alt

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রশ্নবিদ্ধ ইঁদুর নিধন অভিযান

: রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

প্রতি বছর ঘটা করে ইঁদুর নিধন অভিযান শুরুহয়। তবে অভিযোগ রয়েছে যে, নিধন অভিযানের নামে নানান অনুষ্ঠান আয়োজন করাই সার। কৃষকদের প্রকৃত উপকার আর হয় না। কর্তাব্যক্তিরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইঁদুর নিধনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বক্তব্য দেন, কিন্তু বাস্তবে ফসলের মাঠে ইঁদুর দমনের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। ইঁদুরের কাছ থেকে কৃষকের ফসল রক্ষার অঙ্গীকার ঘোষণাতেই আটকে আছে।

এবারও যখন জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান শুরু হয়েছে, তখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা তাদের ফসলের ক্ষতির কথা জানাচ্ছেন। সংবাদ-এর প্রতিবেদনে কৃষকদের দুর্দশার চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। ইঁদুর দমন কর্মসূচির আওতায় কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায় না। তবে অনুষ্ঠান আয়োজন বা প্রকাশনাবাবদ অর্থ ব্যয় করতে দেখা যায়।

কৃষকদের অভিযোগ, মাসব্যাপী অভিযান কখনোই কার্যকরভাবে মাঠে কাজ করে না। তারা জানাচ্ছেন, ইঁদুর দমনের জন্য ফাঁদ বা বিষ দেয়া তো দূরের কথা, এমনকি তাদেরকে ইঁদুর নিধনে কোনো ধরনের পরামর্শ বা সহায়তাও দেয়া হয়নি। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, রংপুরের পীরগঞ্জ ও গাইবান্ধার কৃষকরা এসব অভিযোগ করেছেন। এমনকি, স্কুল-কলেজে ইঁদুর দমন সম্পর্কে কোনো ধরনের সচেতনতা সৃষ্টি করার প্রক্রিয়াও দুর্বল।

যদিও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাবি করছে যে, তারা প্রতিটি উপজেলায় ইঁদুর দমনের বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করতে আলোচনা ও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইঁদুরের কারণে প্রতি বছর দেশে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রায় ১১ শতাংশ ফসল ইঁদুরের কারণে নষ্ট হয়ে যায়, যার পরিমাণ রাজশাহী অঞ্চলের মোট ধান উৎপাদনের সমান। এক হিসাব অনুযায়ী, ইঁদুরের কারণে বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়, যা কৃষকদের জন্য বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনে। ইঁদুর দমন অভিযান এসব ক্ষতিকে মোকাবিলা করতে পেরেছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।

ইঁদুর নিধনে কৃষককে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ দিতে হবে। সেটা করা না গেলে শুধু অনুষ্ঠান আয়োজন করে বা বই-পুস্তক ছেপে প্রকৃত কোনো লাভ হবে না। ইঁদুর নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণের মাধ্যমে ইঁদুর দমন অভিযান সফল করা সম্ভব। এজন্য কৃষি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবশ্যই মাঠে কাজ করতে হবে, যেন তারা কৃষকের সমস্যা বুঝতে পারেন এবং তার সমাধান দিতে পারেন।

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রশ্নবিদ্ধ ইঁদুর নিধন অভিযান

রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

প্রতি বছর ঘটা করে ইঁদুর নিধন অভিযান শুরুহয়। তবে অভিযোগ রয়েছে যে, নিধন অভিযানের নামে নানান অনুষ্ঠান আয়োজন করাই সার। কৃষকদের প্রকৃত উপকার আর হয় না। কর্তাব্যক্তিরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইঁদুর নিধনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বক্তব্য দেন, কিন্তু বাস্তবে ফসলের মাঠে ইঁদুর দমনের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। ইঁদুরের কাছ থেকে কৃষকের ফসল রক্ষার অঙ্গীকার ঘোষণাতেই আটকে আছে।

এবারও যখন জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান শুরু হয়েছে, তখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা তাদের ফসলের ক্ষতির কথা জানাচ্ছেন। সংবাদ-এর প্রতিবেদনে কৃষকদের দুর্দশার চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। ইঁদুর দমন কর্মসূচির আওতায় কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায় না। তবে অনুষ্ঠান আয়োজন বা প্রকাশনাবাবদ অর্থ ব্যয় করতে দেখা যায়।

কৃষকদের অভিযোগ, মাসব্যাপী অভিযান কখনোই কার্যকরভাবে মাঠে কাজ করে না। তারা জানাচ্ছেন, ইঁদুর দমনের জন্য ফাঁদ বা বিষ দেয়া তো দূরের কথা, এমনকি তাদেরকে ইঁদুর নিধনে কোনো ধরনের পরামর্শ বা সহায়তাও দেয়া হয়নি। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, রংপুরের পীরগঞ্জ ও গাইবান্ধার কৃষকরা এসব অভিযোগ করেছেন। এমনকি, স্কুল-কলেজে ইঁদুর দমন সম্পর্কে কোনো ধরনের সচেতনতা সৃষ্টি করার প্রক্রিয়াও দুর্বল।

যদিও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাবি করছে যে, তারা প্রতিটি উপজেলায় ইঁদুর দমনের বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করতে আলোচনা ও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইঁদুরের কারণে প্রতি বছর দেশে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রায় ১১ শতাংশ ফসল ইঁদুরের কারণে নষ্ট হয়ে যায়, যার পরিমাণ রাজশাহী অঞ্চলের মোট ধান উৎপাদনের সমান। এক হিসাব অনুযায়ী, ইঁদুরের কারণে বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়, যা কৃষকদের জন্য বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনে। ইঁদুর দমন অভিযান এসব ক্ষতিকে মোকাবিলা করতে পেরেছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।

ইঁদুর নিধনে কৃষককে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ দিতে হবে। সেটা করা না গেলে শুধু অনুষ্ঠান আয়োজন করে বা বই-পুস্তক ছেপে প্রকৃত কোনো লাভ হবে না। ইঁদুর নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণের মাধ্যমে ইঁদুর দমন অভিযান সফল করা সম্ভব। এজন্য কৃষি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অবশ্যই মাঠে কাজ করতে হবে, যেন তারা কৃষকের সমস্যা বুঝতে পারেন এবং তার সমাধান দিতে পারেন।

back to top