প্রতি বছর শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ উড়ে এদেশে আসে। এই পরিযায়ী পাখি মূলত শীতপ্রধান দেশের প্রতিকূল পরিবেশ থেকে নাতিশীতোষ্ণ বাংলাদেশে নিজেদের আশ্রয় খুঁজে নেয়। এখানে শীতের তিন-চার মাস কাটিয়ে আবার নিজের দেশে ফিরে যায়।
গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হরষপুর উপজেলার বিভিন্ন বিলে ফাঁদ পেতে, টোপ দিয়ে, বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে পরিযায়ী পাখি শিকার করছেন অনেকে। শিকার করা পাখি বাজারে বিক্রিও করা হচ্ছে। জেলার অনেক জায়গাতেই অবাধে দেশি এবং অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু, শিকারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। এক পাখি বিক্রেতা জানান, ‘আমরা বিক্রি করছি, কিন্তু কেউ তো বাধা দেয়নি। সবাই দাম জিজ্ঞেস করে। স্যাররাও (সরকারি কর্মচারী) মাঝেমধ্যে কিনে নেয়।’
আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে নিধন করা হচ্ছে পরিযায়ী পাখি। ১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের ধারা ৩৮ অনুযায়ী পরিযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা দ- বা উভয় দ-ে দ-িত করার বিধান রয়েছে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণ। এছাড়া যদি কোনো ব্যক্তি অতিথি পাখির মাংস ও দেহের অংশ সংগ্রহ করে দখলে রাখে কিংবা বেচাকেনা করে। তবে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদ- ও সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দ-ে দ-িত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু এই আইনের যথাযথ কোন প্রয়োগ নাই।
কেবল দেশের এই একটি স্থানেই নয়, দেশের অন্যত্রও অবাধে পাখি শিকার হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। আমরা বলতে চাই, পরিযায়ী পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে। অনেকে বলছেন, দেশে যেসব স্থানে পরিযায়ী পাখি আশ্রয় নেয় সেই সব এলাকাগুলো চিহ্নিত করে অভয়ারণ্য ও বিশেষ বৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সক্রিয় বিবেচনা করবে সেটা আমাদের আশা।
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
প্রতি বছর শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ উড়ে এদেশে আসে। এই পরিযায়ী পাখি মূলত শীতপ্রধান দেশের প্রতিকূল পরিবেশ থেকে নাতিশীতোষ্ণ বাংলাদেশে নিজেদের আশ্রয় খুঁজে নেয়। এখানে শীতের তিন-চার মাস কাটিয়ে আবার নিজের দেশে ফিরে যায়।
গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হরষপুর উপজেলার বিভিন্ন বিলে ফাঁদ পেতে, টোপ দিয়ে, বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে পরিযায়ী পাখি শিকার করছেন অনেকে। শিকার করা পাখি বাজারে বিক্রিও করা হচ্ছে। জেলার অনেক জায়গাতেই অবাধে দেশি এবং অতিথি পাখি শিকার ও বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু, শিকারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। এক পাখি বিক্রেতা জানান, ‘আমরা বিক্রি করছি, কিন্তু কেউ তো বাধা দেয়নি। সবাই দাম জিজ্ঞেস করে। স্যাররাও (সরকারি কর্মচারী) মাঝেমধ্যে কিনে নেয়।’
আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে নিধন করা হচ্ছে পরিযায়ী পাখি। ১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের ধারা ৩৮ অনুযায়ী পরিযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা দ- বা উভয় দ-ে দ-িত করার বিধান রয়েছে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণ। এছাড়া যদি কোনো ব্যক্তি অতিথি পাখির মাংস ও দেহের অংশ সংগ্রহ করে দখলে রাখে কিংবা বেচাকেনা করে। তবে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদ- ও সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দ-ে দ-িত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু এই আইনের যথাযথ কোন প্রয়োগ নাই।
কেবল দেশের এই একটি স্থানেই নয়, দেশের অন্যত্রও অবাধে পাখি শিকার হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। আমরা বলতে চাই, পরিযায়ী পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে। অনেকে বলছেন, দেশে যেসব স্থানে পরিযায়ী পাখি আশ্রয় নেয় সেই সব এলাকাগুলো চিহ্নিত করে অভয়ারণ্য ও বিশেষ বৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সক্রিয় বিবেচনা করবে সেটা আমাদের আশা।