নরসিংদী-মদনগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের শালিধা পৌর এলাকায় নতুন বাসস্ট্যান্ডের পাশের রাস্তা, যা বর্তমানে একটি বড় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য অস্বস্তি ও স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের পুরো অংশজুড়ে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে, যা শুধু পরিবেশগত দূষণই সৃষ্টি করছে না, বরং জনস্বাস্থ্যের জন্যও বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠেছে।
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, হাসপাতালের রোগী এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। তবে তাদের জন্য এই যাত্রা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ময়লার ভাগাড়ের কারণে সড়কের আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। কখনও কখনও বর্জ্য পোড়ানো হয়। তখন পরিবেশ আরও দূষিত হয়ে পড়ে।
সড়কে পড়ে থাকা ময়লা থেকে নিঃসৃত নোংরা পানি বর্ষাকালে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চেয়েছেন। পৌর প্রশাসকের বক্তব্য হলো, ‘যদি ময়লা-আবর্জনা নির্ধারিত স্থানের বাইরে বা রাস্তার ওপরে গিয়ে থাকে, তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা অপসারণ করা হবে।’
প্রশ্ন উঠছে, কেন এত দিন ধরে এই সমস্যার সমাধান হলো না? শহরের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও সুস্থ পরিবেশ তৈরিতে পৌরসভা কতটা দায়বদ্ধ? এটা শুধু একটি সড়কের সমস্যাই নয়, বরং একটি নগরের স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নাগরিকদের প্রতি দায়িত্বের বিষয়। রাস্তার ওপর ছড়িয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনার এই সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করতে হবে, যাতে নাগরিকরা সুস্থ ও নিরাপদভাবে চলাফেরা করতে পারেন এবং দুর্ঘটনা বা রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
আমরা বলতে চাই, উল্লিখিত সমস্যার সমাধান করতে পৌরসভা ও স্থানীয় প্রশাসনকে আরো সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে
অবশ্যই দ্রুত ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন ময়লা ফেলার জন্য নির্ধারিত স্থান ব্যবহার করে সেজন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
একটি নগরী বা শহরের উন্নয়ন মানে শুধু সড়ক বা স্থাপত্যের উন্নয়ন নয়, বরং তার বাসিন্দাদের সুস্থ ও নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যগত ও পরিবেশগত ব্যবস্থা নেয়া। তাই নরসিংদী পৌরসভাকে অবশ্যই এই সমস্যা সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে নাগরিকরা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় আরও উন্নত পরিবেশে চলতে পারে।
রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
নরসিংদী-মদনগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের শালিধা পৌর এলাকায় নতুন বাসস্ট্যান্ডের পাশের রাস্তা, যা বর্তমানে একটি বড় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য অস্বস্তি ও স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের পুরো অংশজুড়ে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে, যা শুধু পরিবেশগত দূষণই সৃষ্টি করছে না, বরং জনস্বাস্থ্যের জন্যও বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠেছে।
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, হাসপাতালের রোগী এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। তবে তাদের জন্য এই যাত্রা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ময়লার ভাগাড়ের কারণে সড়কের আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। কখনও কখনও বর্জ্য পোড়ানো হয়। তখন পরিবেশ আরও দূষিত হয়ে পড়ে।
সড়কে পড়ে থাকা ময়লা থেকে নিঃসৃত নোংরা পানি বর্ষাকালে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চেয়েছেন। পৌর প্রশাসকের বক্তব্য হলো, ‘যদি ময়লা-আবর্জনা নির্ধারিত স্থানের বাইরে বা রাস্তার ওপরে গিয়ে থাকে, তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা অপসারণ করা হবে।’
প্রশ্ন উঠছে, কেন এত দিন ধরে এই সমস্যার সমাধান হলো না? শহরের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও সুস্থ পরিবেশ তৈরিতে পৌরসভা কতটা দায়বদ্ধ? এটা শুধু একটি সড়কের সমস্যাই নয়, বরং একটি নগরের স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নাগরিকদের প্রতি দায়িত্বের বিষয়। রাস্তার ওপর ছড়িয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনার এই সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করতে হবে, যাতে নাগরিকরা সুস্থ ও নিরাপদভাবে চলাফেরা করতে পারেন এবং দুর্ঘটনা বা রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
আমরা বলতে চাই, উল্লিখিত সমস্যার সমাধান করতে পৌরসভা ও স্থানীয় প্রশাসনকে আরো সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে
অবশ্যই দ্রুত ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন ময়লা ফেলার জন্য নির্ধারিত স্থান ব্যবহার করে সেজন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
একটি নগরী বা শহরের উন্নয়ন মানে শুধু সড়ক বা স্থাপত্যের উন্নয়ন নয়, বরং তার বাসিন্দাদের সুস্থ ও নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যগত ও পরিবেশগত ব্যবস্থা নেয়া। তাই নরসিংদী পৌরসভাকে অবশ্যই এই সমস্যা সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে নাগরিকরা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় আরও উন্নত পরিবেশে চলতে পারে।