alt

সম্পাদকীয়

সেতু নির্মাণে অবহেলা কাম্য নয়

: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা বাজার সংলগ্ন হরিপুর নদের ওপর নির্মিত সেতুটির পলেস্থারা মাত্র ছয় মাসে ধসে পড়েছে। এই ঘটনা দেশে সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অবহেলা এবং দুর্বলতার চিত্রই প্রকাশ করে। প্রায় তিন কোটি ১ত লাখ টাকায় নির্মিত এই সেতুর পলেস্থেরা খসে পড়ে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার ফলে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও পরে ঠিকাদার সেতুটি সংস্কার করেছে।

সেতু নির্মাণ হতে না হতেই ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঘটনা এই একটিই নয়। দেশে এরকম ঘটনা আরও ঘটতে দেখা গেছে। মণিরামপুরের সেতুর নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণের মান নিয়ে অভিযোগ ছিল। সেতু নির্মাণের পরে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না।

কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, শ্রমিকসহ সকলের প্রতিদিনের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে এসব সেতু। সেতু ধ্বসে পড়লে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, যা অর্থনৈতিক কর্মকা-েও ব্যাঘাত ঘটায়।

দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই সেতু নির্মাণে সঠিক উপকরণের ব্যবহার এবং পরিকল্পনামাফিক সংস্কারের বিষয়গুলো জরুরি হয়ে পড়েছে।

সমস্যাটি শুধু সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সরকারের গাফিলতি এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলির অবহেলার ব্যাপক প্রভাব পড়ছে প্রকল্পগুলোর সফল বাস্থবায়নে। ঠিকাদারদের দিকে অভিযোগ ওঠেছে তারা উপকরণের পরিমাণ এবং মান কমিয়ে দেয় যাতে খরচ কমানো যায়, কিন্তু এর ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ নষ্ট হয় এবং জনজীবনে সঙ্কট সৃষ্টি হয়।

সরকারের উচিত সেতু নির্মাণের জন্য সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত উপকরণের মান নিশ্চিত করা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি কার্যকরী নজরদারি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। সেতু নির্মাণের পরে সেটা যেন টেকসই হয় তা নিশ্চিত করতে পেশাদার পরামর্শক দল এবং পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা উচিত, যাতে সময়মতো সমস্যা চিহ্নিত করা যায় এবং তা সমাধান করা সম্ভব হয়। সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে অবহেলা কখনও মেনে নেয়া উচিত নয়।

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

tab

সম্পাদকীয়

সেতু নির্মাণে অবহেলা কাম্য নয়

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা বাজার সংলগ্ন হরিপুর নদের ওপর নির্মিত সেতুটির পলেস্থারা মাত্র ছয় মাসে ধসে পড়েছে। এই ঘটনা দেশে সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অবহেলা এবং দুর্বলতার চিত্রই প্রকাশ করে। প্রায় তিন কোটি ১ত লাখ টাকায় নির্মিত এই সেতুর পলেস্থেরা খসে পড়ে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার ফলে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও পরে ঠিকাদার সেতুটি সংস্কার করেছে।

সেতু নির্মাণ হতে না হতেই ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঘটনা এই একটিই নয়। দেশে এরকম ঘটনা আরও ঘটতে দেখা গেছে। মণিরামপুরের সেতুর নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণের মান নিয়ে অভিযোগ ছিল। সেতু নির্মাণের পরে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না।

কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, শ্রমিকসহ সকলের প্রতিদিনের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে এসব সেতু। সেতু ধ্বসে পড়লে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, যা অর্থনৈতিক কর্মকা-েও ব্যাঘাত ঘটায়।

দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই সেতু নির্মাণে সঠিক উপকরণের ব্যবহার এবং পরিকল্পনামাফিক সংস্কারের বিষয়গুলো জরুরি হয়ে পড়েছে।

সমস্যাটি শুধু সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সরকারের গাফিলতি এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলির অবহেলার ব্যাপক প্রভাব পড়ছে প্রকল্পগুলোর সফল বাস্থবায়নে। ঠিকাদারদের দিকে অভিযোগ ওঠেছে তারা উপকরণের পরিমাণ এবং মান কমিয়ে দেয় যাতে খরচ কমানো যায়, কিন্তু এর ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ নষ্ট হয় এবং জনজীবনে সঙ্কট সৃষ্টি হয়।

সরকারের উচিত সেতু নির্মাণের জন্য সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত উপকরণের মান নিশ্চিত করা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি কার্যকরী নজরদারি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। সেতু নির্মাণের পরে সেটা যেন টেকসই হয় তা নিশ্চিত করতে পেশাদার পরামর্শক দল এবং পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা উচিত, যাতে সময়মতো সমস্যা চিহ্নিত করা যায় এবং তা সমাধান করা সম্ভব হয়। সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে অবহেলা কখনও মেনে নেয়া উচিত নয়।

back to top