দেশব্যাপী চার মাস ঊর্ধ্ব সব সুস্থ ছাগল-ভেড়াকে টিকা দেয়া হয়েছে। পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ১ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরেও চলেছে এ কার্যক্রম। এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল প্রায় ৭০ হাজার টিকা। সরকারিভাবে নির্ধারিত ৫ টাকায় এসব টিকা দেয়ার কথা ছিল।
এই কর্মসূটি নিয়ে সিঙ্গাইরে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টিকাপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে স্থানীয়দের মাঝে যথাযথ প্রচারও চালানো হয়নি। এমনকি ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সরজমিনে কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
পিপিআর ছাগল-ভেড়ার ভাইরাসজনিত একটি মারাত্মক রোগ। দেশে এই রোগটি ১৯৯৩ সালে দেখা দেয়। এই রোগে আক্রান্ত পশু প্রজননক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা হারিয়ে ফেলে। এক হিসাব অনুযায়ী, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৭৫ শতাংশ ছাগলের মৃত্যু হয়। প্রজননক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা হ্রাসের পাশাপাশি চিকিৎসা খরচ বেড়ে যাওয়ার ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। এই পরিস্থিতিতে সময়মতো এবং সঠিকভাবে টিকা প্রদানের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
আমরা বলতে চাই, উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে উদাসীনতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। প্রকল্পে জড়িত দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তদারকি আরও জোরদার করতে হবে। বঞ্চিত সেবা গ্রহিতাদের দ্রুত টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। আগামীতে এ ধরনের কার্যক্রমকে সফল করতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে মাইকিং, টিভি স্ক্রল, এবং পত্রিকার মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে অবগত করতে হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এ ধরনের উদ্যোগ দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রশাসনিক দুর্নীতি ও উদাসীনতার কারণে এর সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমরা মনে করি, প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সেবার মানোন্নয়ন করা সম্ভব।
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
দেশব্যাপী চার মাস ঊর্ধ্ব সব সুস্থ ছাগল-ভেড়াকে টিকা দেয়া হয়েছে। পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ১ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরেও চলেছে এ কার্যক্রম। এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল প্রায় ৭০ হাজার টিকা। সরকারিভাবে নির্ধারিত ৫ টাকায় এসব টিকা দেয়ার কথা ছিল।
এই কর্মসূটি নিয়ে সিঙ্গাইরে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টিকাপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে স্থানীয়দের মাঝে যথাযথ প্রচারও চালানো হয়নি। এমনকি ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সরজমিনে কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
পিপিআর ছাগল-ভেড়ার ভাইরাসজনিত একটি মারাত্মক রোগ। দেশে এই রোগটি ১৯৯৩ সালে দেখা দেয়। এই রোগে আক্রান্ত পশু প্রজননক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা হারিয়ে ফেলে। এক হিসাব অনুযায়ী, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৭৫ শতাংশ ছাগলের মৃত্যু হয়। প্রজননক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা হ্রাসের পাশাপাশি চিকিৎসা খরচ বেড়ে যাওয়ার ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। এই পরিস্থিতিতে সময়মতো এবং সঠিকভাবে টিকা প্রদানের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
আমরা বলতে চাই, উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে উদাসীনতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। প্রকল্পে জড়িত দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তদারকি আরও জোরদার করতে হবে। বঞ্চিত সেবা গ্রহিতাদের দ্রুত টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। আগামীতে এ ধরনের কার্যক্রমকে সফল করতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে মাইকিং, টিভি স্ক্রল, এবং পত্রিকার মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে অবগত করতে হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এ ধরনের উদ্যোগ দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রশাসনিক দুর্নীতি ও উদাসীনতার কারণে এর সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমরা মনে করি, প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সেবার মানোন্নয়ন করা সম্ভব।