পোশাক শিল্প দীর্ঘদিন ধরে দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি শুধু কর্মসংস্থান নয়, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক উন্নয়নকেও প্রভাবিত করতে পারে।
প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, দেশে পোশাক শিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে। শিল্প খাতে মজুরি বৃদ্ধির কারণে অনেক নারী শ্রমিক অন্যান্য পেশায় যোগ দিচ্ছেন। পাশাপাশি, কাজের চাপ ও কাজের পরিবেশের কারণে অনেকেই এ খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অর্থনীতিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটি শুধু শ্রমবাজার নয়, বরং সামগ্রিক সামাজিক কাঠামোর জন্যও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
নারী শ্রমিকদের সংখ্যা হ্রাসের পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, কাজের অনুন্নত পরিবেশ। অনেক পোশাক কারখানায় এখনো কাজের পরিবেশ আন্তর্জাতিক মানদ- পূরণ করতে পারেনি। আবার অনেক কারখানা মালিক ত্রিশোর্ধ্ব নারী শ্রমিকদের কাজে রাখতে চান না।
এখন কর্মসংস্থানের বহুমুখী বিকল্প তৈরি হয়েছে। অন্যান্য খাতে মজুরি বেড়েছে, সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। এতে করে পোশাক খাতের প্রতি নারীদের আগ্রহ কমছে। অন্যান্য খাতে সুযোগ-সুবিধা বাড়া একটি ভালো খবর। প্রশ্ন হচ্ছে, অন্যান্য খাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোশাক খাতে কেন সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে না।
পোশাক খাতে কাজ করা নারীদের এখনো অনেক সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। অনেক নারী শ্রমিক পারিবারিক ও সামাজিক কারণে কর্মক্ষেত্র থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
পোশাক খাতে নারীর অংশগ্রহণ কমার ফলে কোন ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে সেটা বুঝতে হবে। সংকট মোকাবিলায় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এজন্য প্রথমেই কারখানার কাজের পরিবেশ উন্নত করা দরকার। কারখানাগুলোতে নারী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগও বাড়াতে হবে। প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে পোশাক শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।
পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের সক্রিয় এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। সরকার, উদ্যোক্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব হতে পারে।
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
পোশাক শিল্প দীর্ঘদিন ধরে দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি শুধু কর্মসংস্থান নয়, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক উন্নয়নকেও প্রভাবিত করতে পারে।
প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, দেশে পোশাক শিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে। শিল্প খাতে মজুরি বৃদ্ধির কারণে অনেক নারী শ্রমিক অন্যান্য পেশায় যোগ দিচ্ছেন। পাশাপাশি, কাজের চাপ ও কাজের পরিবেশের কারণে অনেকেই এ খাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অর্থনীতিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটি শুধু শ্রমবাজার নয়, বরং সামগ্রিক সামাজিক কাঠামোর জন্যও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
নারী শ্রমিকদের সংখ্যা হ্রাসের পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, কাজের অনুন্নত পরিবেশ। অনেক পোশাক কারখানায় এখনো কাজের পরিবেশ আন্তর্জাতিক মানদ- পূরণ করতে পারেনি। আবার অনেক কারখানা মালিক ত্রিশোর্ধ্ব নারী শ্রমিকদের কাজে রাখতে চান না।
এখন কর্মসংস্থানের বহুমুখী বিকল্প তৈরি হয়েছে। অন্যান্য খাতে মজুরি বেড়েছে, সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। এতে করে পোশাক খাতের প্রতি নারীদের আগ্রহ কমছে। অন্যান্য খাতে সুযোগ-সুবিধা বাড়া একটি ভালো খবর। প্রশ্ন হচ্ছে, অন্যান্য খাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোশাক খাতে কেন সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে না।
পোশাক খাতে কাজ করা নারীদের এখনো অনেক সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। অনেক নারী শ্রমিক পারিবারিক ও সামাজিক কারণে কর্মক্ষেত্র থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
পোশাক খাতে নারীর অংশগ্রহণ কমার ফলে কোন ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে সেটা বুঝতে হবে। সংকট মোকাবিলায় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এজন্য প্রথমেই কারখানার কাজের পরিবেশ উন্নত করা দরকার। কারখানাগুলোতে নারী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগও বাড়াতে হবে। প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে পোশাক শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।
পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের সক্রিয় এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। সরকার, উদ্যোক্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব হতে পারে।