alt

সম্পাদকীয়

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

: রোববার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় পরিবেশ আইন উপেক্ষা করে ইটভাটার কার্যক্রম চলতে থাকায় স্থানীয় পরিবেশ ও জনগণের জীবনযাত্রায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের পর বছর ধরে এসব ইটভাটা পরিবেশের ক্ষতি করছে, অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। এই পরিস্থিতি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের শোষণ এবং স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকে ইঙ্গিত করে।

বিশেষত, কসবা ব্রিকসের মতো ইটভাটাগুলোর অবস্থিতি জনবসতির কাছাকাছি, যেখানে কালো ধোঁয়া ও দূষিত বায়ু পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে, তা সরাসরি জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এমনকি, শিশুদের জন্য এই ধরনের পরিবেশ আরও বিপজ্জনক। ইটভাটা মালিকদের প্রভাবশালী পরিচয়ও স্থানীয়দের প্রতিবাদে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অনেক বাসিন্দা, যারা সরাসরি সমস্যার শিকার, তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে সাহস পান না, কারণ তারা জানেন, এর কোন ফলদায়ক প্রভাব পড়বে না।

এছাড়া, তিতাস নদীর ওপর ইটভাটাগুলোর দখলও উল্লেখযোগ্য উদ্বেগের বিষয়। নদীটির পাড় দখল করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে, যা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ও পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এইভাবে নদী দখল চলতে থাকলে তিতাস নদীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে, যা এলাকার মানুষের জীবিকা ও পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। তিতাস নদী একদিকে যেমন জীবিকা, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য। এর ক্ষতি হলে তা শুধু স্থানীয়দের জন্য নয়, সমগ্র এলাকার জন্য বিপর্যয় বয়ে আনবে।

অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বলছে, যদি এসব ইটভাটা পরিবেশ আইন অনুসরণ করে, তবে তাদের কার্যক্রম চলতে দেয়া যেতে পারে।

আমরা বলতে চাই, যদি কেউ আইনভঙ্গ করে, তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এদিকে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং লাইসেন্স নবায়ন না করা ইটভাটাগুলোকে অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। অবৈধ ইটভাটা মালিকদের জন্যও একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়া উচিতÑ কোন অবস্থাতেই পরিবেশের ক্ষতি করা চলবে না, তা হোক রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাবের কারণে। বেআইনি কার্যক্রম চলতে দিলে, একদিন হয়তো দেশের বৃহত্তর পরিবেশও বিপন্ন হয়ে পড়বে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

রোববার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় পরিবেশ আইন উপেক্ষা করে ইটভাটার কার্যক্রম চলতে থাকায় স্থানীয় পরিবেশ ও জনগণের জীবনযাত্রায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের পর বছর ধরে এসব ইটভাটা পরিবেশের ক্ষতি করছে, অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। এই পরিস্থিতি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের শোষণ এবং স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকে ইঙ্গিত করে।

বিশেষত, কসবা ব্রিকসের মতো ইটভাটাগুলোর অবস্থিতি জনবসতির কাছাকাছি, যেখানে কালো ধোঁয়া ও দূষিত বায়ু পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে, তা সরাসরি জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এমনকি, শিশুদের জন্য এই ধরনের পরিবেশ আরও বিপজ্জনক। ইটভাটা মালিকদের প্রভাবশালী পরিচয়ও স্থানীয়দের প্রতিবাদে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অনেক বাসিন্দা, যারা সরাসরি সমস্যার শিকার, তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে সাহস পান না, কারণ তারা জানেন, এর কোন ফলদায়ক প্রভাব পড়বে না।

এছাড়া, তিতাস নদীর ওপর ইটভাটাগুলোর দখলও উল্লেখযোগ্য উদ্বেগের বিষয়। নদীটির পাড় দখল করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে, যা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ও পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এইভাবে নদী দখল চলতে থাকলে তিতাস নদীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে, যা এলাকার মানুষের জীবিকা ও পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। তিতাস নদী একদিকে যেমন জীবিকা, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য। এর ক্ষতি হলে তা শুধু স্থানীয়দের জন্য নয়, সমগ্র এলাকার জন্য বিপর্যয় বয়ে আনবে।

অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বলছে, যদি এসব ইটভাটা পরিবেশ আইন অনুসরণ করে, তবে তাদের কার্যক্রম চলতে দেয়া যেতে পারে।

আমরা বলতে চাই, যদি কেউ আইনভঙ্গ করে, তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এদিকে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং লাইসেন্স নবায়ন না করা ইটভাটাগুলোকে অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। অবৈধ ইটভাটা মালিকদের জন্যও একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়া উচিতÑ কোন অবস্থাতেই পরিবেশের ক্ষতি করা চলবে না, তা হোক রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাবের কারণে। বেআইনি কার্যক্রম চলতে দিলে, একদিন হয়তো দেশের বৃহত্তর পরিবেশও বিপন্ন হয়ে পড়বে।

back to top