মীরসরাইয়ের দোকানে দোকানে ঝুলছে কাঁচা-পাকা কলার কাঁদি। পাকা কলাগুলো দেখতে হলুদ রংয়ের হলেও নেই স্বাদ-গন্ধ। রাসায়নিক দিয়ে কাঁচা কলা পাকিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট, জোরারগঞ্জ, বড়তাকিয়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের কলার আড়তগুলোতে ইথোফেন দিয়ে পাকানো হচ্ছে কলা।
শুধু কলা নয় অন্যান্য ফল ও সবজিতে রাসায়নিক ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। মূলত ব্যবসায়ীরা দ্রুত ফল পাকার জন্য এবং দেখতে আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্দেশ্যে এসব রাসায়নিক ব্যবহার করে থাকেন। তবে এর ফলে যেভাবে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে, তা অবজ্ঞা করার মতো নয়। ফলমূলে রাসায়নিকের ব্যবহার দীর্ঘদিনের সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যার টেকসই সমাধন হচ্ছে না।
ইথোফেন একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক, যা সাধারণত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করেছেন যে, গাছ থেকে পাড়ার পর কোনো ফলে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, রাসায়নিকটি ফলের ভেতরে থেকে যায় এবং তা মানবদেহে প্রবেশ করে দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসার, কিডনির সমস্যা এবং হরমোনজনিত অসামঞ্জস্য তৈরি করতে পারে। তবুও, ব্যবসায়িক স্বার্থে এসব নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।
নিয়মিত বাজার পরিদর্শন, রাসায়নিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি না হওয়ায় এই সমস্যা দিনের পর দিন বাড়ছে। রাসায়নিকমুক্ত ফল নিশ্চিত করতে এর আগে আদালত নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবায়নের অভাবে সেই উদ্যোগও ভেস্তে গেছে।
এই সমস্যা সমাধানে টেকসই পদক্ষেপ নিতে হবে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব বিকল্প পদ্ধতি প্রচলন করা জরুরি। এছাড়া রাসায়নিকের অপব্যবহার সম্পর্কে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাসহ সব পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
মীরসরাইয়ের দোকানে দোকানে ঝুলছে কাঁচা-পাকা কলার কাঁদি। পাকা কলাগুলো দেখতে হলুদ রংয়ের হলেও নেই স্বাদ-গন্ধ। রাসায়নিক দিয়ে কাঁচা কলা পাকিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট, জোরারগঞ্জ, বড়তাকিয়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের কলার আড়তগুলোতে ইথোফেন দিয়ে পাকানো হচ্ছে কলা।
শুধু কলা নয় অন্যান্য ফল ও সবজিতে রাসায়নিক ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। মূলত ব্যবসায়ীরা দ্রুত ফল পাকার জন্য এবং দেখতে আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্দেশ্যে এসব রাসায়নিক ব্যবহার করে থাকেন। তবে এর ফলে যেভাবে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে, তা অবজ্ঞা করার মতো নয়। ফলমূলে রাসায়নিকের ব্যবহার দীর্ঘদিনের সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যার টেকসই সমাধন হচ্ছে না।
ইথোফেন একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক, যা সাধারণত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করেছেন যে, গাছ থেকে পাড়ার পর কোনো ফলে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, রাসায়নিকটি ফলের ভেতরে থেকে যায় এবং তা মানবদেহে প্রবেশ করে দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসার, কিডনির সমস্যা এবং হরমোনজনিত অসামঞ্জস্য তৈরি করতে পারে। তবুও, ব্যবসায়িক স্বার্থে এসব নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।
নিয়মিত বাজার পরিদর্শন, রাসায়নিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি না হওয়ায় এই সমস্যা দিনের পর দিন বাড়ছে। রাসায়নিকমুক্ত ফল নিশ্চিত করতে এর আগে আদালত নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবায়নের অভাবে সেই উদ্যোগও ভেস্তে গেছে।
এই সমস্যা সমাধানে টেকসই পদক্ষেপ নিতে হবে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব বিকল্প পদ্ধতি প্রচলন করা জরুরি। এছাড়া রাসায়নিকের অপব্যবহার সম্পর্কে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাসহ সব পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে।