alt

সম্পাদকীয়

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

: শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রতি বছর শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ উড়ে এদেশে আসে। এই পরিযায়ী পাখি মূলত শীতপ্রধান দেশের প্রতিকূল পরিবেশ থেকে নাতিশীতোষ্ণ বাংলাদেশে নিজেদের আশ্রয় খুঁজে নেয়। এখানে শীতের তিন-চার মাস কাটিয়ে আবার নিজের দেশে ফিরে যায়।

গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হরষপুর উপজেলার বিভিন্ন বিলে ফাঁদ পেতে, টোপ দিয়ে, বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে পরিযায়ী পাখি শিকার করছেন অনেকে। শিকার করা পাখি বাজারে বিক্রিও করা হচ্ছে। জেলার অনেক জায়গাতেই অবাধে দেশি এবং অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু, শিকারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। এক পাখি বিক্রেতা জানান, ‘আমরা বিক্রি করছি, কিন্তু কেউ তো বাধা দেয়নি। সবাই দাম জিজ্ঞেস করে। স্যাররাও (সরকারি কর্মচারী) মাঝেমধ্যে কিনে নেয়।’

আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে নিধন করা হচ্ছে পরিযায়ী পাখি। ১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের ধারা ৩৮ অনুযায়ী পরিযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা দ- বা উভয় দ-ে দ-িত করার বিধান রয়েছে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণ। এছাড়া যদি কোনো ব্যক্তি অতিথি পাখির মাংস ও দেহের অংশ সংগ্রহ করে দখলে রাখে কিংবা বেচাকেনা করে। তবে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদ- ও সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দ-ে দ-িত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু এই আইনের যথাযথ কোন প্রয়োগ নাই।

কেবল দেশের এই একটি স্থানেই নয়, দেশের অন্যত্রও অবাধে পাখি শিকার হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। আমরা বলতে চাই, পরিযায়ী পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে। অনেকে বলছেন, দেশে যেসব স্থানে পরিযায়ী পাখি আশ্রয় নেয় সেই সব এলাকাগুলো চিহ্নিত করে অভয়ারণ্য ও বিশেষ বৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সক্রিয় বিবেচনা করবে সেটা আমাদের আশা।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

খাদ্যগুদামে অনিয়ম কাম্য নয়

বেআইনিভাবে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করুন

শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতা : টেকসই সমাধান কী

সেতু নির্মাণে অবহেলা কাম্য নয়

পোশাক শ্রমিকদেরকে কেনো বারবার পথে নামতে হচ্ছে

চট্টগ্রাম নগরীর পয়োনিষ্কাশনের পথে বাধা দূর করুন

নদীভাঙনের শিকার মানুষের পাশে দাঁড়ান

বদরখালীতে প্যারাবন নিধন: প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

প্রশ্নবিদ্ধ ইঁদুর নিধন অভিযান

নদী খননে সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে

ভালুকার বনাঞ্চল রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা প্রয়োজন

অটোরিকশা ও সিএনজির দখলে আঞ্চলিক মহাসড়ক

সিসা দূষণের ভয়াবহতার মুখে দেশের শিশুরা

বলুহর বাঁওড় নিয়ে মৎস্যজীবীদের অভিযোগ আমলে নিন

যুক্তরাষ্ট্রে চালকের আসনে ট্রাম্প

জলাবদ্ধতা থেকে ডুমুরিয়াবাসীকে উদ্ধার করুন

বীজ ও সার নিয়ে আলুচাষিদের উদ্বেগ দূর করুন

কারিগরি শিক্ষায় নজর দিন

নাটক বন্ধে জোরজবরদস্তি : এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

কৃষিপণ্য পরিবহনে রেল ব্যবহারের সুবিধা আরও বাড়াতে হবে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি কি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ¬চলে যাচ্ছে

পাখির বাসস্থান সংরক্ষণে চাই সামাজিক উদ্যোগ

আবারও রক্ত ঝরল পাহাড়ে

tab

সম্পাদকীয়

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রতি বছর শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ উড়ে এদেশে আসে। এই পরিযায়ী পাখি মূলত শীতপ্রধান দেশের প্রতিকূল পরিবেশ থেকে নাতিশীতোষ্ণ বাংলাদেশে নিজেদের আশ্রয় খুঁজে নেয়। এখানে শীতের তিন-চার মাস কাটিয়ে আবার নিজের দেশে ফিরে যায়।

গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হরষপুর উপজেলার বিভিন্ন বিলে ফাঁদ পেতে, টোপ দিয়ে, বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে পরিযায়ী পাখি শিকার করছেন অনেকে। শিকার করা পাখি বাজারে বিক্রিও করা হচ্ছে। জেলার অনেক জায়গাতেই অবাধে দেশি এবং অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু, শিকারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। এক পাখি বিক্রেতা জানান, ‘আমরা বিক্রি করছি, কিন্তু কেউ তো বাধা দেয়নি। সবাই দাম জিজ্ঞেস করে। স্যাররাও (সরকারি কর্মচারী) মাঝেমধ্যে কিনে নেয়।’

আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে নিধন করা হচ্ছে পরিযায়ী পাখি। ১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের ধারা ৩৮ অনুযায়ী পরিযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা দ- বা উভয় দ-ে দ-িত করার বিধান রয়েছে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণ। এছাড়া যদি কোনো ব্যক্তি অতিথি পাখির মাংস ও দেহের অংশ সংগ্রহ করে দখলে রাখে কিংবা বেচাকেনা করে। তবে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদ- ও সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দ-ে দ-িত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু এই আইনের যথাযথ কোন প্রয়োগ নাই।

কেবল দেশের এই একটি স্থানেই নয়, দেশের অন্যত্রও অবাধে পাখি শিকার হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। আমরা বলতে চাই, পরিযায়ী পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে। অনেকে বলছেন, দেশে যেসব স্থানে পরিযায়ী পাখি আশ্রয় নেয় সেই সব এলাকাগুলো চিহ্নিত করে অভয়ারণ্য ও বিশেষ বৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সক্রিয় বিবেচনা করবে সেটা আমাদের আশা।

back to top