কুমিল্লার বাকশিমূলে এক অবৈধ রেলক্রসিংয়ে সাতজনের মর্মান্তিক মৃত্যু আমাদের রেলপথ নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো তুলে ধরেছে। এমন ঘটনা শুধু অসাবধানতা বা কাকতালীয় দুর্ঘটনা নয়; এটি ব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার করুণ চিত্র।
বাংলাদেশ রেলওয়ের রেলক্রসিংগুলোর মধ্যে অনেক অবৈধ ক্রসিং রয়েছে, যা সঠিক নজরদারির আওতার বাইরে। এই ক্রসিংগুলোতে গেটম্যান বা সংকেতবিহীন অবস্থায় জনসাধারণকে চলাচল করতে হয়। দুর্ঘটনাস্থলের কালিকাপুর রেলক্রসিংটি অবৈধ ছিল, যেখানে গেটম্যানের অনুপস্থিতি ও চালকের অসাবধানতা এমন মর্মান্তিক পরিণতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা যায়, কুমিল্লার লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৭১টি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ৩৮টি অবৈধ। এসব ক্রসিংয়ে গেটম্যান নেই, সুরক্ষা ব্যবস্থা অপ্রতুল এবং ট্রেন আসার সংকেতও কার্যকর নয়। রেলপথের সুরক্ষা ব্যবস্থার এমন দুর্বলতায় সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ট্রেনের হুইসেল শুনেও চালক ইজিবাইক নিয়ে রেললাইনে উঠে যান। অসচেতনতা ও অবৈধ রেলক্রসিং মিলে এই দুর্ঘটনার কারণ। এতে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ বৃদ্ধ এবং শিশুরাও প্রাণ হারায়। একটি পরিবারে নতুন অতিথি আসার প্রত্যাশা মুহূর্তেই শোকের ছায়ায় ঢাকা পড়ে। এমন মানবিক ক্ষতির মূল্য কোনো অর্থমূল্যে পূরণ করা সম্ভব নয়।
অনাকাক্সিক্ষত রেলদুর্ঘটনা রোধে অবৈধ রেলক্রসিংগুলো অবিলম্বে চিহ্নিত করে উচ্ছেদ করতে হবে। যেসব রেলক্রসিং বৈধ নয়, সেখানে চলাচল বন্ধ করা জরুরি। রেলপথে চালকদের জন্য বাধ্যতামূলক সচেতনতা কার্যক্রম চালু করতে হবে। বৈধ রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যান, সিসিটিভি, এবং কার্যকর সংকেত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে অবৈধ রেলক্রসিং ব্যবস্থাপনায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শুধু তদন্ত কমিটি গঠনের মধ্যেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না; কার্যকর সমাধান বাস্তবায়নে প্রমাণ দিতে হবে।
কুমিল্লার দুর্ঘটনা আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যদি এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তবে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটতে থাকবে। নিরাপদ রেলপথ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে মূল্য দিতে হবে হাজারো নিরীহ প্রাণের মাধ্যমে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব। অতএব, রেলপথ ব্যবস্থাপনায় জরুরি সংস্কারই একমাত্র পথ।
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
কুমিল্লার বাকশিমূলে এক অবৈধ রেলক্রসিংয়ে সাতজনের মর্মান্তিক মৃত্যু আমাদের রেলপথ নিরাপত্তার দুর্বলতাগুলো তুলে ধরেছে। এমন ঘটনা শুধু অসাবধানতা বা কাকতালীয় দুর্ঘটনা নয়; এটি ব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার করুণ চিত্র।
বাংলাদেশ রেলওয়ের রেলক্রসিংগুলোর মধ্যে অনেক অবৈধ ক্রসিং রয়েছে, যা সঠিক নজরদারির আওতার বাইরে। এই ক্রসিংগুলোতে গেটম্যান বা সংকেতবিহীন অবস্থায় জনসাধারণকে চলাচল করতে হয়। দুর্ঘটনাস্থলের কালিকাপুর রেলক্রসিংটি অবৈধ ছিল, যেখানে গেটম্যানের অনুপস্থিতি ও চালকের অসাবধানতা এমন মর্মান্তিক পরিণতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা যায়, কুমিল্লার লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৭১টি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ৩৮টি অবৈধ। এসব ক্রসিংয়ে গেটম্যান নেই, সুরক্ষা ব্যবস্থা অপ্রতুল এবং ট্রেন আসার সংকেতও কার্যকর নয়। রেলপথের সুরক্ষা ব্যবস্থার এমন দুর্বলতায় সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ট্রেনের হুইসেল শুনেও চালক ইজিবাইক নিয়ে রেললাইনে উঠে যান। অসচেতনতা ও অবৈধ রেলক্রসিং মিলে এই দুর্ঘটনার কারণ। এতে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ বৃদ্ধ এবং শিশুরাও প্রাণ হারায়। একটি পরিবারে নতুন অতিথি আসার প্রত্যাশা মুহূর্তেই শোকের ছায়ায় ঢাকা পড়ে। এমন মানবিক ক্ষতির মূল্য কোনো অর্থমূল্যে পূরণ করা সম্ভব নয়।
অনাকাক্সিক্ষত রেলদুর্ঘটনা রোধে অবৈধ রেলক্রসিংগুলো অবিলম্বে চিহ্নিত করে উচ্ছেদ করতে হবে। যেসব রেলক্রসিং বৈধ নয়, সেখানে চলাচল বন্ধ করা জরুরি। রেলপথে চালকদের জন্য বাধ্যতামূলক সচেতনতা কার্যক্রম চালু করতে হবে। বৈধ রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যান, সিসিটিভি, এবং কার্যকর সংকেত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে অবৈধ রেলক্রসিং ব্যবস্থাপনায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শুধু তদন্ত কমিটি গঠনের মধ্যেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না; কার্যকর সমাধান বাস্তবায়নে প্রমাণ দিতে হবে।
কুমিল্লার দুর্ঘটনা আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যদি এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তবে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটতে থাকবে। নিরাপদ রেলপথ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে মূল্য দিতে হবে হাজারো নিরীহ প্রাণের মাধ্যমে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব। অতএব, রেলপথ ব্যবস্থাপনায় জরুরি সংস্কারই একমাত্র পথ।