alt

মতামত » সম্পাদকীয়

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

: সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান সংকট দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার করুণ চিত্র তুলে ধরে। ৭০টি চিকিৎসকের পদ শূন্য এবং ৩৮৬টি চিকিৎসা যন্ত্র নষ্ট থাকার ফলে সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রোগীদের সেবা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। অন্যদিকে, শয্যা সংকট এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না।

৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন দেড় হাজারেরও বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। অথচ হাসপাতালটি প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামোর সংকটে জর্জরিত। নিউরোসার্জারি, ইউরোলজি এবং বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির মতো বিভাগগুলোতে মাসের পর মাস রোগীরা সেবা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। অনেকে ফ্লোরে বা বারান্দায় অবস্থান করে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

অপরদিকে, চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অচলাবস্থা সমস্যাটিকে আরও প্রকট করে তুলেছে। সিটি স্ক্যান, এক্সরে, ডায়ালাইসিস মেশিন, ইসিজি মেশিনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এসব যন্ত্র মেরামত না হওয়ায় রোগীদের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ক্লিনিকে নিরীক্ষা করাতে হচ্ছে, যা সময় ও অর্থের অপচয় ঘটাচ্ছে।

খুলনা মেডিকেলে ২৮৯ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ২১৯ জন। এ ছাড়া নার্স, থেরাপিস্ট এবং অন্যান্য কর্মচারীর অনেক পদ শূন্য। ফলে রোগীদের সেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মতো অন্যান্য স্থানের পরিস্থিতিও ভিন্ন নয়। সেখানে মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদের সংকটে চিকিৎসা সেবা কার্যত অচল।

অচল যন্ত্র মেরামত এবং শূন্য পদ পূরণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে আবেদন করেছে। যদিও সমস্যাগুলোর সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হচ্ছে, তবু বাস্তবায়নের অগ্রগতি ধীরগতি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। খুলনা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালের জনবল সংকট দূর করতে পদগুলো পূরণ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মেরামতে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া জরুরি।

এছাড়া, সরকারের উচ্চপর্যায়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে হাসপাতালের কর্মপরিধি ও সেবার মানোন্নয়নে কাজ করা দরকার। দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য দেশের স্বাস্থ্য খাতে প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো এবং ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন।

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান সংকট দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার করুণ চিত্র তুলে ধরে। ৭০টি চিকিৎসকের পদ শূন্য এবং ৩৮৬টি চিকিৎসা যন্ত্র নষ্ট থাকার ফলে সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রোগীদের সেবা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। অন্যদিকে, শয্যা সংকট এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না।

৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন দেড় হাজারেরও বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। অথচ হাসপাতালটি প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামোর সংকটে জর্জরিত। নিউরোসার্জারি, ইউরোলজি এবং বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির মতো বিভাগগুলোতে মাসের পর মাস রোগীরা সেবা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। অনেকে ফ্লোরে বা বারান্দায় অবস্থান করে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

অপরদিকে, চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অচলাবস্থা সমস্যাটিকে আরও প্রকট করে তুলেছে। সিটি স্ক্যান, এক্সরে, ডায়ালাইসিস মেশিন, ইসিজি মেশিনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এসব যন্ত্র মেরামত না হওয়ায় রোগীদের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ক্লিনিকে নিরীক্ষা করাতে হচ্ছে, যা সময় ও অর্থের অপচয় ঘটাচ্ছে।

খুলনা মেডিকেলে ২৮৯ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ২১৯ জন। এ ছাড়া নার্স, থেরাপিস্ট এবং অন্যান্য কর্মচারীর অনেক পদ শূন্য। ফলে রোগীদের সেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মতো অন্যান্য স্থানের পরিস্থিতিও ভিন্ন নয়। সেখানে মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদের সংকটে চিকিৎসা সেবা কার্যত অচল।

অচল যন্ত্র মেরামত এবং শূন্য পদ পূরণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে আবেদন করেছে। যদিও সমস্যাগুলোর সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হচ্ছে, তবু বাস্তবায়নের অগ্রগতি ধীরগতি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। খুলনা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালের জনবল সংকট দূর করতে পদগুলো পূরণ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মেরামতে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া জরুরি।

এছাড়া, সরকারের উচ্চপর্যায়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে হাসপাতালের কর্মপরিধি ও সেবার মানোন্নয়নে কাজ করা দরকার। দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য দেশের স্বাস্থ্য খাতে প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো এবং ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন।

back to top