চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে কৃষি লিজের শর্ত ভঙ্গ করে রেলওয়ের জমি ভরাট করার ঘটনা দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনায় একটি দৃষ্টান্ত। পূর্ব গোমদ-ী রেলওয়ে স্টেশনের নিকটবর্তী এই এলাকায় ২৫ শতক জমি কৃষি কাজের জন্য লিজ দেওয়া হলেও তা বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য; কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নীরব।
কৃষি লিজের মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং টেকসই জমি ব্যবহার নিশ্চিত করা; কিন্তু এখানে লিজের শর্ত লঙ্ঘন করে জমি ভরাট করে বাণিজ্যিক স্থাপনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল এই অনিয়ম শুরু হওয়ার আগেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। জমি ভরাট বন্ধ করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি।
আমরা মনে করি, জমি রক্ষায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নীরবতা শুধু আইন ভঙ্গকারীদের উৎসাহিত করবে। এ ধরনের উদাসীনতা ভবিষ্যতে আরও অনিয়মের পথ খুলে দেবে। সরকারি সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং নজরদারির অভাব হলে তা দখল এবং অবৈধ কার্যক্রমের আখড়ায় পরিণত হয়।
এ ঘটনাটি শুধু একটি নির্দিষ্ট এলাকার সমস্যা নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ের জমি অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়মিত শোনা যায়। এটি প্রতিরোধে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি এবং স্বচ্ছ নীতিমালা। সরকারি সম্পত্তি ইজারা দেওয়া হলে তা সঠিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। কৃষি লিজের শর্ত ভঙ্গের মতো ঘটনায় আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করা হলে ভবিষ্যতে এমন অনিয়ম কমবে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে জমি ভরাট বন্ধ করে এর প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করা এবং কৃষি লিজের শর্ত ভঙ্গের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। একই সঙ্গে জমি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতে হবে। জমি ভরাটের এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে সেটা রেলওয়ের সম্পদ রক্ষায় একটি ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করবে।
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে কৃষি লিজের শর্ত ভঙ্গ করে রেলওয়ের জমি ভরাট করার ঘটনা দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনায় একটি দৃষ্টান্ত। পূর্ব গোমদ-ী রেলওয়ে স্টেশনের নিকটবর্তী এই এলাকায় ২৫ শতক জমি কৃষি কাজের জন্য লিজ দেওয়া হলেও তা বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য; কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নীরব।
কৃষি লিজের মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং টেকসই জমি ব্যবহার নিশ্চিত করা; কিন্তু এখানে লিজের শর্ত লঙ্ঘন করে জমি ভরাট করে বাণিজ্যিক স্থাপনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল এই অনিয়ম শুরু হওয়ার আগেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। জমি ভরাট বন্ধ করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি।
আমরা মনে করি, জমি রক্ষায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নীরবতা শুধু আইন ভঙ্গকারীদের উৎসাহিত করবে। এ ধরনের উদাসীনতা ভবিষ্যতে আরও অনিয়মের পথ খুলে দেবে। সরকারি সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং নজরদারির অভাব হলে তা দখল এবং অবৈধ কার্যক্রমের আখড়ায় পরিণত হয়।
এ ঘটনাটি শুধু একটি নির্দিষ্ট এলাকার সমস্যা নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ের জমি অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়মিত শোনা যায়। এটি প্রতিরোধে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি এবং স্বচ্ছ নীতিমালা। সরকারি সম্পত্তি ইজারা দেওয়া হলে তা সঠিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। কৃষি লিজের শর্ত ভঙ্গের মতো ঘটনায় আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করা হলে ভবিষ্যতে এমন অনিয়ম কমবে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে জমি ভরাট বন্ধ করে এর প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করা এবং কৃষি লিজের শর্ত ভঙ্গের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। একই সঙ্গে জমি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতে হবে। জমি ভরাটের এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে সেটা রেলওয়ের সম্পদ রক্ষায় একটি ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করবে।