সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে রাজধানী ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ বা সীমিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ও সংশ্লিষ্টরা আন্দোলনে নেমেছেন। এ পরিস্থিতি রাজধানীর পরিবহণ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচন করেছে, যা সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি রাখে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা শহরের যাতায়াত ব্যবস্থায় একটি সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কম খরচে ও স্বল্প সময়ে এই পরিবহণ বিশেষত স্বল্প দূরত্বের যাতায়াতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি পরিবেশবান্ধব, কারণ এর ফলে সরাসরি কোনো ধোঁয়া বা কার্বন নিঃসরণ হয় না।
তবে এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা প্রায়ই ট্রাফিক নিয়ম মানেন না, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া, যানজট বাড়ানোর জন্য তাদের দায়ী করা হয়। অনেক সময় নিম্নমানের ব্যাটারি ব্যবহার করার ফলে রাস্তার মাঝেই এসব যান বিকল হয়ে যায়।
ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ হলে এর চালক ও বিনিয়োগকারীরা গভীর সমস্যায় পড়বেন। এসব রিকশায় বিনিয়োগকারী অনেকেই দরিদ্র, যাদের মূল আয়ের উৎস এই যান। অপরদিকে, হাজারো চালক এই পেশার ওপর নির্ভরশীল। ফলে, এই সিদ্ধান্ত তাদের জীবিকা হুমকির মুখে ফেলবে।
রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত যাত্রীদেরও বিপাকে ফেলবে বলে মনে করছেন অনেকে। তারা বলছেন, ঢাকা শহরে গণপরিবহণের সংকট এতটাই প্রকট যে, রিকশা অনেক ক্ষেত্রে একমাত্র সহজলভ্য পরিবহণ।
পরিবহণ খাতে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার সমস্যার মূলে রয়েছে এর অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা। যানবাহন নিবন্ধনহীন থাকা এবং চালকদের প্রশিক্ষণের অভাব এ সমস্যাকে আরও তীব্র করেছে। যানজট নিরসনে শুধু ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ করলেই সমাধান আসবে কিনা সেটাও ভাববার বিষয়।
ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা যেতে পারে, যারা গবেষণা করে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবেন এবং সমাধানের পথ নির্ধারণ করবেন। ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য সুনির্দিষ্ট লাইসেন্স ব্যবস্থা চালু করা, চালকদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং নির্ধারিত রুটে চলাচলের নিয়ম চালু করা হতে পারে সম্ভাব্য সমাধান।
কোন সড়কে এই যান চলতে পারবে, আর কোন সড়কে চলতে পারবে না সে বিষয়েও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে সংশ্লিষ্ট অংশীজন, যাত্রী, চালক ও বিনিয়োগকারীরা কেউই ক্ষতিগ্রস্ত না হন। একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত না নিয়ে অংশীজনদের মতামত ও গবেষণার ভিত্তিতে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে রাজধানী ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ বা সীমিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ও সংশ্লিষ্টরা আন্দোলনে নেমেছেন। এ পরিস্থিতি রাজধানীর পরিবহণ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচন করেছে, যা সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি রাখে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা শহরের যাতায়াত ব্যবস্থায় একটি সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কম খরচে ও স্বল্প সময়ে এই পরিবহণ বিশেষত স্বল্প দূরত্বের যাতায়াতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি পরিবেশবান্ধব, কারণ এর ফলে সরাসরি কোনো ধোঁয়া বা কার্বন নিঃসরণ হয় না।
তবে এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা প্রায়ই ট্রাফিক নিয়ম মানেন না, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া, যানজট বাড়ানোর জন্য তাদের দায়ী করা হয়। অনেক সময় নিম্নমানের ব্যাটারি ব্যবহার করার ফলে রাস্তার মাঝেই এসব যান বিকল হয়ে যায়।
ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ হলে এর চালক ও বিনিয়োগকারীরা গভীর সমস্যায় পড়বেন। এসব রিকশায় বিনিয়োগকারী অনেকেই দরিদ্র, যাদের মূল আয়ের উৎস এই যান। অপরদিকে, হাজারো চালক এই পেশার ওপর নির্ভরশীল। ফলে, এই সিদ্ধান্ত তাদের জীবিকা হুমকির মুখে ফেলবে।
রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত যাত্রীদেরও বিপাকে ফেলবে বলে মনে করছেন অনেকে। তারা বলছেন, ঢাকা শহরে গণপরিবহণের সংকট এতটাই প্রকট যে, রিকশা অনেক ক্ষেত্রে একমাত্র সহজলভ্য পরিবহণ।
পরিবহণ খাতে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার সমস্যার মূলে রয়েছে এর অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা। যানবাহন নিবন্ধনহীন থাকা এবং চালকদের প্রশিক্ষণের অভাব এ সমস্যাকে আরও তীব্র করেছে। যানজট নিরসনে শুধু ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ করলেই সমাধান আসবে কিনা সেটাও ভাববার বিষয়।
ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা যেতে পারে, যারা গবেষণা করে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবেন এবং সমাধানের পথ নির্ধারণ করবেন। ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য সুনির্দিষ্ট লাইসেন্স ব্যবস্থা চালু করা, চালকদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং নির্ধারিত রুটে চলাচলের নিয়ম চালু করা হতে পারে সম্ভাব্য সমাধান।
কোন সড়কে এই যান চলতে পারবে, আর কোন সড়কে চলতে পারবে না সে বিষয়েও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে সংশ্লিষ্ট অংশীজন, যাত্রী, চালক ও বিনিয়োগকারীরা কেউই ক্ষতিগ্রস্ত না হন। একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত না নিয়ে অংশীজনদের মতামত ও গবেষণার ভিত্তিতে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।