কৃষি খাতের উন্নতি এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সবুজ বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তার কথা আজকাল অনেকেই বলে থাকেন। বর্তমানে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন এবং পরিবেশের প্রতি যতœশীল থাকার উদ্দেশ্যে কৃষকরা নতুন প্রযুক্তি ও জৈব সারের দিকে ঝুঁকছেন। এর মধ্যে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোট একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি শুধু কৃষকের উৎপাদন বাড়াচ্ছে না, একই সঙ্গে পরিবেশের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলার কৃষকদের মধ্যে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্টের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিষমুক্ত ও নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষকরা এই প্রাকৃতিক সার ব্যবহার করে যা তাদের জীবনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। জমিতে কেঁচো সার ব্যবহার করে তারা যেমন উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি তাদের পণ্য বাজারে বিক্রি করে লাভবানও হচ্ছে। এতে কৃষকের জীবনে এক নতুন সমৃদ্ধির সূচনা ঘটেছে, যা শুধু তাদের কৃষিকাজে নয়, পুরো এলাকার অর্থনৈতিক চিত্রে এক বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে।
কেঁচো সার তৈরির জন্য খরচ খুবই কম, বিশেষত গোবর, শাক-পালা, গাছের পাতা ইত্যাদি সহজলভ্য বর্জ্য উপাদান দিয়ে এটি তৈরি করা যায়। একবার কেঁচো সার উৎপাদন শুরু হলে তা ধারাবাহিকভাবে জমিতে ব্যবহার করা যেতে পারে, ফলে কৃষকরা সস্তায় অধিক ফলন পেতে পারেন।
কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোট কৃষির জন্য একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার, যা শুধু কৃষকদের জন্য নয়, বরং পরিবেশের জন্যও উপকারী। এর ব্যবহারে কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি পরিবেশেরও উন্নতি হচ্ছে। কম খরচে উৎপাদিত এই জৈব সার কৃষকদের জন্য নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে এবং এটি তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি সাধন করতে সাহায্য করছে। কেঁচো সার ব্যবহারের ফলে দেশের কৃষি খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে, যা দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।