alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

যশোর জেলার কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার ছয় ইউনিয়নের অনেক জমির বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। টানা চার বছর স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে জমিতে বোরো আবাদ করতে না পেরে এসব এলাকার কয়েক হাজার কৃষক বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সরকারি হিসেবে সেখানকার ২২টি বিলে মোট জমির পরিমাণ ৫ হাজার ৪শ হেক্টর। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে এবার বোরো আবাদ হবে না বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। তবে বাস্তবে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে আবাদ হবে না বলে কৃষকদের দাবি।

সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কেশবপুরের ইউনিয়নের ২২টি ছোট-বড় বিল রয়েছে। বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে বিভিন্ন খাল দিয়ে নদীতে নিষ্কাশিত হতো। কিন্তু পলি জমে নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ৮০র দশক থেকে কেশবপুরের ৫ ইউনিয়নের বিশাল এলাকার ২২টি বিল স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে।

গত জুলাই ও আগস্টের ভারি বর্ষণের পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে ২৭ বিলে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বর্ষার অতিরিক্ত পানি বিল খুকশিয়ার ও হরি নদীর মোধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী ডায়ের খালের জলকপাটটি দীর্ঘদিন পলি পড়ে ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশন হতে পারেনি। উপজেলার ৫৮ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘ ৫ মাস ধরে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বছরের পর বছর সেচ পাম্পের সাহায্যে পানি নিষ্কাশন করে ২৭ বিলের বোরো আবাদ করে আসছে। স্বেচ্ছাশ্রমে জনগণ জলকপাট পলি অপসারণ করে সচল করলেও নদীর তলদেশ উঁচু থাকায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এর ফলে নদীর তলদেশ থেকে বিলগুলো নিচু হওয়ায় তার গ্রামটি সারা বছরই জলাবদ্ধ থাকে। বন্যার পানি নিষ্কাশন করে কৃষকরা বোরো আবাদ করবে কিভাবে তা নিয়ে অনিশ্চিত।

আমরা বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার জমিকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে স্থায়ী উদ্ধার করে পুনরায় ফসলি জমিতে রূপান্তর করার দৃঢ় উদ্যোগ নিতে হবে।

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

যশোর জেলার কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার ছয় ইউনিয়নের অনেক জমির বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। টানা চার বছর স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে জমিতে বোরো আবাদ করতে না পেরে এসব এলাকার কয়েক হাজার কৃষক বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সরকারি হিসেবে সেখানকার ২২টি বিলে মোট জমির পরিমাণ ৫ হাজার ৪শ হেক্টর। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৪৭ হেক্টর জমিতে এবার বোরো আবাদ হবে না বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। তবে বাস্তবে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে আবাদ হবে না বলে কৃষকদের দাবি।

সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কেশবপুরের ইউনিয়নের ২২টি ছোট-বড় বিল রয়েছে। বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে বিভিন্ন খাল দিয়ে নদীতে নিষ্কাশিত হতো। কিন্তু পলি জমে নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ৮০র দশক থেকে কেশবপুরের ৫ ইউনিয়নের বিশাল এলাকার ২২টি বিল স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে।

গত জুলাই ও আগস্টের ভারি বর্ষণের পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে ২৭ বিলে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বর্ষার অতিরিক্ত পানি বিল খুকশিয়ার ও হরি নদীর মোধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী ডায়ের খালের জলকপাটটি দীর্ঘদিন পলি পড়ে ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশন হতে পারেনি। উপজেলার ৫৮ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘ ৫ মাস ধরে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বছরের পর বছর সেচ পাম্পের সাহায্যে পানি নিষ্কাশন করে ২৭ বিলের বোরো আবাদ করে আসছে। স্বেচ্ছাশ্রমে জনগণ জলকপাট পলি অপসারণ করে সচল করলেও নদীর তলদেশ উঁচু থাকায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এর ফলে নদীর তলদেশ থেকে বিলগুলো নিচু হওয়ায় তার গ্রামটি সারা বছরই জলাবদ্ধ থাকে। বন্যার পানি নিষ্কাশন করে কৃষকরা বোরো আবাদ করবে কিভাবে তা নিয়ে অনিশ্চিত।

আমরা বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার জমিকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে স্থায়ী উদ্ধার করে পুনরায় ফসলি জমিতে রূপান্তর করার দৃঢ় উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top