নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে যে অস্থিরতা চলছে, তা এখন আর নতুন কিছু নয়। তবে কিছু পণ্যকে কেন্দ্র করে যে সংকট তৈরি হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে সয়াবিন তেল, যার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। খুচরা বিক্রেতারা মনে করছেন, এ পরিস্থিতির পেছনে বড় ধরনের ‘কোম্পানির কারসাজি’ রয়েছে। এটি একদিকে যেমন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের পক্ষে ক্ষতিকর, তেমনি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বাজারে আলুর দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে, যদিও এর সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এরকম বাজার অস্থিরতা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সাধারণ ক্রেতাদের জন্য খুবই চাপের। এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ২০ টাকা, এক বছরে তার পরিমাণ বেড়েছে ৩৫ টাকা। যে আলু এক মাস আগেও ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন আলু ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
‘কোম্পানির কারসাজি’ শুধু বাজারে অস্থিরতার কারণ নয়, এটি সরকারের জন্যও একটি বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন। কেন বাজারের এই ঘাটতি সমাধান করা হচ্ছে না? কেন কিছু কোম্পানি বাজারের ওপর এত বেশি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর শুধু সরকারের তদারকি ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্ভব।
পর্যাপ্ত নজরদারি এবং তদারকির মাধ্যমে এই বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না হলে মুষ্টিমেয় কিছু কোম্পানির মধ্যে মুনাফা অর্জনের তাগিদে এই ধরনের কারসাজি চলতেই থাকবে। ফলস্বরূপ, সাধারণ জনগণ চড়া দামে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাধ্য হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়িয়ে তুলবে।
বাজারের এই অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজারের প্রতিযোগিতা সুরক্ষিত রাখতে হবে এবং সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি, সাধারণ ক্রেতাদের কাছে প্রয়োজনীয় পণ্য সুলভ মূল্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে যে অস্থিরতা চলছে, তা এখন আর নতুন কিছু নয়। তবে কিছু পণ্যকে কেন্দ্র করে যে সংকট তৈরি হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে সয়াবিন তেল, যার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। খুচরা বিক্রেতারা মনে করছেন, এ পরিস্থিতির পেছনে বড় ধরনের ‘কোম্পানির কারসাজি’ রয়েছে। এটি একদিকে যেমন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের পক্ষে ক্ষতিকর, তেমনি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বাজারে আলুর দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে, যদিও এর সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এরকম বাজার অস্থিরতা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সাধারণ ক্রেতাদের জন্য খুবই চাপের। এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ২০ টাকা, এক বছরে তার পরিমাণ বেড়েছে ৩৫ টাকা। যে আলু এক মাস আগেও ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন আলু ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
‘কোম্পানির কারসাজি’ শুধু বাজারে অস্থিরতার কারণ নয়, এটি সরকারের জন্যও একটি বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন। কেন বাজারের এই ঘাটতি সমাধান করা হচ্ছে না? কেন কিছু কোম্পানি বাজারের ওপর এত বেশি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর শুধু সরকারের তদারকি ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্ভব।
পর্যাপ্ত নজরদারি এবং তদারকির মাধ্যমে এই বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না হলে মুষ্টিমেয় কিছু কোম্পানির মধ্যে মুনাফা অর্জনের তাগিদে এই ধরনের কারসাজি চলতেই থাকবে। ফলস্বরূপ, সাধারণ জনগণ চড়া দামে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাধ্য হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়িয়ে তুলবে।
বাজারের এই অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজারের প্রতিযোগিতা সুরক্ষিত রাখতে হবে এবং সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি, সাধারণ ক্রেতাদের কাছে প্রয়োজনীয় পণ্য সুলভ মূল্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।