সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষা ও এর যথাযথ দেখাশোনার দায়িত্ব বনবিভাগের ওপর বর্তায়, কিন্তু বাস্তবে যদি তা না হয়, তাহলে তা ইঙ্গিত দেয় যে কোথাও কোনও সমস্যা আছে। বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে গাছ কাটা হচ্ছে, আর সেই কাজও হচ্ছে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই। একটি সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে প্রায় ৫ একর বনভূমির গাছ কেটে পাচার করছে, অথচ বন বিভাগ, প্রশাসন কিংবা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
গাছ কাটা এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে বন বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এসব নিয়মকানুন উপেক্ষিত হচ্ছে, আর প্রশাসনও এটি বন্ধ করতে আগ্রহী নয়।
আমরা বলতে চাই, গাছ কাটা ও বন ধ্বংসের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বন বিভাগ এবং প্রশাসনের নীরবতার কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব। অভিযোগ রয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের একটি অংশ গাছ কাটা চক্রকে অন্যায় মদত দিচ্ছে। এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার দরকার। তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করতে হবেÑ কোনো কর্মকর্তা বা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত কিনা। যদি এমন কিছু পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত। একইসঙ্গে বনভূমি রক্ষার জন্য নিয়মিত নজরদারি এবং প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়াতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়।
বন আমাদের পরিবেশের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু আমাদের প্রতিবেশী জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে না, বরং আমাদের জলবায়ু এবং মানবজাতির জন্যও অপরিহার্যÑ তাই সংরক্ষিত বন ধ্বংসের এই ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য এটি একটি জরুরি পদক্ষেপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষা ও এর যথাযথ দেখাশোনার দায়িত্ব বনবিভাগের ওপর বর্তায়, কিন্তু বাস্তবে যদি তা না হয়, তাহলে তা ইঙ্গিত দেয় যে কোথাও কোনও সমস্যা আছে। বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে গাছ কাটা হচ্ছে, আর সেই কাজও হচ্ছে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই। একটি সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে প্রায় ৫ একর বনভূমির গাছ কেটে পাচার করছে, অথচ বন বিভাগ, প্রশাসন কিংবা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
গাছ কাটা এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে বন বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এসব নিয়মকানুন উপেক্ষিত হচ্ছে, আর প্রশাসনও এটি বন্ধ করতে আগ্রহী নয়।
আমরা বলতে চাই, গাছ কাটা ও বন ধ্বংসের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বন বিভাগ এবং প্রশাসনের নীরবতার কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব। অভিযোগ রয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের একটি অংশ গাছ কাটা চক্রকে অন্যায় মদত দিচ্ছে। এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার দরকার। তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করতে হবেÑ কোনো কর্মকর্তা বা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত কিনা। যদি এমন কিছু পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত। একইসঙ্গে বনভূমি রক্ষার জন্য নিয়মিত নজরদারি এবং প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়াতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়।
বন আমাদের পরিবেশের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু আমাদের প্রতিবেশী জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে না, বরং আমাদের জলবায়ু এবং মানবজাতির জন্যও অপরিহার্যÑ তাই সংরক্ষিত বন ধ্বংসের এই ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য এটি একটি জরুরি পদক্ষেপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।