভব। এজন্য কৃষি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবশ্যই মাঠে কাজ করতে হবে, যেন তারা কৃষকের সমস্যা বুঝতে পারেন এবং তার সমাধান দিতে পারেন।
রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
প্রতি বছর ঘটা করে ইঁদুর নিধন অভিযান শুরুহয়। তবে অভিযোগ রয়েছে যে, নিধন অভিযানের নামে নানান অনুষ্ঠান আয়োজন করাই সার। কৃষকদের প্রকৃত উপকার আর হয় না। কর্তাব্যক্তিরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইঁদুর নিধনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বক্তব্য দেন, কিন্তু বাস্তবে ফসলের মাঠে ইঁদুর দমনের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। ইঁদুরের কাছ থেকে কৃষকের ফসল রক্ষার অঙ্গীকার ঘোষণাতেই আটকে আছে।
এবারও যখন জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান শুরু হয়েছে, তখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা তাদের ফসলের ক্ষতির কথা জানাচ্ছেন। সংবাদ-এর প্রতিবেদনে কৃষকদের দুর্দশার চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। ইঁদুর দমন কর্মসূচির আওতায় কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায় না। তবে অনুষ্ঠান আয়োজন বা প্রকাশনাবাবদ অর্থ ব্যয় করতে দেখা যায়।
কৃষকদের অভিযোগ, মাসব্যাপী অভিযান কখনোই কার্যকরভাবে মাঠে কাজ করে না। তারা জানাচ্ছেন, ইঁদুর দমনের জন্য ফাঁদ বা বিষ দেয়া তো দূরের কথা, এমনকি তাদেরকে ইঁদুর নিধনে কোনো ধরনের পরামর্শ বা সহায়তাও দেয়া হয়নি। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, রংপুরের পীরগঞ্জ ও গাইবান্ধার কৃষকরা এসব অভিযোগ করেছেন। এমনকি, স্কুল-কলেজে ইঁদুর দমন সম্পর্কে কোনো ধরনের সচেতনতা সৃষ্টি করার প্রক্রিয়াও দুর্বল।
যদিও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাবি করছে যে, তারা প্রতিটি উপজেলায় ইঁদুর দমনের বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করতে আলোচনা ও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইঁদুরের কারণে প্রতি বছর দেশে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রায় ১১ শতাংশ ফসল ইঁদুরের কারণে নষ্ট হয়ে যায়, যার পরিমাণ রাজশাহী অঞ্চলের মোট ধান উৎপাদনের সমান। এক হিসাব অনুযায়ী, ইঁদুরের কারণে বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়, যা কৃষকদের জন্য বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনে। ইঁদুর দমন অভিযান এসব ক্ষতিকে মোকাবিলা করতে পেরেছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
ইঁদুর নিধনে কৃষককে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ দিতে হবে। সেটা করা না গেলে শুধু অনুষ্ঠান আয়োজন করে বা বই-পুস্তক ছেপে প্রকৃত কোনো লাভ হবে না। ইঁদুর নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণের মাধ্যমে ইঁদুর দমন অভিযান সফল করা সম্ভব। এজন্য কৃষি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবশ্যই মাঠে কাজ করতে হবে, যেন তারা কৃষকের সমস্যা বুঝতে পারেন এবং তার সমাধান দিতে পারেন।