দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি কেনার তৎপরতা সারা বছরই দেখা গেলেও সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত। সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা লিথোট্রিপসি যন্ত্র অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকা সেই উদাসীনতার দৃষ্টান্ত।
২০২২ সালে আমদানি করা এ যন্ত্রটি প্রথম দিন থেকেই নষ্ট অবস্থায় ছিল। দরপত্র অনুযায়ী মান না মেনেই সরবরাহ করা যন্ত্রটির গায়ে উৎপাদনকারী কোম্পানি বা দেশের নাম ছিল না। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া শুধু দুর্নীতি নয়, বরং জনস্বাস্থ্যের প্রতি চরম অবহেলার ইঙ্গিত দেয়।
লিথোট্রিপসি যন্ত্রটি কার্যকর হলে বিনা অস্ত্রোপচারে কিডনির পাথর অপসারণ সম্ভব হতো, যা রোগীর সময় ও অর্থ সাশ্রয় করত। অথচ এ যন্ত্র চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের উদ্যোগও নেয়া হয়নি। জনগণের টাকায় কেনা কোটি টাকার যন্ত্র এভাবে অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকার ঘটনা শুধু আর্থিক অপচয় নয়; এটি চিকিৎসা খাতে সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে আস্থার সংকট তৈরি করছে।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। একই সঙ্গে যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা জরুরি। জনসাধারণ যেন সঠিক সেবা পায়, তা নিশ্চিত করাই স্বাস্থ্য খাতের প্রধান দায়িত্ব। আমাদের প্রত্যাশা, জনস্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আর কোনো উদাসীনতা বরদাশত করা হবে না।
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি কেনার তৎপরতা সারা বছরই দেখা গেলেও সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত। সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা লিথোট্রিপসি যন্ত্র অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকা সেই উদাসীনতার দৃষ্টান্ত।
২০২২ সালে আমদানি করা এ যন্ত্রটি প্রথম দিন থেকেই নষ্ট অবস্থায় ছিল। দরপত্র অনুযায়ী মান না মেনেই সরবরাহ করা যন্ত্রটির গায়ে উৎপাদনকারী কোম্পানি বা দেশের নাম ছিল না। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া শুধু দুর্নীতি নয়, বরং জনস্বাস্থ্যের প্রতি চরম অবহেলার ইঙ্গিত দেয়।
লিথোট্রিপসি যন্ত্রটি কার্যকর হলে বিনা অস্ত্রোপচারে কিডনির পাথর অপসারণ সম্ভব হতো, যা রোগীর সময় ও অর্থ সাশ্রয় করত। অথচ এ যন্ত্র চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের উদ্যোগও নেয়া হয়নি। জনগণের টাকায় কেনা কোটি টাকার যন্ত্র এভাবে অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকার ঘটনা শুধু আর্থিক অপচয় নয়; এটি চিকিৎসা খাতে সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে আস্থার সংকট তৈরি করছে।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। একই সঙ্গে যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা জরুরি। জনসাধারণ যেন সঠিক সেবা পায়, তা নিশ্চিত করাই স্বাস্থ্য খাতের প্রধান দায়িত্ব। আমাদের প্রত্যাশা, জনস্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আর কোনো উদাসীনতা বরদাশত করা হবে না।