alt

সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

: মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আইন অমান্য করে আবাসিক এলাকা, কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণ করার অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই চলছে ইটভাটা স্থাপন। আইনে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদনপত্র না নিয়ে কোনো ইটভাটায় ইট তৈরি করা যাবে না; অথচ এই আইন লঙ্ঘন করে ফসলিজমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিঘেœ ইটভাটা স্থাপন করা হচ্ছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাটোরের সিংড়ায় শেরকোল ইউনিয়নের সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল, কৃষি ভূমি এবং জলাশয় বন্ধ করে ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। অটোমিলের ছাইও ফেলা হচ্ছে এসব জমিতে। এর ফলে শেরকোল ইউনিয়নের কৃষি আবাদ বিঘিœত হচ্ছে। বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

অবৈধ ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে জমির উপরিভাগের মাটি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। ফসলিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে ইট তৈরি করার ফলে আবাদি জমির পুষ্টি উপাদান কমে কৃষিপণ্যের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অব্যাহতভাবে টপসয়েল ব্যবহার করা হলে হুমকির মুখে পড়বে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে বলা আছে, কৃষিজমি, পাহাড় ও টিলার মাটি কেটে ইট তৈরি করা যাবে না। জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করে ইট পোড়ানো যাবে না। আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, কৃষিজমি, পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় ইটের ভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু আইন মানা হয় না।

আমরা জানতে চাইব যে, আইন অমান্য করে কীভাবে প্রশাসনে নাকের ডগায় বসে অবৈধ ইটভাটা স্থাপন করা হয় এবং সেই অবৈধ ভাটা দিনের পর দিন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ তে বলা হয়েছে, ইটভাটায় ফসলিজমির উপরের মাটি ব্যবহার করলে তার শাস্তি দুই বছর কারাদ- ও ২ লাখ টাকা জরিমানা। অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করলে শাস্তি ১ বছরের কারাদ- এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। আমরা এই আইনের কঠোর বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

শীতের তীব্রতা বাড়ছে, বাড়ছে রোগের প্রকোপ

ময়ূর নদ রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

কেঁচো সার : কৃষকের ভাগ্য বদলানোর শক্তিশালী উপকরণ

ফসলি জমিতে কেন চালকল

মহান বিজয় দিবস

মহান বিজয় দিবস

শীতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট : কবে মিলবে স্বস্তি?

সচেতনতামূলক পদক্ষেপে বাল্যবিবাহ নিরোধ : আশা এবং করণীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা : বোরো আবাদের পথে বাধা দূর করুন

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ : প্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আইন অমান্য করে আবাসিক এলাকা, কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণ করার অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই চলছে ইটভাটা স্থাপন। আইনে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদনপত্র না নিয়ে কোনো ইটভাটায় ইট তৈরি করা যাবে না; অথচ এই আইন লঙ্ঘন করে ফসলিজমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিঘেœ ইটভাটা স্থাপন করা হচ্ছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাটোরের সিংড়ায় শেরকোল ইউনিয়নের সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল, কৃষি ভূমি এবং জলাশয় বন্ধ করে ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। অটোমিলের ছাইও ফেলা হচ্ছে এসব জমিতে। এর ফলে শেরকোল ইউনিয়নের কৃষি আবাদ বিঘিœত হচ্ছে। বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

অবৈধ ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে জমির উপরিভাগের মাটি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। ফসলিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে ইট তৈরি করার ফলে আবাদি জমির পুষ্টি উপাদান কমে কৃষিপণ্যের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অব্যাহতভাবে টপসয়েল ব্যবহার করা হলে হুমকির মুখে পড়বে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে বলা আছে, কৃষিজমি, পাহাড় ও টিলার মাটি কেটে ইট তৈরি করা যাবে না। জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করে ইট পোড়ানো যাবে না। আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, কৃষিজমি, পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় ইটের ভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু আইন মানা হয় না।

আমরা জানতে চাইব যে, আইন অমান্য করে কীভাবে প্রশাসনে নাকের ডগায় বসে অবৈধ ইটভাটা স্থাপন করা হয় এবং সেই অবৈধ ভাটা দিনের পর দিন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ তে বলা হয়েছে, ইটভাটায় ফসলিজমির উপরের মাটি ব্যবহার করলে তার শাস্তি দুই বছর কারাদ- ও ২ লাখ টাকা জরিমানা। অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা স্থাপন করলে শাস্তি ১ বছরের কারাদ- এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। আমরা এই আইনের কঠোর বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

back to top