উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এক বড় চ্যালেঞ্জ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘন ঘন বন্যা এবং খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের জীবনধারা ও অর্থনীতিকে বিপন্ন করছে। আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উন্নত দেশগুলো ২০৩৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বছরে ২৫০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পোষাতে বছরে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার চেয়েছিল। সম্মেলনে চাওয়ার তুলনায় প্রাপ্তি কম। বিষয়টি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য হতাশাজনক। এই বরাদ্দ তাদের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও অন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষ থেকে এই অর্থের ওপর নির্ভরতা অত্যন্ত বেশি।
ধনী দেশগুলো কার্বন নিঃসরণের জন্য বেশি দায়ী। কিন্তু বিশ্ববাসীর ক্ষতি মোকাবিলায় তারা যথাযথ দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছে না।
সম্মেলনের প্রাথমিক খসড়ায় প্রকৃত কোন পরিকল্পনা বা সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। যে কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের অভিযোজন ও নির্গমন হ্রাস কার্যক্রমের জন্য নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের যেসব দেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সহায়তা ও আরও জোরালো প্রতিশ্রুতির আশা করে। দেশে বন্যা, খরা ও নদীভাঙনের মতো সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে এই তহবিল অত্যন্ত জরুরি। দেশের পক্ষ থেকে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে এবং এই জরুরি সংকট মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেয়।
উন্নত দেশগুলোর উচিত জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্য পূরণে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা। বিশ্বকে রক্ষায় শুধু আলোচনা নয়, কার্যকর পদক্ষেপের জন্য সব দেশকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। ধনী দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা বাড়াতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক একটি সমস্যা। এ বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই শুধু আমরা পৃথিবীকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে তুলতে পারব।
 ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এক বড় চ্যালেঞ্জ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘন ঘন বন্যা এবং খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের জীবনধারা ও অর্থনীতিকে বিপন্ন করছে। আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উন্নত দেশগুলো ২০৩৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বছরে ২৫০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পোষাতে বছরে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার চেয়েছিল। সম্মেলনে চাওয়ার তুলনায় প্রাপ্তি কম। বিষয়টি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য হতাশাজনক। এই বরাদ্দ তাদের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও অন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষ থেকে এই অর্থের ওপর নির্ভরতা অত্যন্ত বেশি।
ধনী দেশগুলো কার্বন নিঃসরণের জন্য বেশি দায়ী। কিন্তু বিশ্ববাসীর ক্ষতি মোকাবিলায় তারা যথাযথ দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছে না।
সম্মেলনের প্রাথমিক খসড়ায় প্রকৃত কোন পরিকল্পনা বা সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। যে কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের অভিযোজন ও নির্গমন হ্রাস কার্যক্রমের জন্য নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের যেসব দেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সহায়তা ও আরও জোরালো প্রতিশ্রুতির আশা করে। দেশে বন্যা, খরা ও নদীভাঙনের মতো সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে এই তহবিল অত্যন্ত জরুরি। দেশের পক্ষ থেকে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে এবং এই জরুরি সংকট মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেয়।
উন্নত দেশগুলোর উচিত জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্য পূরণে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা। বিশ্বকে রক্ষায় শুধু আলোচনা নয়, কার্যকর পদক্ষেপের জন্য সব দেশকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। ধনী দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা বাড়াতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক একটি সমস্যা। এ বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই শুধু আমরা পৃথিবীকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে তুলতে পারব।
