খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান সংকট দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার করুণ চিত্র তুলে ধরে। ৭০টি চিকিৎসকের পদ শূন্য এবং ৩৮৬টি চিকিৎসা যন্ত্র নষ্ট থাকার ফলে সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রোগীদের সেবা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। অন্যদিকে, শয্যা সংকট এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না।
৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন দেড় হাজারেরও বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। অথচ হাসপাতালটি প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামোর সংকটে জর্জরিত। নিউরোসার্জারি, ইউরোলজি এবং বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির মতো বিভাগগুলোতে মাসের পর মাস রোগীরা সেবা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। অনেকে ফ্লোরে বা বারান্দায় অবস্থান করে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
অপরদিকে, চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অচলাবস্থা সমস্যাটিকে আরও প্রকট করে তুলেছে। সিটি স্ক্যান, এক্সরে, ডায়ালাইসিস মেশিন, ইসিজি মেশিনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এসব যন্ত্র মেরামত না হওয়ায় রোগীদের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ক্লিনিকে নিরীক্ষা করাতে হচ্ছে, যা সময় ও অর্থের অপচয় ঘটাচ্ছে।
খুলনা মেডিকেলে ২৮৯ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ২১৯ জন। এ ছাড়া নার্স, থেরাপিস্ট এবং অন্যান্য কর্মচারীর অনেক পদ শূন্য। ফলে রোগীদের সেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মতো অন্যান্য স্থানের পরিস্থিতিও ভিন্ন নয়। সেখানে মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদের সংকটে চিকিৎসা সেবা কার্যত অচল।
অচল যন্ত্র মেরামত এবং শূন্য পদ পূরণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে আবেদন করেছে। যদিও সমস্যাগুলোর সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হচ্ছে, তবু বাস্তবায়নের অগ্রগতি ধীরগতি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। খুলনা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালের জনবল সংকট দূর করতে পদগুলো পূরণ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মেরামতে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া জরুরি।
এছাড়া, সরকারের উচ্চপর্যায়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে হাসপাতালের কর্মপরিধি ও সেবার মানোন্নয়নে কাজ করা দরকার। দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য দেশের স্বাস্থ্য খাতে প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো এবং ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন।
সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান সংকট দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার করুণ চিত্র তুলে ধরে। ৭০টি চিকিৎসকের পদ শূন্য এবং ৩৮৬টি চিকিৎসা যন্ত্র নষ্ট থাকার ফলে সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রোগীদের সেবা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। অন্যদিকে, শয্যা সংকট এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না।
৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন দেড় হাজারেরও বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। অথচ হাসপাতালটি প্রয়োজনীয় জনবল ও অবকাঠামোর সংকটে জর্জরিত। নিউরোসার্জারি, ইউরোলজি এবং বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির মতো বিভাগগুলোতে মাসের পর মাস রোগীরা সেবা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। অনেকে ফ্লোরে বা বারান্দায় অবস্থান করে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
অপরদিকে, চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অচলাবস্থা সমস্যাটিকে আরও প্রকট করে তুলেছে। সিটি স্ক্যান, এক্সরে, ডায়ালাইসিস মেশিন, ইসিজি মেশিনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এসব যন্ত্র মেরামত না হওয়ায় রোগীদের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ক্লিনিকে নিরীক্ষা করাতে হচ্ছে, যা সময় ও অর্থের অপচয় ঘটাচ্ছে।
খুলনা মেডিকেলে ২৮৯ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ২১৯ জন। এ ছাড়া নার্স, থেরাপিস্ট এবং অন্যান্য কর্মচারীর অনেক পদ শূন্য। ফলে রোগীদের সেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মতো অন্যান্য স্থানের পরিস্থিতিও ভিন্ন নয়। সেখানে মেডিকেল অফিসারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদের সংকটে চিকিৎসা সেবা কার্যত অচল।
অচল যন্ত্র মেরামত এবং শূন্য পদ পূরণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে আবেদন করেছে। যদিও সমস্যাগুলোর সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হচ্ছে, তবু বাস্তবায়নের অগ্রগতি ধীরগতি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। খুলনা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালের জনবল সংকট দূর করতে পদগুলো পূরণ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মেরামতে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া জরুরি।
এছাড়া, সরকারের উচ্চপর্যায়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে হাসপাতালের কর্মপরিধি ও সেবার মানোন্নয়নে কাজ করা দরকার। দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য দেশের স্বাস্থ্য খাতে প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো এবং ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন।