যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা বাজার সংলগ্ন হরিপুর নদের ওপর নির্মিত সেতুটির পলেস্থারা মাত্র ছয় মাসে ধসে পড়েছে। এই ঘটনা দেশে সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অবহেলা এবং দুর্বলতার চিত্রই প্রকাশ করে। প্রায় তিন কোটি ১ত লাখ টাকায় নির্মিত এই সেতুর পলেস্থেরা খসে পড়ে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার ফলে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও পরে ঠিকাদার সেতুটি সংস্কার করেছে।
সেতু নির্মাণ হতে না হতেই ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঘটনা এই একটিই নয়। দেশে এরকম ঘটনা আরও ঘটতে দেখা গেছে। মণিরামপুরের সেতুর নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণের মান নিয়ে অভিযোগ ছিল। সেতু নির্মাণের পরে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না।
কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, শ্রমিকসহ সকলের প্রতিদিনের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে এসব সেতু। সেতু ধ্বসে পড়লে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, যা অর্থনৈতিক কর্মকা-েও ব্যাঘাত ঘটায়।
দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই সেতু নির্মাণে সঠিক উপকরণের ব্যবহার এবং পরিকল্পনামাফিক সংস্কারের বিষয়গুলো জরুরি হয়ে পড়েছে।
সমস্যাটি শুধু সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সরকারের গাফিলতি এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলির অবহেলার ব্যাপক প্রভাব পড়ছে প্রকল্পগুলোর সফল বাস্থবায়নে। ঠিকাদারদের দিকে অভিযোগ ওঠেছে তারা উপকরণের পরিমাণ এবং মান কমিয়ে দেয় যাতে খরচ কমানো যায়, কিন্তু এর ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ নষ্ট হয় এবং জনজীবনে সঙ্কট সৃষ্টি হয়।
সরকারের উচিত সেতু নির্মাণের জন্য সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত উপকরণের মান নিশ্চিত করা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি কার্যকরী নজরদারি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। সেতু নির্মাণের পরে সেটা যেন টেকসই হয় তা নিশ্চিত করতে পেশাদার পরামর্শক দল এবং পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা উচিত, যাতে সময়মতো সমস্যা চিহ্নিত করা যায় এবং তা সমাধান করা সম্ভব হয়। সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে অবহেলা কখনও মেনে নেয়া উচিত নয়।
মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চিনাটোলা বাজার সংলগ্ন হরিপুর নদের ওপর নির্মিত সেতুটির পলেস্থারা মাত্র ছয় মাসে ধসে পড়েছে। এই ঘটনা দেশে সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অবহেলা এবং দুর্বলতার চিত্রই প্রকাশ করে। প্রায় তিন কোটি ১ত লাখ টাকায় নির্মিত এই সেতুর পলেস্থেরা খসে পড়ে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার ফলে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও পরে ঠিকাদার সেতুটি সংস্কার করেছে।
সেতু নির্মাণ হতে না হতেই ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঘটনা এই একটিই নয়। দেশে এরকম ঘটনা আরও ঘটতে দেখা গেছে। মণিরামপুরের সেতুর নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণের মান নিয়ে অভিযোগ ছিল। সেতু নির্মাণের পরে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না।
কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, শ্রমিকসহ সকলের প্রতিদিনের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে এসব সেতু। সেতু ধ্বসে পড়লে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, যা অর্থনৈতিক কর্মকা-েও ব্যাঘাত ঘটায়।
দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই সেতু নির্মাণে সঠিক উপকরণের ব্যবহার এবং পরিকল্পনামাফিক সংস্কারের বিষয়গুলো জরুরি হয়ে পড়েছে।
সমস্যাটি শুধু সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সরকারের গাফিলতি এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলির অবহেলার ব্যাপক প্রভাব পড়ছে প্রকল্পগুলোর সফল বাস্থবায়নে। ঠিকাদারদের দিকে অভিযোগ ওঠেছে তারা উপকরণের পরিমাণ এবং মান কমিয়ে দেয় যাতে খরচ কমানো যায়, কিন্তু এর ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ নষ্ট হয় এবং জনজীবনে সঙ্কট সৃষ্টি হয়।
সরকারের উচিত সেতু নির্মাণের জন্য সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত উপকরণের মান নিশ্চিত করা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি কার্যকরী নজরদারি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। সেতু নির্মাণের পরে সেটা যেন টেকসই হয় তা নিশ্চিত করতে পেশাদার পরামর্শক দল এবং পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা উচিত, যাতে সময়মতো সমস্যা চিহ্নিত করা যায় এবং তা সমাধান করা সম্ভব হয়। সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে অবহেলা কখনও মেনে নেয়া উচিত নয়।