alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

: মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

দেশব্যাপী চার মাস ঊর্ধ্ব সব সুস্থ ছাগল-ভেড়াকে টিকা দেয়া হয়েছে। পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ১ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরেও চলেছে এ কার্যক্রম। এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল প্রায় ৭০ হাজার টিকা। সরকারিভাবে নির্ধারিত ৫ টাকায় এসব টিকা দেয়ার কথা ছিল।

এই কর্মসূটি নিয়ে সিঙ্গাইরে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টিকাপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে স্থানীয়দের মাঝে যথাযথ প্রচারও চালানো হয়নি। এমনকি ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সরজমিনে কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

পিপিআর ছাগল-ভেড়ার ভাইরাসজনিত একটি মারাত্মক রোগ। দেশে এই রোগটি ১৯৯৩ সালে দেখা দেয়। এই রোগে আক্রান্ত পশু প্রজননক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা হারিয়ে ফেলে। এক হিসাব অনুযায়ী, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৭৫ শতাংশ ছাগলের মৃত্যু হয়। প্রজননক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা হ্রাসের পাশাপাশি চিকিৎসা খরচ বেড়ে যাওয়ার ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। এই পরিস্থিতিতে সময়মতো এবং সঠিকভাবে টিকা প্রদানের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

আমরা বলতে চাই, উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে উদাসীনতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। প্রকল্পে জড়িত দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তদারকি আরও জোরদার করতে হবে। বঞ্চিত সেবা গ্রহিতাদের দ্রুত টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। আগামীতে এ ধরনের কার্যক্রমকে সফল করতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে মাইকিং, টিভি স্ক্রল, এবং পত্রিকার মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে অবগত করতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এ ধরনের উদ্যোগ দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রশাসনিক দুর্নীতি ও উদাসীনতার কারণে এর সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমরা মনে করি, প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সেবার মানোন্নয়ন করা সম্ভব।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

দেশব্যাপী চার মাস ঊর্ধ্ব সব সুস্থ ছাগল-ভেড়াকে টিকা দেয়া হয়েছে। পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ১ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরেও চলেছে এ কার্যক্রম। এতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল প্রায় ৭০ হাজার টিকা। সরকারিভাবে নির্ধারিত ৫ টাকায় এসব টিকা দেয়ার কথা ছিল।

এই কর্মসূটি নিয়ে সিঙ্গাইরে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টিকাপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে স্থানীয়দের মাঝে যথাযথ প্রচারও চালানো হয়নি। এমনকি ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সরজমিনে কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

পিপিআর ছাগল-ভেড়ার ভাইরাসজনিত একটি মারাত্মক রোগ। দেশে এই রোগটি ১৯৯৩ সালে দেখা দেয়। এই রোগে আক্রান্ত পশু প্রজননক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা হারিয়ে ফেলে। এক হিসাব অনুযায়ী, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৭৫ শতাংশ ছাগলের মৃত্যু হয়। প্রজননক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা হ্রাসের পাশাপাশি চিকিৎসা খরচ বেড়ে যাওয়ার ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। এই পরিস্থিতিতে সময়মতো এবং সঠিকভাবে টিকা প্রদানের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

আমরা বলতে চাই, উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে উদাসীনতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। প্রকল্পে জড়িত দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তদারকি আরও জোরদার করতে হবে। বঞ্চিত সেবা গ্রহিতাদের দ্রুত টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। আগামীতে এ ধরনের কার্যক্রমকে সফল করতে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে মাইকিং, টিভি স্ক্রল, এবং পত্রিকার মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে অবগত করতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এ ধরনের উদ্যোগ দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রশাসনিক দুর্নীতি ও উদাসীনতার কারণে এর সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমরা মনে করি, প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সেবার মানোন্নয়ন করা সম্ভব।

back to top