alt

opinion » editorial

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

: মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এক বড় চ্যালেঞ্জ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘন ঘন বন্যা এবং খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের জীবনধারা ও অর্থনীতিকে বিপন্ন করছে। আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উন্নত দেশগুলো ২০৩৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বছরে ২৫০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পোষাতে বছরে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার চেয়েছিল। সম্মেলনে চাওয়ার তুলনায় প্রাপ্তি কম। বিষয়টি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য হতাশাজনক। এই বরাদ্দ তাদের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও অন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষ থেকে এই অর্থের ওপর নির্ভরতা অত্যন্ত বেশি।

ধনী দেশগুলো কার্বন নিঃসরণের জন্য বেশি দায়ী। কিন্তু বিশ্ববাসীর ক্ষতি মোকাবিলায় তারা যথাযথ দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছে না।

সম্মেলনের প্রাথমিক খসড়ায় প্রকৃত কোন পরিকল্পনা বা সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। যে কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের অভিযোজন ও নির্গমন হ্রাস কার্যক্রমের জন্য নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের যেসব দেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সহায়তা ও আরও জোরালো প্রতিশ্রুতির আশা করে। দেশে বন্যা, খরা ও নদীভাঙনের মতো সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে এই তহবিল অত্যন্ত জরুরি। দেশের পক্ষ থেকে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে এবং এই জরুরি সংকট মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেয়।

উন্নত দেশগুলোর উচিত জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্য পূরণে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা। বিশ্বকে রক্ষায় শুধু আলোচনা নয়, কার্যকর পদক্ষেপের জন্য সব দেশকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। ধনী দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা বাড়াতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক একটি সমস্যা। এ বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই শুধু আমরা পৃথিবীকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে তুলতে পারব।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এক বড় চ্যালেঞ্জ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘন ঘন বন্যা এবং খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের জীবনধারা ও অর্থনীতিকে বিপন্ন করছে। আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উন্নত দেশগুলো ২০৩৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বছরে ২৫০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পোষাতে বছরে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার চেয়েছিল। সম্মেলনে চাওয়ার তুলনায় প্রাপ্তি কম। বিষয়টি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য হতাশাজনক। এই বরাদ্দ তাদের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও অন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষ থেকে এই অর্থের ওপর নির্ভরতা অত্যন্ত বেশি।

ধনী দেশগুলো কার্বন নিঃসরণের জন্য বেশি দায়ী। কিন্তু বিশ্ববাসীর ক্ষতি মোকাবিলায় তারা যথাযথ দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছে না।

সম্মেলনের প্রাথমিক খসড়ায় প্রকৃত কোন পরিকল্পনা বা সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। যে কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের অভিযোজন ও নির্গমন হ্রাস কার্যক্রমের জন্য নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের যেসব দেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সহায়তা ও আরও জোরালো প্রতিশ্রুতির আশা করে। দেশে বন্যা, খরা ও নদীভাঙনের মতো সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে এই তহবিল অত্যন্ত জরুরি। দেশের পক্ষ থেকে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে এবং এই জরুরি সংকট মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেয়।

উন্নত দেশগুলোর উচিত জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্য পূরণে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা। বিশ্বকে রক্ষায় শুধু আলোচনা নয়, কার্যকর পদক্ষেপের জন্য সব দেশকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। ধনী দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা বাড়াতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক একটি সমস্যা। এ বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই শুধু আমরা পৃথিবীকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে তুলতে পারব।

back to top