alt

opinion » editorial

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

: সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেশে ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ বছর একক মাসে সর্বোচ্চ। গত মাসের তুলনায় মৃত্যু আরও বেড়েছে, যা পরিস্থিতির জটিলতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এডিস মশাবাহিত এই রোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজারো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।

রাজধানী ঢাকা যেন এই মহামারীর কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে দেখা যায়, নভেম্বরে ২৯,৬৫২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে,

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সঠিক সময়ে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে না পারা, শহরজুড়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, এবং জনসচেতনতার অভাব এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রথমেই প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। সিটি করপোরেশনের উচিত অবিলম্বে মশা নিধনের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া। এই উদ্যোগ শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না; এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হতে হবে।

জনসচেতনতা বাড়ানো ডেঙ্গু প্রতিরোধের অন্যতম হাতিয়ার। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় কমিউনিটির সাহায্যে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। বিশেষত, বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা, জমে থাকা পানি অপসারণ, এবং মশারি ব্যবহার নিশ্চিত করার মতো ব্যক্তিগত উদ্যোগগুলোতে জোর দেয়া প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। ডেঙ্গুরোগীদের জন্য বিশেষায়িত ইউনিট এবং পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো অত্যাবশ্যক।

ডেঙ্গুর বিস্তার শুধু স্বাস্থ্য সংকট নয়, এটি আমাদের নগর ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতারও প্রতিফলন। জলবায়ু পরিবর্তন, অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ এবং জনসংখ্যার চাপে পরিবেশ ক্রমশ নাজুক হয়ে উঠছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে টেকসই নগর ব্যবস্থাপনা, পরিবেশবান্ধব নীতি, এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় অবহেলা কিংবা অযথা সময়ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রÑ সব স্তরের সম্মিলিত উদ্যোগই পারে এই মরণব্যাধি থেকে মুক্তির পথ দেখাতে। এখনই সময় দায়িত্বশীল হওয়ার, যাতে আগামী দিনে এমন রেকর্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেশে ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ বছর একক মাসে সর্বোচ্চ। গত মাসের তুলনায় মৃত্যু আরও বেড়েছে, যা পরিস্থিতির জটিলতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এডিস মশাবাহিত এই রোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজারো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।

রাজধানী ঢাকা যেন এই মহামারীর কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে দেখা যায়, নভেম্বরে ২৯,৬৫২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে,

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সঠিক সময়ে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে না পারা, শহরজুড়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, এবং জনসচেতনতার অভাব এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রথমেই প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। সিটি করপোরেশনের উচিত অবিলম্বে মশা নিধনের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া। এই উদ্যোগ শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না; এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হতে হবে।

জনসচেতনতা বাড়ানো ডেঙ্গু প্রতিরোধের অন্যতম হাতিয়ার। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় কমিউনিটির সাহায্যে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। বিশেষত, বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা, জমে থাকা পানি অপসারণ, এবং মশারি ব্যবহার নিশ্চিত করার মতো ব্যক্তিগত উদ্যোগগুলোতে জোর দেয়া প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। ডেঙ্গুরোগীদের জন্য বিশেষায়িত ইউনিট এবং পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো অত্যাবশ্যক।

ডেঙ্গুর বিস্তার শুধু স্বাস্থ্য সংকট নয়, এটি আমাদের নগর ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতারও প্রতিফলন। জলবায়ু পরিবর্তন, অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ এবং জনসংখ্যার চাপে পরিবেশ ক্রমশ নাজুক হয়ে উঠছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে টেকসই নগর ব্যবস্থাপনা, পরিবেশবান্ধব নীতি, এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় অবহেলা কিংবা অযথা সময়ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রÑ সব স্তরের সম্মিলিত উদ্যোগই পারে এই মরণব্যাধি থেকে মুক্তির পথ দেখাতে। এখনই সময় দায়িত্বশীল হওয়ার, যাতে আগামী দিনে এমন রেকর্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

back to top