alt

opinion » editorial

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

: সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশে এইচআইভি সংক্রমণের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৪৩৮ জন নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা ১৬২ জন বেড়েছে। এ বছর এইডসে মারা গেছেন ১৯৫ জন।

গতকাল ছিল বিশ্ব এইডস দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ছিলÑ ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে’। এইচআইভি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অধিকার, সচেতনতা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর আক্রান্তদের ৫৫ শতাংশই বিবাহিত, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর ধারাবাহিকতাকে প্রতিফলিত করে। এটি বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরে। অন্যদিকে, ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি মানুষ এইচআইভি সংক্রমণের সবচেয়ে বড় অংশ, যা প্রমাণ করে যে কর্মক্ষম ও প্রজননক্ষম বয়সি জনগোষ্ঠী সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। গত বছর যেখানে ২০-২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ১৬ শতাংশ, সেখানে এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ২১ শতাংশ।

রোহিঙ্গা এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীও এইচআইভির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ ১০ শতাংশে অবস্থান করছে, যা সামাজিক এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এক বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এইচআইভি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা এখনো পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

একসময় এইচআইভি প্রতিরোধে প্রচারণা কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো ছিল। গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম ছিল গতিশীল। কিন্তু বর্তমানে বৈদেশিক সহায়তা কমে যাওয়ায় এসব উদ্যোগ স্থবির হয়ে পড়েছে।

এইডস প্রতিরোধে তরুণ ও বিবাহিত জনগোষ্ঠীর জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়াতে হবে। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় কমিউনিটির মাধ্যমে প্রচারণা বাড়ানো জরুরি।

উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত এইচআইভি পরীক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার মান উন্নত করে তা সহজলভ্য করতে হবে।

রোহিঙ্গা ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ রোধে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে; এর পাশাপাশি সমকামী, নারী যৌনকর্মী এবং শিরায় মাদক সেবনকারীদের জন্য পৃথক উদ্যোগ নেয়া দরকার।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশে এইচআইভি সংক্রমণের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৪৩৮ জন নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা ১৬২ জন বেড়েছে। এ বছর এইডসে মারা গেছেন ১৯৫ জন।

গতকাল ছিল বিশ্ব এইডস দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ছিলÑ ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে’। এইচআইভি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অধিকার, সচেতনতা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর আক্রান্তদের ৫৫ শতাংশই বিবাহিত, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর ধারাবাহিকতাকে প্রতিফলিত করে। এটি বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরে। অন্যদিকে, ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি মানুষ এইচআইভি সংক্রমণের সবচেয়ে বড় অংশ, যা প্রমাণ করে যে কর্মক্ষম ও প্রজননক্ষম বয়সি জনগোষ্ঠী সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। গত বছর যেখানে ২০-২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ১৬ শতাংশ, সেখানে এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ২১ শতাংশ।

রোহিঙ্গা এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীও এইচআইভির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ ১০ শতাংশে অবস্থান করছে, যা সামাজিক এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এক বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য এইচআইভি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা এখনো পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

একসময় এইচআইভি প্রতিরোধে প্রচারণা কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো ছিল। গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম ছিল গতিশীল। কিন্তু বর্তমানে বৈদেশিক সহায়তা কমে যাওয়ায় এসব উদ্যোগ স্থবির হয়ে পড়েছে।

এইডস প্রতিরোধে তরুণ ও বিবাহিত জনগোষ্ঠীর জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়াতে হবে। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় কমিউনিটির মাধ্যমে প্রচারণা বাড়ানো জরুরি।

উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত এইচআইভি পরীক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার মান উন্নত করে তা সহজলভ্য করতে হবে।

রোহিঙ্গা ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ রোধে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে; এর পাশাপাশি সমকামী, নারী যৌনকর্মী এবং শিরায় মাদক সেবনকারীদের জন্য পৃথক উদ্যোগ নেয়া দরকার।

back to top