নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

কুুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি-বাঁশগ্রাম সড়কের কাঁচিকাটা সেতু, ভাদুরমোড় থেকে আদাবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের ৫৪টি গাছ প্রায় এক মাস ধরে রাতের আঁধারে কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। প্রতিটি গাছের মূল্য ২৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। গাছ কেটে স্থানীয় একটি করাত কলে চেরাই করে তা অন্যত্রে নেয়া হয়েছে। আবার সেখানেই খাট বানিয়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা করে বিক্রি করছে চক্রটি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সড়কের দুপাশে মেহগুনি, শিশু, বাবলাসহ কয়েকশ গাছ আছে। এসব গাছ এক মাস ধরে কাটা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এ বিষয়ে প্রশাসন কি কিছুই জানে না। এ ঘটনা শুধু কুমারখালীর বনাঞ্চল কিংবা কুষ্টিয়া জেলার সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি বৃহত্তর সমস্যা যা দেশের বনসম্পদ, পরিবেশ এবং প্রশাসনিক অকার্যকারিতা সম্পর্কে একাধিক প্রশ্ন তুলে ধরছে।

এই ঘটনায় সুস্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি অত্যন্ত দুর্বল। প্রশাসন যদি এ বিষয়ে সতর্ক থাকত, সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিত তাহলে এত বড় একটি অপরাধ সংঘটিত হতো না। এখন প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসন কীভাবে এর মোকাবিলা করবে?

নির্বিচারে গাছ কাটলে পরিবেশেরও ক্ষতি হয়। পরিবেশবিদদের মতে, একটি পরিপূর্ণ গাছ বছরে ৪৮ পাউন্ড হারে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং একই সঙ্গে যে পরিমাণ অক্সিজেন ছাড়ে তাতে অন্তত দুজন মানুষ নিঃশ্বাস নিতে পারে। যে গাছ দুজন মানুষকে জীবিত রাখার দায়িত্ব পালন করে, আমরা তাদের নির্বিচারে কেটে ফেলতে এতটুকু দ্বিধা করছি না।

আমরা বলতে চাই, সড়কের পাশে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিতে হবে। কারা ওই গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এক মাস যাবৎ গাছ কাটা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা কেন নেয়নি সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

সম্প্রতি