alt

মতামত » সম্পাদকীয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

: শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস গ্যাস কোম্পানির গ্রাহক সেবা নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুই বছর ধরে গ্যাস পাচ্ছেন না, অথচ নিয়মিত বিল পরিশোধ করছেন। সমস্যার সমাধানে স্থানীয় অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো ফল হয়নি। লিখিত অভিযোগ জমা দেয়ার পরপরই ঘুষ দাবি করা হয়।

তিতাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এ প্রতিষ্ঠানের সেবা কার্যক্রমে সঠিক পরিচালনার অভাব রয়েছে। এর জনবল সীমিত। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব কারণে গ্রাহক পর্যায়ে অসন্তোষ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।

তিতাস গ্যাসের সিস্টেম লস বর্তমানে ৭ শতাংশ। এর মানে প্রতি মাসে ১৫০ থেকে ১৮০ কোটি টাকা লোকসান। বছরে এই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদের জন্য নিয়মিত অভিযান চালানো হলেও জনবল সংকটের কারণে কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন হচ্ছে না।

অবৈধ সংযোগের কারণে কোম্পানির আর্থিক ক্ষতি যেমন বাড়ছে, তেমনি সাধারণ গ্রাহকদের ন্যায্য সেবাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিশাল এলাকায় সেবা প্রদান করা সত্ত্বেও তিতাস গ্যাসের জনবল অত্যন্ত সীমিত। তুলনায়, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি অনেক কম গ্রাহক সেবা দিয়ে থাকে, কিন্তু তাদের জনবল পর্যাপ্ত। তিতাস গ্যাসের সেবার মান বাড়ানোর জন্য বিকেন্দ্রীকরণ অপরিহার্য।

পেট্রোবাংলার একটি পরিকল্পনা ছিল তিতাসকে তিনটি আলাদা কোম্পানিতে ভাগ করার। যদিও এটি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিকে অন্তত তিনটি জোনে বিভক্ত করার দাবি উঠেছে। প্রতিটি জোনকে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দিলে সেবা কার্যক্রমের গতিশীলতা বাড়তে পারে।

তিতাস গ্যাসের সেবাপ্রাপ্তি বর্তমানে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার শিকার। ঘুষ ছাড়া সেবা পাওয়া যায় না এবং সমস্যাগুলো সঠিক সময়ে সমাধান হয় না। এর জন্য প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থাপনা।

তিতাস গ্যাস কোম্পানির গ্রাহক সেবার মান উন্নত করতে হলে দুর্নীতি রোধ, সিস্টেম লস কমানো এবং জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে দায়িত্ব ভাগ করার উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও কমে যাবে এবং এ জাতীয় দুর্বলতা দেশের সামগ্রিক জ্বালানি নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করবে।

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস গ্যাস কোম্পানির গ্রাহক সেবা নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুই বছর ধরে গ্যাস পাচ্ছেন না, অথচ নিয়মিত বিল পরিশোধ করছেন। সমস্যার সমাধানে স্থানীয় অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো ফল হয়নি। লিখিত অভিযোগ জমা দেয়ার পরপরই ঘুষ দাবি করা হয়।

তিতাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এ প্রতিষ্ঠানের সেবা কার্যক্রমে সঠিক পরিচালনার অভাব রয়েছে। এর জনবল সীমিত। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব কারণে গ্রাহক পর্যায়ে অসন্তোষ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।

তিতাস গ্যাসের সিস্টেম লস বর্তমানে ৭ শতাংশ। এর মানে প্রতি মাসে ১৫০ থেকে ১৮০ কোটি টাকা লোকসান। বছরে এই ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদের জন্য নিয়মিত অভিযান চালানো হলেও জনবল সংকটের কারণে কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন হচ্ছে না।

অবৈধ সংযোগের কারণে কোম্পানির আর্থিক ক্ষতি যেমন বাড়ছে, তেমনি সাধারণ গ্রাহকদের ন্যায্য সেবাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিশাল এলাকায় সেবা প্রদান করা সত্ত্বেও তিতাস গ্যাসের জনবল অত্যন্ত সীমিত। তুলনায়, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি অনেক কম গ্রাহক সেবা দিয়ে থাকে, কিন্তু তাদের জনবল পর্যাপ্ত। তিতাস গ্যাসের সেবার মান বাড়ানোর জন্য বিকেন্দ্রীকরণ অপরিহার্য।

পেট্রোবাংলার একটি পরিকল্পনা ছিল তিতাসকে তিনটি আলাদা কোম্পানিতে ভাগ করার। যদিও এটি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিকে অন্তত তিনটি জোনে বিভক্ত করার দাবি উঠেছে। প্রতিটি জোনকে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দিলে সেবা কার্যক্রমের গতিশীলতা বাড়তে পারে।

তিতাস গ্যাসের সেবাপ্রাপ্তি বর্তমানে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার শিকার। ঘুষ ছাড়া সেবা পাওয়া যায় না এবং সমস্যাগুলো সঠিক সময়ে সমাধান হয় না। এর জন্য প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থাপনা।

তিতাস গ্যাস কোম্পানির গ্রাহক সেবার মান উন্নত করতে হলে দুর্নীতি রোধ, সিস্টেম লস কমানো এবং জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে দায়িত্ব ভাগ করার উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও কমে যাবে এবং এ জাতীয় দুর্বলতা দেশের সামগ্রিক জ্বালানি নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করবে।

back to top