ঝালকাঠি জেলার স্বাস্থ্যসেবায় চলমান চিকিৎসক সংকট একটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। একটি আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক সেবা হলো স্বাস্থ্যসেবা, যা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু ঝালকাঠির বর্তমান অবস্থা নির্দেশ করে যে, এই মৌলিক সেবার ক্ষেত্রে চরম অবহেলা বিদ্যমান।
জেলায় ১৩৬ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও মাত্র ৫৮ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। এ তথ্যই যথেষ্ট পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরতে। সদর হাসপাতালের অবস্থাও অনুরূপ। এখানে ৪০ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে মাত্র ১৪ জন কর্মরত আছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ডেপুটেশনে থাকা এবং বেশিরভাগ পদের শূন্যতা এই সেবার মানকে তলানিতে নামিয়ে এনেছে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসকের অভাব স্পষ্ট। নলছিটি, রাজাপুর, কাঁঠালিয়া প্রত্যেক উপজেলায় চিকিৎসকের পদের বিপুল শূন্যতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুধু এই একটি জেলাতেই নয়, দেশের অনেক স্থানেই এই সংকট রয়েছে।
চিকিৎসক সংকটের সবচেয়ে বড় শিকার সাধারণ জনগণ। একজন চিকিৎসকের জন্য অসংখ্য রোগীকে দেখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। চিকিৎসক সংকটের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিকিৎসকদের বদলি এবং উচ্চশিক্ষার জন্য স্থানান্তর। যদিও দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে, তবে এর সমাধান হতে পারে যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়া হাসপাতালগুলোকে শূন্য না রেখে এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা।
চিকিৎসক সংকট নিরসনে সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্রুত শূন্য পদ পূরণ করার জন্য নতুন চিকিৎসকদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। চিকিৎসকদের স্থানীয় পর্যায়ে থাকতে উৎসাহিত করা দরকার। চিকিৎসকদের কর্মস্থলে থাকা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আবাসন, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান।
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সূচক। মানুষ উন্নত ও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা চায়, এবং এটি নিশ্চিত করা সরকারের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব।
সরকারের উচিত এই সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া। চিকিৎসকদের স্থানীয় পর্যায়ে ধরে রাখতে উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানবসম্পদের ঘাটতি পূরণই হতে পারে টেকসই স্বাস্থ্যসেবার মূল চাবিকাঠি। সরকারি হাসপাতালগুলো এই সংকট থেকে মুক্তি পাবে, এটাই আমাদের চাওয়া।
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
ঝালকাঠি জেলার স্বাস্থ্যসেবায় চলমান চিকিৎসক সংকট একটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। একটি আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক সেবা হলো স্বাস্থ্যসেবা, যা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু ঝালকাঠির বর্তমান অবস্থা নির্দেশ করে যে, এই মৌলিক সেবার ক্ষেত্রে চরম অবহেলা বিদ্যমান।
জেলায় ১৩৬ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও মাত্র ৫৮ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। এ তথ্যই যথেষ্ট পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরতে। সদর হাসপাতালের অবস্থাও অনুরূপ। এখানে ৪০ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে মাত্র ১৪ জন কর্মরত আছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ডেপুটেশনে থাকা এবং বেশিরভাগ পদের শূন্যতা এই সেবার মানকে তলানিতে নামিয়ে এনেছে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসকের অভাব স্পষ্ট। নলছিটি, রাজাপুর, কাঁঠালিয়া প্রত্যেক উপজেলায় চিকিৎসকের পদের বিপুল শূন্যতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুধু এই একটি জেলাতেই নয়, দেশের অনেক স্থানেই এই সংকট রয়েছে।
চিকিৎসক সংকটের সবচেয়ে বড় শিকার সাধারণ জনগণ। একজন চিকিৎসকের জন্য অসংখ্য রোগীকে দেখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। চিকিৎসক সংকটের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিকিৎসকদের বদলি এবং উচ্চশিক্ষার জন্য স্থানান্তর। যদিও দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে, তবে এর সমাধান হতে পারে যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়া হাসপাতালগুলোকে শূন্য না রেখে এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা।
চিকিৎসক সংকট নিরসনে সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্রুত শূন্য পদ পূরণ করার জন্য নতুন চিকিৎসকদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। চিকিৎসকদের স্থানীয় পর্যায়ে থাকতে উৎসাহিত করা দরকার। চিকিৎসকদের কর্মস্থলে থাকা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আবাসন, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান।
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সূচক। মানুষ উন্নত ও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা চায়, এবং এটি নিশ্চিত করা সরকারের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব।
সরকারের উচিত এই সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া। চিকিৎসকদের স্থানীয় পর্যায়ে ধরে রাখতে উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানবসম্পদের ঘাটতি পূরণই হতে পারে টেকসই স্বাস্থ্যসেবার মূল চাবিকাঠি। সরকারি হাসপাতালগুলো এই সংকট থেকে মুক্তি পাবে, এটাই আমাদের চাওয়া।