alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

: শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এখন তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষ। এই শীতজনিত পরিস্থিতি শুধু জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলছে, বরং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা জটিলতারও সৃষ্টি করছে।

শীতকাল এলেই সাধারণত দেশে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। এবারের শীতে, বিশেষত উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট ও দিনাজপুরের মতো জেলার বাসিন্দারা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শীতজনিত রোগ নিউমোনিয়া, অ্যাজমা এবং শ্বাসকষ্টের কারণে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

খেটে খাওয়া মানুষদের অবস্থা আরও শোচনীয়। তিস্তা পাড়ের ছিন্নমূল মানুষদের জন্য শীতবস্ত্রের অভাব চরম আকার ধারণ করেছে। গ্রামের মানুষেরা কষ্টে পড়েছে, কারণ তাদের অধিকাংশের হাতে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র নেই। ঠা-ার কারণে তারা আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষ পেটের তাগিদে ঠা-া সত্ত্বেও কাজ করতে বের হচ্ছে। যেমন, লালমনিরহাটের ভ্যানচালক এবং কৃষকরা জানিয়েছেন, কনকনে ঠা-ায় কাজ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে, তবে জীবিকা অর্জন করতে তাদের বাধ্য হয়ে বের হতে হয়।

শীতের কারণে সড়ক, মহাসড়ক এবং আকাশযানেও বাধা সৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করেছে। ঘন কুয়াশা এবং হিমেল বাতাসের কারণে মানুষের চলাফেরা সীমিত হয়ে যাচ্ছে, ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। তবে, কিছুটা আশার কথা হলো, সরকার ইতোমধ্যেই শীতের তীব্রতা থেকে জনগণের সুরক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন শীতবস্ত্র বিতরণ করছে এবং আশ্রয়হীনদের জন্য কম্বল এবং নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

শীতজনিত রোগের প্রকোপ কমাতে শুধু শীতবস্ত্র বা সহায়তা যথেষ্ট নয়। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও সুসংহত করতে হবে। শিশু এবং বৃদ্ধদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন, কারণ তারা শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের যথাযথ প্রস্তুতি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং শীতকালীন রোগ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

সরকারকে আরও ব্যাপক পরিসরে শীতকালীন প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে, বিশেষ করে কৃষক ও শ্রমিকদের জন্য কার্যকর উপায় নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা এই শীতে কাজ করতে বাধাগ্রস্ত না হন। দুস্থদের জন্য কম্বল, শীতবস্ত্র এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান, শুধু মানবিক সাহায্য নয়, বরং একটি জাতীয় দায়িত্বও।

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এখন তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষ। এই শীতজনিত পরিস্থিতি শুধু জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলছে, বরং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা জটিলতারও সৃষ্টি করছে।

শীতকাল এলেই সাধারণত দেশে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। এবারের শীতে, বিশেষত উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট ও দিনাজপুরের মতো জেলার বাসিন্দারা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শীতজনিত রোগ নিউমোনিয়া, অ্যাজমা এবং শ্বাসকষ্টের কারণে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

খেটে খাওয়া মানুষদের অবস্থা আরও শোচনীয়। তিস্তা পাড়ের ছিন্নমূল মানুষদের জন্য শীতবস্ত্রের অভাব চরম আকার ধারণ করেছে। গ্রামের মানুষেরা কষ্টে পড়েছে, কারণ তাদের অধিকাংশের হাতে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র নেই। ঠা-ার কারণে তারা আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষ পেটের তাগিদে ঠা-া সত্ত্বেও কাজ করতে বের হচ্ছে। যেমন, লালমনিরহাটের ভ্যানচালক এবং কৃষকরা জানিয়েছেন, কনকনে ঠা-ায় কাজ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে, তবে জীবিকা অর্জন করতে তাদের বাধ্য হয়ে বের হতে হয়।

শীতের কারণে সড়ক, মহাসড়ক এবং আকাশযানেও বাধা সৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করেছে। ঘন কুয়াশা এবং হিমেল বাতাসের কারণে মানুষের চলাফেরা সীমিত হয়ে যাচ্ছে, ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। তবে, কিছুটা আশার কথা হলো, সরকার ইতোমধ্যেই শীতের তীব্রতা থেকে জনগণের সুরক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন শীতবস্ত্র বিতরণ করছে এবং আশ্রয়হীনদের জন্য কম্বল এবং নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

শীতজনিত রোগের প্রকোপ কমাতে শুধু শীতবস্ত্র বা সহায়তা যথেষ্ট নয়। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও সুসংহত করতে হবে। শিশু এবং বৃদ্ধদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন, কারণ তারা শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের যথাযথ প্রস্তুতি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং শীতকালীন রোগ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

সরকারকে আরও ব্যাপক পরিসরে শীতকালীন প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে, বিশেষ করে কৃষক ও শ্রমিকদের জন্য কার্যকর উপায় নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা এই শীতে কাজ করতে বাধাগ্রস্ত না হন। দুস্থদের জন্য কম্বল, শীতবস্ত্র এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান, শুধু মানবিক সাহায্য নয়, বরং একটি জাতীয় দায়িত্বও।

back to top